কলকাতা, 29 অক্টোবর: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারি পর্বের মধ্যেই হঠাৎ করে চমক। আর চমকের কথা শোনালেন খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। রবিবার কুণাল ঘোষ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার এই তালিকা আরও লম্বা হতে চলেছে। কারণ হিসাবে তাঁর ব্যাখ্যা, এখনও 20 জন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। তবে এই 20 জনের তালিকায় ঠিক কারা কারা রয়েছেন সে কথা তিনি খোলসা করে বলেননি। তা সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের এই দাবিতে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
21-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই একের পর এক বিজেপি বিধায়ককে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম লেখাতে দেখা গিয়েছে। এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হল বাঁকুড়া কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার। বিজয়া মিটতেই অতি সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেছেন তিনি। খাতায়-কলমের হিসাব বলছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে 77টি আসন পেয়েছিল বিজেপি । শান্তিপুর এবং দিনহাটা দুই আসনে বিজেপি জিতলেও পরে ওই দুই আসনে বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় উপনির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে বিজেপির আসন সংখ্যা কমে দাঁড়ায় 75।
এরপর নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময়ের অন্তরে একের পর এক বিজেপি বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লিখিয়েছে। ফলে ইতিমধ্যেই এই সংখ্যাটা 70-এর নীচে নেমে গিয়েছে । এদিন কুণাল ঘোষের বক্তব্যে যদি আদৌ কোনও সারবত্তা থাকে তা প্রধান বিরোধী দল বিজেপির জন্য অত্যন্ত আশঙ্কার খবর হতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: এখনই মন্ত্রী পদ হারাচ্ছেন না ইডি’র হাতে গ্রেফতার হওয়া জ্যোতিপ্রিয়!
প্রসঙ্গত, এও ঠিক যে, বিজেপি বিধায়করা দলবদল করে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করছেন বিধানসভার খাতায়-কলমে তাঁরা কিন্তু বিজেপিই থেকে যাচ্ছেন । ফলে নতুন করে নির্বাচনের অবকাশ থাকছে না। আর সেই জায়গা থেকেই চাপ বাড়ছে বিজেপির কাছে। এদিন বাংলার মাটি দিল্লি নিয়ে যাওয়া নিয়েও বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, "কলকাতা থেকে মাটি নিয়ে যেতে হবে না । বাংলার মাটি পবিত্র মাটি । সেটা ছুঁয়ে যদি পূণ্য করতে হয়, তার আগে বাংলার পাওনা টাকাটা দিন তারপর বাংলার মাটি নিয়ে যাবেন।"