ETV Bharat / state

আগাম সতর্কতা সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নেয়নি ? এবার CESC-কে কাঠগড়ায় তুলল ABECA

author img

By

Published : May 25, 2020, 8:41 AM IST

কলকাতা ও শহরতলীর বেশ কিছু এলাকায় এখনও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ পরিষেবা । এই পরিস্থিতিতে CESC-র বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আনল ABECA ।

ছবি
ছবি

কলকাতা, 25 মে : পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও প্রস্তুত ছিল না ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন (CESC) । এমন অভিযোগ তুলে CESC-কে এবার কাঠগড়ায় দাঁড় করাল অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজ়িউমার্স অ্যাসোসিয়েশন (ABECA) । তাদের দাবি, কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের । এই গাফিলতির দায় CESC-র । তাদের মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে । পাশাপাশি এখনও কলকাতার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু হয়নি, সেখানে দ্রুত পরিষেবা চালু করতে হবে ।

আমফানে তছনছ কলকাতা । বেশিরভাগ জায়গায় মঙ্গলবার বিকেল থেকে বিদ্যুৎ নেই । এতদিন বিদ্যুৎ না আসায় CESC-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে বিভিন্ন এলাকায় । প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যে রাজ্যে বিদ্যুতের দাম এত বেশি সেখানে পরিষেবার এমন অবস্থা কেন ? গতকাল কলকাতা ও শহরতলীর বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু হলেও এখনও অন্ধকারে অনেক এলাকা । এই পরিস্থিতিতে CESC-র বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আনল ABECA ।

তাদের কথায়, আমফানের আগাম সতর্কতা সত্ত্বেও কেন এই বিদ্যুৎ কম্পানি কোনও ব্যবস্থা নিল না । পাশাপাশি আমফানের মতো ঝড়ে যেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কার থেকেই যায়, সেখানে কলকাতার অর্ধেক জায়গায় ঝড়ের সময়ও বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু ছিল । যার জেরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অনেকের । ক্ষতিও হয়েছে তার, ল্যাম্প পোস্ট বা ট্রান্সফরমারের । এসবের দায় CESC-রই । তাদের দাবি, এই গাফিলতির জন্য নিহতদের পরিবারপিছু 10 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ বিদ্যুৎ কম্পানিকে দিতে হবে । দরকারে সরকারকেও সাহায্য করতে হবে । পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকায় দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছে তারা ।

এবিষয়ে ABECA-র সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুৎ চৌধুরি বলেন, "এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বিদ্যুতের মতো অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ ও বাণিজ্যিক অনুমতি কতটা ক্ষতি করেছে । শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ আইন 2003-ও এর জন্য কিছুটা দায়ি । আগের বিদ্যুৎ আইনে যতটুকু গ্রাহকস্বার্থ অবশিষ্ট ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার সংশোধনী বিল এনে তাকে শেষ করে দিতে চাইছে । ফলে আগামী দিন হবে আরও ভয়াবহ । প্রায় ছ'দিন আগে থেকে সতর্কবার্তা মেলা সত্ত্বেও CESC কেন আগাম কোনও ব্যবস্থা নিল না ? লকডাউনের ফলে এমনিতেই কর্মী সংখ্যা অনেক কমে গেছে । এদিকে আমফানের মতো ঘূর্ণিঝড় আমরা কেউ আগে দেখিনি । তাই যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি রাখা উচিত ছিল । কিন্তু CESC-র তরফে তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি । আমরা বহু আগেই CESC ও রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণ কম্পানির পরিষেবার ক্ষেত্রে গুরুতর গাফিলতির কথা তুলে ধরেছি অনেকবার । এছাড়াও, লাভের জন্য বিভিন্ন সময়ে উপযুক্ত কর্মীদের ছাঁটাই করা, কর্মী নিয়োগ না করে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করার ফলে সাধারণ মানুষকে চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে ।"

কলকাতা, 25 মে : পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও প্রস্তুত ছিল না ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন (CESC) । এমন অভিযোগ তুলে CESC-কে এবার কাঠগড়ায় দাঁড় করাল অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজ়িউমার্স অ্যাসোসিয়েশন (ABECA) । তাদের দাবি, কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের । এই গাফিলতির দায় CESC-র । তাদের মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে । পাশাপাশি এখনও কলকাতার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু হয়নি, সেখানে দ্রুত পরিষেবা চালু করতে হবে ।

আমফানে তছনছ কলকাতা । বেশিরভাগ জায়গায় মঙ্গলবার বিকেল থেকে বিদ্যুৎ নেই । এতদিন বিদ্যুৎ না আসায় CESC-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে বিভিন্ন এলাকায় । প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যে রাজ্যে বিদ্যুতের দাম এত বেশি সেখানে পরিষেবার এমন অবস্থা কেন ? গতকাল কলকাতা ও শহরতলীর বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু হলেও এখনও অন্ধকারে অনেক এলাকা । এই পরিস্থিতিতে CESC-র বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আনল ABECA ।

তাদের কথায়, আমফানের আগাম সতর্কতা সত্ত্বেও কেন এই বিদ্যুৎ কম্পানি কোনও ব্যবস্থা নিল না । পাশাপাশি আমফানের মতো ঝড়ে যেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কার থেকেই যায়, সেখানে কলকাতার অর্ধেক জায়গায় ঝড়ের সময়ও বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু ছিল । যার জেরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অনেকের । ক্ষতিও হয়েছে তার, ল্যাম্প পোস্ট বা ট্রান্সফরমারের । এসবের দায় CESC-রই । তাদের দাবি, এই গাফিলতির জন্য নিহতদের পরিবারপিছু 10 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ বিদ্যুৎ কম্পানিকে দিতে হবে । দরকারে সরকারকেও সাহায্য করতে হবে । পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকায় দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছে তারা ।

এবিষয়ে ABECA-র সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুৎ চৌধুরি বলেন, "এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বিদ্যুতের মতো অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ ও বাণিজ্যিক অনুমতি কতটা ক্ষতি করেছে । শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ আইন 2003-ও এর জন্য কিছুটা দায়ি । আগের বিদ্যুৎ আইনে যতটুকু গ্রাহকস্বার্থ অবশিষ্ট ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার সংশোধনী বিল এনে তাকে শেষ করে দিতে চাইছে । ফলে আগামী দিন হবে আরও ভয়াবহ । প্রায় ছ'দিন আগে থেকে সতর্কবার্তা মেলা সত্ত্বেও CESC কেন আগাম কোনও ব্যবস্থা নিল না ? লকডাউনের ফলে এমনিতেই কর্মী সংখ্যা অনেক কমে গেছে । এদিকে আমফানের মতো ঘূর্ণিঝড় আমরা কেউ আগে দেখিনি । তাই যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি রাখা উচিত ছিল । কিন্তু CESC-র তরফে তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি । আমরা বহু আগেই CESC ও রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণ কম্পানির পরিষেবার ক্ষেত্রে গুরুতর গাফিলতির কথা তুলে ধরেছি অনেকবার । এছাড়াও, লাভের জন্য বিভিন্ন সময়ে উপযুক্ত কর্মীদের ছাঁটাই করা, কর্মী নিয়োগ না করে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করার ফলে সাধারণ মানুষকে চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.