কলকাতা/ব্যারাকপুর, 18 ডিসেম্বর: সংসদে অনুপ্রবেশ কাণ্ডে কলকাতায় এলেন দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের তিনজন আধিকারিক ৷ আজ সকালেই মহানগরীতে এসে কলকাতা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে এই ঘটনার মূল চক্রী ললিত ঝায়ের কলকাতার বাসস্থানে তল্লাশি অভিযান চালালেন তাঁরা ৷ 218 রবীন্দ্র সরণীর বাড়িতে অভিযান চালানোর পর, গিরীশ পার্ক থানায় যান তাঁরা । সেখানে তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে দিল্লি স্পেশাল সেলের তিন আধিকারিক কথাবার্তা বলছেন । জানা গিয়েছে, ললিত ঝা এই শহরে কতদিন ধরে ছিলেন, কোথায় কোথায় তাঁর গতিবেধি ছিল, সেই সম্পর্কে পুলিশ আদৌ কোনও তথ্য জানত কি না, সেই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছেন দিল্লি পুলিশের কর্তারা ।
লালবাজার সূত্রের খবর, গতকালই ইমেল মারফত দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের স্পেশাল সেলের আধিকারিক কলকাতায় আসবেন । সেই মতো বন্দোবস্ত করা হয়েছিল লালবাজারের তরফে । এ দিন সকালে গিরীশ পার্কে ললিত ঝায়ের বাড়িতে হানা দেন দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের তিন জন আধিকারিক । সেখানে বর্তমানে ভাড়া থাকা অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ধরে তদন্তকারীরা কথাবার্তা বলেন । তাঁরা ললিত ঝাকে কীভাবে চিনতেন এবং কতদিন দেখেছিলেন, এ ছাড়াও শেষ কবে ললিতকে দেখা গিয়েছিল, সেই বিষয়ে খোঁজখবর করা হয় ৷ গোটা জায়গার ভিডিয়োগ্রাফি করা হয় বলে লালবাজার সূত্রের খবর ।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দিল্লির আধিকারিকরা গিরীশ পার্ক থানায় থাকলেও, এরপর তাঁরা বিধাননগর কমিশনারেটের অধীনস্ত বাগুইআটি থানা চত্বরে যাবেন । কারণ তদন্তে উঠে এসেছে বাগুইআটি এলাকাতে ললিত ঝা বেশ কয়েক বছর ছিলেন । এ ক্ষেত্রে আধিকারিকরা বাগুইআটি থানাতেও পরবর্তী সময়ে যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে ।
এ দিকে, সংসদ ভবনে অনুপ্রবেশের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ উত্তর 24 পরগনার হালিশহরের নীলাক্ষ আইচের যোগসূত্র খুঁজে পায় । মূল অভিযুক্ত ললিত ঝায়ের সঙ্গে নীলাক্ষ আইচের যে যোগাযোগ ছিল তা পরিষ্কার হয় তদন্তকারী অফিসারদের কাছে । সেই অনুযায়ী নীলাক্ষ আইচের ঠিক ভূমিকা ছিল তা জানতে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের দুই আধিকারিক আজ পৌঁছন হালিশহরে নীলাক্ষর বাড়িতে । বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদ হামলায় মূল অভিযুক্ত ললিত ঝায়ের সঙ্গে নীলাক্ষ আইচের কী সম্পর্ক ছিল, সেই বিষয়ে জানতেই আজ তাঁর বাড়িতে যান তদন্তকারীরা ।
সম্প্রতি দিল্লিতে সংসদ হামলার দিনে সংসদে অনুপ্রবেশ কাণ্ডে মূল চক্রী হিসেবে লালিত ঝায়ের নাম তদন্তে উঠে আসে । অবশেষে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চে আত্মসমর্পণ করেন ললিত ৷ তদন্তে এগোলে ললিতের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ স্পষ্ট হয় ।
আরও পড়ুন: