ETV Bharat / state

6 নয়, রাজ্যে কোরোনায় মৃত তিন, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

author img

By

Published : Apr 1, 2020, 5:55 PM IST

Updated : Apr 1, 2020, 9:30 PM IST

তথ্য ছাড়াই কথা বলা হচ্ছে । রাজ্যে কোরোনা সংক্রমিত হয়ে এপর্যন্ত মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছে । আজ সাংবাদিক বৈঠকে একথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ছবি
ছবি

কলকাতা, ১ এপ্রিল : ছ'জন নয় রাজ্যে কোরোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোরোনা নিয়ে তাঁর এই মন্তব্যের জেরে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে বিরোধী শিবিরে । কোরোনা মোকাবিলায় রাজ্যজুড়ে মুখ্যমন্ত্রীর একের পর এক পদক্ষেপ যখন প্রশংসা কুড়িয়েছে, ঠিক সেই মুহূর্তে তাঁর আজকের মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি করল বলেই মনে করা হচ্ছে ৷

গত কয়েকদিনে রাজ্যে একের পর এক মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে । বেলঘরিয়া,দমদম, হুগলি ও কালিম্পঙে একজন করে এবং হাওড়ায় দুজন, সবমিলিয়ে এপর্যন্ত রাজ্যে মোট ছ'জনের মৃত্যু হয়েছে । সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলির তরফেও নিশ্চিত করা হয়েছে এই খবর । এদিকে, আজ নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে মোট কোরোনা পজ়িটিভ কেস 37। এদের মধ্যে 3 জন মারা গেছেন। তিনজনের মধ্যে আবার একজনের নিউমোনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে । পাশাপাশি সুস্থ হয়েছেন তিনজন । 37 জনের মধ‍্যে চারটি পরিবার থেকে 17 জন আক্রান্ত হয়েছেন ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তথ্য ছাড়াই যে যাঁর ইচ্ছেমতো কথা বলছেন । নিজেদের মতো করে মৃত্যুর সংখ্যা বলে দিচ্ছেন ।

মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিরোধী শিবিরে । বিরোধীদের একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি হাসপাতালগুলির তরফে বারবার ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে ? বিভ্রান্ত করা হয়েছে মানুষজনকে? কোরোনা সংক্রমণে মৃত্যুর মতো এ রকম একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের মধ্যেই কি সমন্বয়ের অভাব আছে ? না কি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সঠিক তথ্য নেই ? কেউ কেউ আবার বলছেন, পরিস্থিতির সামাল দিতেই একথা বলেছেন মমতা ।

রাজ্যে কোরোনা সংক্রমণ নিয়ে ইতিমধ্যেই একের পর এক পদক্ষেপ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কখনও নিজেই প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন । কখনও এলাকায় এলাকায় গিয়ে, রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে চক দিয়ে দাগ কেটে সাধারণ মানুষকে সামাজিক দূরত্বের বার্তা দিয়েছেন । সচেতন করেছেন । বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার কথা বলেছেন । কোরোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর একের পর এক পদেক্ষেপের প্রশংসা করেছেন বিরোধীরাও । রাজ্যের তাবড় তাবড় রাজনীতিকরাও সমর্থন করেছিলেন মমতার এই সচেতনতামূলক পদক্ষেপকে । প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর । এই পরিস্থিতিতে আজ মমতার এই মন্তব্য কোথাও যেন নতুন করে আবার বিতর্ক তৈরি করল ।

নিজ়ামউদ্দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ইতিমধ্যে কোরোনা সংক্রমণে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে । এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "দিল্লিতে যাওয়া ৫৪ জনকে চিহ্নিত করে কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন ইন্দোনেশিয়া ও মায়ানমারের বাসিন্দা । " চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী, সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়দের পাশে বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "জেলায় জেলায় পৃথক কোরোনা হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে । কলকাতাতেও হচ্ছে কোরোনা হাসপাতাল। " পাশাপাশি রাজ্যের সকল মানুষের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, "বাড়িতে থাকুন । সিদ্ধভাত খান। লকডাউন সম্পূর্ণ সফল করুন। রাস্তায় ভিড় করবেন না। জরুরি পণ্যের কোনও ঘাটতি নেই। হাটে -বাজারে গিয়ে দূরত্ব বজায় রাখুন।"

কলকাতা, ১ এপ্রিল : ছ'জন নয় রাজ্যে কোরোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোরোনা নিয়ে তাঁর এই মন্তব্যের জেরে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে বিরোধী শিবিরে । কোরোনা মোকাবিলায় রাজ্যজুড়ে মুখ্যমন্ত্রীর একের পর এক পদক্ষেপ যখন প্রশংসা কুড়িয়েছে, ঠিক সেই মুহূর্তে তাঁর আজকের মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি করল বলেই মনে করা হচ্ছে ৷

গত কয়েকদিনে রাজ্যে একের পর এক মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে । বেলঘরিয়া,দমদম, হুগলি ও কালিম্পঙে একজন করে এবং হাওড়ায় দুজন, সবমিলিয়ে এপর্যন্ত রাজ্যে মোট ছ'জনের মৃত্যু হয়েছে । সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলির তরফেও নিশ্চিত করা হয়েছে এই খবর । এদিকে, আজ নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে মোট কোরোনা পজ়িটিভ কেস 37। এদের মধ্যে 3 জন মারা গেছেন। তিনজনের মধ্যে আবার একজনের নিউমোনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে । পাশাপাশি সুস্থ হয়েছেন তিনজন । 37 জনের মধ‍্যে চারটি পরিবার থেকে 17 জন আক্রান্ত হয়েছেন ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তথ্য ছাড়াই যে যাঁর ইচ্ছেমতো কথা বলছেন । নিজেদের মতো করে মৃত্যুর সংখ্যা বলে দিচ্ছেন ।

মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিরোধী শিবিরে । বিরোধীদের একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি হাসপাতালগুলির তরফে বারবার ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে ? বিভ্রান্ত করা হয়েছে মানুষজনকে? কোরোনা সংক্রমণে মৃত্যুর মতো এ রকম একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের মধ্যেই কি সমন্বয়ের অভাব আছে ? না কি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সঠিক তথ্য নেই ? কেউ কেউ আবার বলছেন, পরিস্থিতির সামাল দিতেই একথা বলেছেন মমতা ।

রাজ্যে কোরোনা সংক্রমণ নিয়ে ইতিমধ্যেই একের পর এক পদক্ষেপ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কখনও নিজেই প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন । কখনও এলাকায় এলাকায় গিয়ে, রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে চক দিয়ে দাগ কেটে সাধারণ মানুষকে সামাজিক দূরত্বের বার্তা দিয়েছেন । সচেতন করেছেন । বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার কথা বলেছেন । কোরোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর একের পর এক পদেক্ষেপের প্রশংসা করেছেন বিরোধীরাও । রাজ্যের তাবড় তাবড় রাজনীতিকরাও সমর্থন করেছিলেন মমতার এই সচেতনতামূলক পদক্ষেপকে । প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর । এই পরিস্থিতিতে আজ মমতার এই মন্তব্য কোথাও যেন নতুন করে আবার বিতর্ক তৈরি করল ।

নিজ়ামউদ্দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ইতিমধ্যে কোরোনা সংক্রমণে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে । এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "দিল্লিতে যাওয়া ৫৪ জনকে চিহ্নিত করে কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন ইন্দোনেশিয়া ও মায়ানমারের বাসিন্দা । " চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী, সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়দের পাশে বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "জেলায় জেলায় পৃথক কোরোনা হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে । কলকাতাতেও হচ্ছে কোরোনা হাসপাতাল। " পাশাপাশি রাজ্যের সকল মানুষের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, "বাড়িতে থাকুন । সিদ্ধভাত খান। লকডাউন সম্পূর্ণ সফল করুন। রাস্তায় ভিড় করবেন না। জরুরি পণ্যের কোনও ঘাটতি নেই। হাটে -বাজারে গিয়ে দূরত্ব বজায় রাখুন।"

Last Updated : Apr 1, 2020, 9:30 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.