ETV Bharat / state

Chaitra Sale Market: গরমের দাপটে ভিড় উধাও চৈত্রের বাজারে, পয়লার আগে হতাশ ক্রেতারা - রমজান মাস

সবে এপ্রিল মাস, এখনই যেমনভাবে পারদ চড়তে শুরু করেছে তাতে নাভিশ্বাস উঠছে কলকাতাবাসীর ৷ সকাল থেকেই গরম থাকায় বাইরে বেরনো দায় হয়ে পড়েছে ৷ আর দুপুর হতে না হতেই পারদ প্রায় 40 ছুঁই ছুঁই ৷ এর প্রভাব পড়ছে বাজারেও ৷ চৈত্র সেল চললেও দোকানে সেভাবে দেখা মিলছে না ক্রেতাদের ৷

market situation before new year
চৈত্র সেল
author img

By

Published : Apr 12, 2023, 2:19 PM IST

Updated : Apr 12, 2023, 5:10 PM IST

পয়লার আগে বাজারের চেনা ভিড় উধাও

কলকাতা, 12 এপ্রিল: বাংলা নববর্ষের আগে চৈত্র মাস জুড়েই চলে বাঙালির কেনাকাটা । এবার সঙ্গে আছে ঈদের রমজান মাসও । তবু বাজার যেন ফিকে ৷ কলকাতার বাজার থেকে আচমকা উধাও ভিড় । অন্য বছরের তুলনায় এপ্রিল মাসের এই সময়ে এবার খানিকটা বেশি গরম রয়েছে । পারদ 40 ছুঁই ছুঁই। স্বভাবতই নাজেহাল অবস্থা চারপাশে । তীব্র দাবদাহে দিনে দুপুরে রাস্তায় পা ফেলা অসম্ভব হয়ে উঠেছে । আর তারই প্রভাব সরাসরি এসে পড়েছে চৈত্র মাসের বাজারে ।

চৈত্রের শুরুতে জামা কাপড় থেকে জুতো ছাতা সব কিছুতেই সেল থাকে । তাই প্রতি বছর ছাড়ে কম দামে জিনিস কিনতে দোকানে দোকানে উপচে পড়ে ক্রেতাদের ভিড়। এ বছরের চৈত্রের শুরুটা তেমন হলেও শেষটা আলাদা হচ্ছে বলে মত বিক্রেতাদের। বাংলার নতুন বছরকে নতুন জামা কাপড় থেকে ঘরের প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিস কিনতে যখন বেছে নেন মানুষ, তখন দাবদাহের চোখরাঙানিতে সেই প্রবণতা কমেছে । সেই ছবিই ধরা পড়ল গড়িয়াহাটে।

Gariahat market
চৈত্র সেল বাজার গড়িয়াহাটে

পোশাক বিক্রেতা সঞ্জয় দাসের কথায়, "আগের বছরের তুলনায় বেশ খারাপ বাজার । সকাল থেকে রোদ। লোকজন রাস্তায় বেরচ্ছেন না । সন্ধ্যার পর একটু লোক হচ্ছে ।" তবে গরম উপেক্ষা করে যাঁরা বেরোচ্ছেন তাঁদের কেনাকাটি বেশ ভালো হচ্ছে । যাদবপুরের বাসিন্দা রেশমি পাল গুহঠাকুরতা বলেন, "কাজ শেষে ফেরার পথে সময় পেয়েছি । নেমে একটু কেনাকাটা করছি । টপ দেখছি গরমের জন্য । 12 মাস এখান থেকেই জিনিস কিনে থাকি ।" বর্ধমানের বাসিন্দা পুনম বিশ্বাস বলেন, "দিনেরবেলা ভীষণ রোদ ও গরম । প্রায় কেনাকাটা চলে । তবে এই সময় প্রতিটা দোকানে ছাড় থাকে তাই একটু বেশি কেনাকাটা করে থাকি । বাড়ির সকলের জন্যই কিনছি ।"

Chaitra Sale
গরমের প্রভাব বাজারে

বিক্রেতা রাজ দাস জানান, বাজার নেই একদম । গরমের জন্য ক্রেতার সংখ্যা কম । বাজার খারাপ ফলে এবার ভালো বাজার হওয়ার আশা করলেও তীব্র রোদের দাপট যেন বিক্রেতাদের সেই আশায় জল ঢেলেছে । তাই মুখ ভার তাদের । খারাপ অবস্থা বড় দোকানদারদেরও । শীততাপ নিয়ন্ত্রিত দোকানপাটে প্রতিদিনের ব্যবসা চালানোর খরচ তুলে কর্মীদের মজুরি টাকা দিয়ে লাভের অংক সেভাবে দেখতে পাচ্ছেন না মালিকরা ।

