ETV Bharat / state

সংবিধান প্রণেতারা দেশকে পথ দেখিয়েছিলেন : সমীর দাস

উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে চলছে সংবিধান । এটা ঠিক, কতগুলি মৌলিক আদর্শ সংকটের মধ্যে পড়েছে সংবিধান । কিন্তু, গড়পড়তা হিসেবে সাধারণের আবেদন-আন্দোলনের ফলে আবার সেই সংবিধানের উদ্দেশ্য এবং মূল্যবোধগুলো সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে । সংবিধানে সাধারণ মানুষের কথা ঠাঁই পেয়েছে । এদেশের ক্ষেত্রে এই কথাটা বড্ড বেশি সত্য ।

Indian Constitution
গ্রাফিক্স
author img

By

Published : Nov 26, 2019, 5:37 PM IST

কলকাতা, 26 নভেম্বর : মানুষের সুরক্ষার জন্যই সংবিধান প্রণেতারা তা রচনা করেছিলেন । খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের কথা সরাসরি সংবিধানে লেখা না থাকলেও নীতিগত এবং আদর্শগতভাবে তাকে এই সমাজে প্রতিষ্ঠা করেছে । অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংবিধান থেকেই বিভিন্ন ধারা উপধারা নিয়ে বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এত বড় দেশ ভারতে তা প্রয়োগ করা হচ্ছে ।

সংবিধান কখনও একটি জায়গায় স্থির থাকে না । বিভিন্নভাবে এগিয়ে চলে সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে । আমাদের দেশের সংবিধান সবচেয়ে বেশি উপযোগী, কারণ সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তা এগিয়ে চলেছে । বেশ কিছু মৌলিক মূল্যবোধ যেগুলো সংবিধানের প্রস্তাবনায় লেখা রয়েছে । দেখতে হবে, সেই মূল্যবোধগুলি আমরা যথাযথভাবে মর্যাদা দিতে পারছি কি না । সংবিধানের দুটি প্রধান অর্থ রয়েছে । একটি আক্ষরিক । অপরটি, আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করা । সাধারণ দেশবাসীর সামাজিক-রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক জীবনে সেই আদর্শগুলি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে এগোনোই হচ্ছে সঠিক সংবিধানের প্রয়োগ ।

মনে রাখতে হবে, উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে চলছে সংবিধান । এটা ঠিক, কতগুলি মৌলিক আদর্শ সংকটের মধ্যে পড়েছে সংবিধান । কিন্তু, গড়পড়তা হিসেবে সাধারণের আবেদন-আন্দোলনের ফলে আবার সেই সংবিধানের উদ্দেশ্য এবং মূল্যবোধগুলো সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে । সংবিধানে সাধারণ মানুষের কথা ঠাঁই পেয়েছে । এদেশের ক্ষেত্রে এই কথাটা বড্ড বেশি সত্য ।

ভিডিয়োয় শুনুন সমীর দাসের বক্তব্য

ভারতে যে কোনও মানুষের জীবন যাপনের অধিকার রয়েছে । সেই সুরক্ষা দিয়েছে ভারতীয় সংবিধান । নাগরিকপঞ্জি ইশুতে যাঁদের চিহ্নিত করা হবে বা হয়েছে, কোনওভাবেই তাঁদের মেরে ফেলতে পারবে না কেউ । কারণ, সংবিধান রয়েছে ভারতের মাথার উপর । দেশের শীর্ষ আদালত সংবিধানের পরিধি বৃদ্ধি করেছে । ভারতীয় সংবিধান বিশ্বাস করে, সবার হাতে কাজ- সবার সমান অধিকার । ব্যয় বরাদ্দ বাড়ালে পরে সংবিধান আরও বেশি স্বাস্থ্যকর হবে । দেশের মানুষ অভুক্ত থাকবে না ।

70 বছরের হিসেবে বলা যায় সংবিধান প্রণেতারা নতুন পথ দেখিয়েছিলেন । তৎকালীন ভারতের প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে থেকে সংবিধান প্রণেতারা দেশের কল্যাণেই তা রচনা করেছিলেন ।

(লেখক, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তথা বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক)

কলকাতা, 26 নভেম্বর : মানুষের সুরক্ষার জন্যই সংবিধান প্রণেতারা তা রচনা করেছিলেন । খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের কথা সরাসরি সংবিধানে লেখা না থাকলেও নীতিগত এবং আদর্শগতভাবে তাকে এই সমাজে প্রতিষ্ঠা করেছে । অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংবিধান থেকেই বিভিন্ন ধারা উপধারা নিয়ে বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এত বড় দেশ ভারতে তা প্রয়োগ করা হচ্ছে ।

সংবিধান কখনও একটি জায়গায় স্থির থাকে না । বিভিন্নভাবে এগিয়ে চলে সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে । আমাদের দেশের সংবিধান সবচেয়ে বেশি উপযোগী, কারণ সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তা এগিয়ে চলেছে । বেশ কিছু মৌলিক মূল্যবোধ যেগুলো সংবিধানের প্রস্তাবনায় লেখা রয়েছে । দেখতে হবে, সেই মূল্যবোধগুলি আমরা যথাযথভাবে মর্যাদা দিতে পারছি কি না । সংবিধানের দুটি প্রধান অর্থ রয়েছে । একটি আক্ষরিক । অপরটি, আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করা । সাধারণ দেশবাসীর সামাজিক-রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক জীবনে সেই আদর্শগুলি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে এগোনোই হচ্ছে সঠিক সংবিধানের প্রয়োগ ।

