কলকাতা, 29 ফেব্রুয়ারি : ব্যাঙ্কের নাম করে গ্রাহকের ফোনে আসছে ফোন ৷ জেনে নেওয়া হচ্ছে OTP ৷ ঠিক এভাবেই এবছর 10 জানুয়ারিতে প্রতারণা করে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল কয়েক লাখ টাকা ৷ ঘটনা ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকার ৷ ব্যাঙ্ক প্রতারণায় জামতাড়া যোগের প্রমাণ মিলল ৷ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি শাখা গ্রেপ্তার করে জামতাড়ার 4 জনকে । ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও একজনকে । ওই দুষ্কৃতী অবশ্য দুমকা জেলার বাসিন্দা । তাদের হেপাজতে কলকাতায় আনা হয়েছে ।
তিনটি পৃথক ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনা । প্রথম ঘটনাটি 2018 সালের 22 জুনের । স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি অ্যাকাউন্টের OTP জেনে নিয়ে এই প্রতারণা ঘটানো হয় । অভিযোগকারী বাঁশদ্রোণী এলাকার বাসিন্দা ছিলেন । তার অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়া যায় 56,500 টাকা । দ্বিতীয় ঘটনাটি পর্ণশ্রী থানা এলাকার । গত বছর 13 জুলাইয়ের ঘটনা । এক্ষেত্রেও ভিলেন সেই OTP । 2 লাখ 70 হাজার টাকা । তৃতীয় ঘটনা ঘটে এবছর 10 জানুয়ারিতে ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকায় । তদন্তে নেমে পুলিশ বুঝতে পারে এই ঘটনায় জামতাড়া গ্যাংয়ের কাজ। প্রথম ঘটনায় জড়িত ছিল রাজেন কিস্কু । দ্বিতীয় ঘটনার সঙ্গে জড়িত অমৃত সাউ এবং সুরিন্দর বার্নওয়াল । তৃতীয় ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিবনাথ দত্ত এবং শংকর প্রসাদ । এই পাঁচজনকে ঝাড়খন্ড থেকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ।
জামতাড়ায় শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রতারণার বিষয়টিকে । গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন রীতিমতো কর্পোরেট কায়দায় খোলা হয়েছে অফিস । সেখানে তৈরি হয়েছে নানা ভাষার ডেস্ক । ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের যুবক-যুবতিদের চাকরি দেওয়া হয়েছে সেখানে । তাদের কাজ বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা ৷ সেখানে বেশ কয়েকটি গ্রামে চলছে সেই কাজ । প্রতারণার জন্য তারা বের করে নয়া ফন্দি ৷ কিছুদিন আগে ক্যাব বুকিং অ্যাপের মাধ্যমে চালানো হচ্ছিল প্রতারণা । রেস্তরাঁয় টেবিল বুকিংয়ের নামেও প্রতারণা হয়েছে শহরে৷