কলকাতা, 21 অগাস্ট : লাউডন স্ট্রিটে জাগুয়ার দুর্ঘটনার তদন্তে নয়া মোড়৷ প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল গাড়িটি চালাচ্ছিল ধৃত আরসালান পারভেজ ৷ কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে গাড়ি চালাচ্ছিল আরসালানের দাদা রাঘিব পারভেজ ৷ দুর্ঘটনার পরই দুবাইতে পালিয়ে গিয়েছিল রাঘিব ৷ পরে দেশে ফিরলে তাকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ ৷ রাঘিবকে পালাতে সাহায্য করেছিল তার মামা মহম্মদ হামজা৷ তাই তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় পুলিশ প্রথমে গ্রেপ্তার করেছিল আরসালানকে । তাকেও ছাড়া হবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে ৷ কারণ পুলিশের দাবি, আরসালান পালাতে সাহায্য করেছিল রাঘিবকে৷ আজ সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানান গোয়েন্দা প্রধান মুরলিধর শর্মা।
গত শনিবার রাতে লাউডন স্ট্রিটে একটি বেপরোয়া জাগুয়ার গাড়ি প্রথমে ধাক্কা মারে একটি মার্সিডিজ় গাড়িকে । তারপর ধাক্কা মারে 3 পথচারীকে । তাঁদের মধ্যে দু'জন বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের SSKM-এ নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । গ্রেপ্তার করা হয় আরসালান রেস্তরাঁ চেনের মালিকের ছেলে আরসালান পারভেজকে ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত দুজনের নাম মইনুল আলম এবং ফারহানা ইসলাম তানিয়া । মইনুলের বয়স 36 । তিনি বাংলাদেশের ঝিনাইদহর বাসিন্দা ছিলেন৷ আর বছর তিরিশের ফারহানা তানিয়া বাংলাদেশের ঢাকার বাসিন্দা ছিলেন । তৃতীয় ব্যক্তি মহম্মদ সফি রহমতউল্লাহ আহত হন ৷ তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর SSKM থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় । তিনিও বাংলাদেশের নাগরিক ।
এদিকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মার্সিডিজ গাড়িতে থাকা দুই আরোহীও আহত হন । তাঁদের নাম অমিত কাজারিয়া এবং কণিকা কাজারিয়া । তাঁদের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থান থেকে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় । কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসার জন্য ভরতি করা হয়েছ৷ বর্তমানে তাঁরা সুস্থ আছেন ৷