আরও পড়ুন: ডিজিটাল লেনদেন কেড়েছে বাঙালির 'হালখাতা', কেমন আছেন এই জাবদা খাতার ব্যবসায়ীরা

পয়লার আগে বাজারের চেনা ভিড় উধাও

কলকাতা, 12 এপ্রিল: বাংলা নববর্ষের আগে চৈত্র মাস জুড়েই চলে বাঙালির কেনাকাটা । এবার সঙ্গে আছে ঈদের রমজান মাসও । তবু বাজার যেন ফিকে ৷ কলকাতার বাজার থেকে আচমকা উধাও ভিড় । অন্য বছরের তুলনায় এপ্রিল মাসের এই সময়ে এবার খানিকটা বেশি গরম রয়েছে । পারদ 40 ছুঁই ছুঁই। স্বভাবতই নাজেহাল অবস্থা চারপাশে । তীব্র দাবদাহে দিনে দুপুরে রাস্তায় পা ফেলা অসম্ভব হয়ে উঠেছে । আর তারই প্রভাব সরাসরি এসে পড়েছে চৈত্র মাসের বাজারে ।

চৈত্রের শুরুতে জামা কাপড় থেকে জুতো ছাতা সব কিছুতেই সেল থাকে । তাই প্রতি বছর ছাড়ে কম দামে জিনিস কিনতে দোকানে দোকানে উপচে পড়ে ক্রেতাদের ভিড়। এ বছরের চৈত্রের শুরুটা তেমন হলেও শেষটা আলাদা হচ্ছে বলে মত বিক্রেতাদের। বাংলার নতুন বছরকে নতুন জামা কাপড় থেকে ঘরের প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিস কিনতে যখন বেছে নেন মানুষ, তখন দাবদাহের চোখরাঙানিতে সেই প্রবণতা কমেছে । সেই ছবিই ধরা পড়ল গড়িয়াহাটে।

Gariahat market
চৈত্র সেল বাজার গড়িয়াহাটে

পোশাক বিক্রেতা সঞ্জয় দাসের কথায়, "আগের বছরের তুলনায় বেশ খারাপ বাজার । সকাল থেকে রোদ। লোকজন রাস্তায় বেরচ্ছেন না । সন্ধ্যার পর একটু লোক হচ্ছে ।" তবে গরম উপেক্ষা করে যাঁরা বেরোচ্ছেন তাঁদের কেনাকাটি বেশ ভালো হচ্ছে । যাদবপুরের বাসিন্দা রেশমি পাল গুহঠাকুরতা বলেন, "কাজ শেষে ফেরার পথে সময় পেয়েছি । নেমে একটু কেনাকাটা করছি । টপ দেখছি গরমের জন্য । 12 মাস এখান থেকেই জিনিস কিনে থাকি ।" বর্ধমানের বাসিন্দা পুনম বিশ্বাস বলেন, "দিনেরবেলা ভীষণ রোদ ও গরম । প্রায় কেনাকাটা চলে । তবে এই সময় প্রতিটা দোকানে ছাড় থাকে তাই একটু বেশি কেনাকাটা করে থাকি । বাড়ির সকলের জন্যই কিনছি ।"

Chaitra Sale
গরমের প্রভাব বাজারে

বিক্রেতা রাজ দাস জানান, বাজার নেই একদম । গরমের জন্য ক্রেতার সংখ্যা কম । বাজার খারাপ ফলে এবার ভালো বাজার হওয়ার আশা করলেও তীব্র রোদের দাপট যেন বিক্রেতাদের সেই আশায় জল ঢেলেছে । তাই মুখ ভার তাদের । খারাপ অবস্থা বড় দোকানদারদেরও । শীততাপ নিয়ন্ত্রিত দোকানপাটে প্রতিদিনের ব্যবসা চালানোর খরচ তুলে কর্মীদের মজুরি টাকা দিয়ে লাভের অংক সেভাবে দেখতে পাচ্ছেন না মালিকরা ।

আরও পড়ুন: ডিজিটাল লেনদেন কেড়েছে বাঙালির 'হালখাতা', কেমন আছেন এই জাবদা খাতার ব্যবসায়ীরা

Last Updated : Apr 12, 2023, 5:10 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.