কলকাতা, 22 অগষ্ট: খাস কলকাতায় প্রমোটিং কারবারকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল । আর তার জেরেই উত্তাল হয়ে উঠল নারকেলডাঙা এলাকা। অভিযোগ এই গোলমালের জেরে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে পেটে লাথি মারেন এলাকার এক তৃণমূল নেতা (A Pregnant Lady Was Allegedly Kicked in Narkeldanga )। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ।
এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল (TMC MLA Paresh Paul) এবং মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দারের (MIC Sapan Samaddar) অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই নারকেলডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে । কলকাতা পুলিশের ডিসি (ইএসডি) প্রিয়ব্রত রায় জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে । এই ঘটনায় অভিযোগকারী বাবা এবং ছেলেকে পুরনো একটি মামলায় আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ।
নারকেলডাঙার বাসিন্দা শিবশঙ্কর দাস এবং তাঁর ছেলে দীপক দাসের বক্তব্য, তাঁরা এলাকায় অবৈধ প্রমোটিং কারবারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন । তার ফলে স্থানীয় কাউন্সিলরের অনুগামীরা রবিবার কাউন্সিলরের সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে বলেন । কিন্তু কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করেননি বলেই তাঁদের বাড়িতে চড়াও হন কাউন্সিলর এবং বিধায়কের অনুগামীরা ।
আরও পড়ুন: পারিবারিক বিবাদের জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা স্বামীর
অভিযোগ, বাড়ির বয়স্ক থেকে শুরু করে বাড়ির মেয়েদেরকেও ছাড়া হয়নি । দীপকের স্ত্রী 8 মাসের অন্তঃসত্তা । কিন্তু তিনিও রেহাই পাননি । অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁর পেটে সজোরে লাথি মারে । বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৷ সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে । যদিও এই ঘটনায় বিধায়ক পরেশ পালের (TMC MLA Paresh Paul) দাবি, "আমি ওই এলাকার কাজকর্ম দেখি না। পাশাপাশি যারা অভিযোগ করছে তাঁদের আমি চিনিও না ৷ ফলে এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই।"
পরিবারের আরও অভিযোগ, বাড়িতে তাণ্ডব চলার সময়ই তারা থানার দ্বারস্থ হন কিন্তু নারকেলডাঙা থানার তরফ থেকে তাঁদেরকেই গ্রেফতার করে নেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় । রাতেই এলাকায় আসে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার আধিকারিকরা । এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শুরু হয়েছে তদন্ত ৷ এ বিষয়ে নারকেলডাঙা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে । অভিযুক্ত 7 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