কলকাতা, 13 সেপ্টেম্বর: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দুপুর 11টা 34 মিনিট নাগাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে প্রবেশ করেন। বেলা 12টা থেকে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ইডির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, প্রথমে তাঁকে যাবতীয় বিষয় এবং নাম, জন্ম ও তারিখ ঠিকানা লিখতে বলা হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেগুলি লেখেন। এরপরে ইডির একজন অতিরিক্ত ডিরেক্টরের উপস্থিতিতে একজন এসপি পদমর্যাদার ইডি আধিকারিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
- ইডি সূত্রের খবর, তাঁকে প্রথমেই বলা হয়, তিনি তাপস মণ্ডল কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের গ্রেফতারির পর বলেন, মাঝেমধ্যে রাজ্যের একাধিক এজেন্টরা মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, সেখানে নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা প্রেরণ করা হত। এই বিষয় তিনি কি জানেন ?
- উত্তরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা জানান তা, ইডির অতিরিক্ত ডিরেক্টরের পাশে বসে থাকা অন্য এক ইডি আধিকারিক সেই বয়ান নথিভুক্ত করেন।
- পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় তিনি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বা কালীঘাটের কাকুকে চেনেন কি না ? পাশাপাশি বলা হয় যে, কালীঘাটের কাকু কেন তাঁর নাম প্রকাশ্যে এনেছিলেন ? এছাড়াও জানতে চাওয়া হয় যে তিনি আগে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন । এখন তিনি কি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সিইও রয়েছেন ?
- শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মূলত নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার মিডল ম্যান কুন্তল ঘোষ জেলে বসে একটি চিঠি লেখেন সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি রা তার ওপর চাপ দেবার চেষ্টা করছিলেন ৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য চাপও দেওয়া হয়েছে তাঁকে ৷ সেই চিঠি বিচারপতির কাছে যায় এবং বিচারপতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিককে বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কীভাবে আসে এবং দরকার পড়লে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানতে চাওয়া হবে ৷ তারপরে ইডির তরফ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ পাঠানো হয়। বুধবার 11টার মধ্যে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