মনে রাখতে হবে, উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে চলছে সংবিধান । এটা ঠিক, কতগুলি মৌলিক আদর্শ সংকটের মধ্যে পড়েছে সংবিধান । কিন্তু, গড়পড়তা হিসেবে সাধারণের আবেদন-আন্দোলনের ফলে আবার সেই সংবিধানের উদ্দেশ্য এবং মূল্যবোধগুলো সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে । সংবিধানে সাধারণ মানুষের কথা ঠাঁই পেয়েছে । এদেশের ক্ষেত্রে এই কথাটা বড্ড বেশি সত্য ।

ভিডিয়োয় শুনুন সমীর দাসের বক্তব্য

ভারতে যে কোনও মানুষের জীবন যাপনের অধিকার রয়েছে । সেই সুরক্ষা দিয়েছে ভারতীয় সংবিধান । নাগরিকপঞ্জি ইশুতে যাঁদের চিহ্নিত করা হবে বা হয়েছে, কোনওভাবেই তাঁদের মেরে ফেলতে পারবে না কেউ । কারণ, সংবিধান রয়েছে ভারতের মাথার উপর । দেশের শীর্ষ আদালত সংবিধানের পরিধি বৃদ্ধি করেছে । ভারতীয় সংবিধান বিশ্বাস করে, সবার হাতে কাজ- সবার সমান অধিকার । ব্যয় বরাদ্দ বাড়ালে পরে সংবিধান আরও বেশি স্বাস্থ্যকর হবে । দেশের মানুষ অভুক্ত থাকবে না ।

70 বছরের হিসেবে বলা যায় সংবিধান প্রণেতারা নতুন পথ দেখিয়েছিলেন । তৎকালীন ভারতের প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে থেকে সংবিধান প্রণেতারা দেশের কল্যাণেই তা রচনা করেছিলেন ।

(লেখক, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তথা বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক)

Intro:দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্যই সংবিধান প্রণেতারা সংবিধান রচনা করেছিলেন। খাদ্য বস্ত্র বাসস্থানের কথা সরাসরি সংবিধানে লেখা না থাকলেও নীতিগত এবং আদর্শগতভাবে তাকে এই সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংবিধানের থেকেই বিভিন্ন ধারা উপধারা নিয়ে বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এত বড় দেশ ভারতবর্ষে তা প্রয়োগ করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তথা বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সমীর দাস গণতন্ত্রের সত্তর বছরে তার প্রাসঙ্গিকতা চিরন্তন বলেই মনে করেন।


Body:সংবিধান কখন একটি জায়গায় স্থির থাকে না বিভিন্নভাবে এগোয় সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে। আমাদের দেশের সংবিধান সবচেয়ে বেশি উপযোগী, কারণ সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে চলেছে এ দেশের সংবিধান। বললেন অধ্যাপক সমীর দাস। কতগুলো মৌলিক মূল্যবোধ থেকে যায়। যেগুলো সংবিধানের প্রস্তাবনায় লেখা রয়েছে। দেখতে হয়, সেই মূল্যবোধ গুলি আমরা যথাযথভাবে মর্যাদা দিতে পারছি কিনা। সংবিধানের দুটি প্রধান অর্থ রয়েছে। একটি আক্ষরিক। অপরটি আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করা। সাধারণ দেশবাসীর সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক জীবনে সেই আদর্শ গুলি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে এগোনোই হচ্ছে সঠিক সংবিধানের প্রয়োগ। মনে করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই বাগ্মী অধ্যাপক। উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে সংবিধান চলছে। কতগুলি মৌলিক আদর্শ সংকটের মধ্যে পড়েছে সংবিধান ঠিকই। কিন্তু গড়পড়তা হিসেবে সাধারণ মানুষের আবেদন আন্দোলনের ফলে আবার সেই সংবিধানের উদ্দেশ্যগুলো এবং মূল্যবোধগুলো সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে যে কথাটা সাধারণ মানুষের সেটা অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে জায়গা পেয়েছে সংবিধানে। সংবিধানের মৌলিক আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এ দেশের ক্ষেত্রে এই কথাটা বড্ড বেশি সত্যি। বলে মনে করেন তিনি। ভারতের যেকোনো মানুষের জীবন যাপনের অধিকার রয়েছে। সেই সুরক্ষা দিয়েছে ভারতীয় সংবিধান। নাগরিক পঞ্জি ইস্যুতে যাদেরকে চিহ্নিত করা হবে, কোনোভাবেই তাদেরকে মেরে ফেলতে পারবে না। কারণ সংবিধান রয়েছে ভারতের মাথার উপর। দেশের শীর্ষ আদালত সংবিধানের পরিধি বৃদ্ধি করেছে। সমাজ উন্নয়নমূলক কাজ কর্ম সুরক্ষা একশো দিনের কাজ, নির্দেশাত্মক নীতি, দারিদ্রতা মেনে, খিদেতে মানুষ মারা যাবে না।একথা সংবিধানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ভারতীয় সংবিধান বিশ্বাস করে সব হাতে কাজ, চাই সমান অধিকার। ব্যয় বরাদ্দ বাড়ালে পরে সংবিধান আরো বেশি স্বাস্থ্যকর হবে। দেশের মানুষ অভুক্ত থাকবেন না। ৭০ বছরের হিসেবে বলা যায় সংবিধানপ্রণেতা প্রণেতারা নির্ণায়কের পথ দেখিয়েছেন। তৎকালীন ভারতবর্ষের প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে থেকে সংবিধান প্রণেতারা দেশের সংবিধান দেশের কল্যানেই রচনা করেছিলেন।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.