কলকাতা, 6 জুলাই: রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে বুধবার বোমা ফাটিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সদর্পে ঘোষণা করেছিলেন, তৃণমূল ছাড়ার আগে উপমুখ্যমন্ত্রী পদের 'অফার' দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সঙ্গে আরও পাঁচটি দফতরের টোপও তাঁকে দিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল ৷ বৃহস্পতিবার তাচ্ছিল্য ভরে শুভেন্দু অধিকারীর সেই বক্তব্যের জবাব দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সাফ জবাব, পাঁচ লক্ষ টাকায় বিক্রি হন শুভেন্দু ৷
রাজ্যের বিরোধী দলেনেতার দাবি ছিল, রাজ্যের পাঁচটি দফতরের পাশাপাশি উপমুখ্যমন্ত্রীত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে তৃণমূলের তরফে ৷ কিন্তু সেসব ফিরিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রবাদী চিন্তা থেকে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের শেষবেলায় কলকাতা প্রেস ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই দাবিকে কার্যত উড়িয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার সম্বন্ধে চরম কটাক্ষও শোনা গেল অভিষেকের গলায়। তিনি বলেন, "যে ব্যক্তি ম্যাথু স্যামুয়েলের থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার প্রলোভন সামলাতে পারেন না, তাঁকে কেউ উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেয়?"
এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বে শুরুতেই শুভেন্দু অধিকারীর উপমুখ্যমন্ত্রীত্বের মন্তব্য প্রসঙ্গে অভিষেককে দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন সাংবাদিকরা। জবাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কার্যত তাচ্ছিল্যের সুরে বলেন, "শুভেন্দু অধিকারী পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ উনি কাগজে মুড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। টিভির পর্দায় তা আপনারাও দেখেছেন। তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ কে অফার করবে ? যে লোকটাকে টিভির পর্দায় দেখা যায় খবরের কাগজে মুড়িয়ে টাকা নিতে তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ কেউ কি অফার করে!"
আরও পড়ুন: রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু, দাবি অভিষেকের
একইসঙ্গে তিনি পালটা প্রশ্ন তুলে জানান, উপমুখ্যমন্ত্রী পদের যোগ্য হলে কেউ কি পাঁচ লক্ষ টাকা নেয় ? এ প্রসঙ্গে এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের প্রসঙ্গও টেনে আনেন অভিষেক ৷ তিনি বলেন, "অজিত পাওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ৷ তাঁর নামের পাশে কোটি কোটি টাকার কোরাপশন কেস। আমি তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম এক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ তো পাঁচ লক্ষ টাকাও ছাড়েনি। তথাকথিতভাবে যতগুলো কেলেঙ্কারি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে - সারদা, নারদা, রোজভ্যালি, সবেতেই ওঁর নাম আছে। উপমুখ্যমন্ত্রী ওকে অফার করতে যাওয়া হবে কেন ! ওঁর রেট হল পাঁচ লাখ।"