ETV Bharat / state

Adenovirus in Bengal: মাত্র 2 মাসে রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসের বলি 112 শিশু - Adenovirus

অ্যাডিনো ভাইরাস (Adenovirus) যেন ত্রাস সৃষ্টি করেছে বঙ্গে ৷ একের পর এক শিশুমৃত্যুর ঘটনায় চিন্তিত রাজ্য ৷

Etv Bharat
প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Mar 6, 2023, 10:33 PM IST

কলকাতা, 6 মার্চ: রাজ্যে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করেছে অ্যাডিনো ভাইরাস (Effect of Adenovirus in Bengal)। 100 পার করল শিশুমৃত্যুর সংখ্যা । জ্বর-সর্দি-কাশিতে মৃত্যু একাধিক শিশুর । পাশাপাশি অ্যাডিনো ভাইরাসেও আক্রান্ত ছিল বহু । বেসরকারি মতে, জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট শিশু মৃত্যুর সংখ্যা 112 । চিকিৎসক মহলের পক্ষ থেকে বারবার সচেতনতার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে । তবে পরিস্থিতি এবার নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের ।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা 17, আরজিকর হাসপাতালে 25, বিসি রায় হাসপাতালে 45, পিয়ারলেস হাসপাতালে 2, পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো হাসপাতালে 1, চিত্তরঞ্জন শিশু সদনে 1, ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে 6, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে 1, বাঁকুড়া জেলা হাসপাতালে 1 এবং বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে 2 । এছাড়াও আরও বেশ কিছু শিশুমৃত্যুর খবর মিলেছে । সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত 112 জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে । এর মধ্যে কিছু সংখ্যক শিশুর মৃত্যু হয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাসের কারণে আর কিছু মৃত্যু হয়েছে একিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন বা এআরআই (ARI)।

পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক বৈঠক হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে । বিসি রায় হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে । অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে । তবে রোগীর পরিবারের থেকে বারবার উঠে আসছে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ । বেডের অভাবে যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন শিশুর পরিবাররা । অন্যদিকে শহর কলকাতার পাশাপাশি জেলা থেকেও বহু কেস রেফার হয়ে আসছে । ফলে ক্রমেই ভিড় জমছে শহর কলকাতার হাসপাতালগুলিতে । বিসি রায় ও কলকাতা মেডিক‌্যাল কলেজের উপর চাপ কমাতে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালেও নতুন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে ।

এই বিষয়ে ভাইরোলজিস্ট চিকিৎসক সুমন পোদ্দারের কথায়,"এটা সত্যি এ বছর একটা আউটব্রেক হয়েছে । তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলা যায় না । অ্যাডিনো ভাইরাস যেমন রয়েছে তেমনই আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গেও বেশ কিছু ফ্লু আছে । পাশাপাশি রয়েছে সোয়াইন ফ্লু । তাতেও বহু শিশু আক্রান্ত হচ্ছে । আরেকটা বিষয়, বাচ্চারা বহুদিন বাইরে বেরোতে পারেনি করোনার কারণে । ফলে তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম । কিন্তু এবার স্কুলগুলো বন্ধ হচ্ছে, গরম পড়ছে । তাই মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আশা করছি অনেকটা অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ কমবে ।"

কলকাতা, 6 মার্চ: রাজ্যে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করেছে অ্যাডিনো ভাইরাস (Effect of Adenovirus in Bengal)। 100 পার করল শিশুমৃত্যুর সংখ্যা । জ্বর-সর্দি-কাশিতে মৃত্যু একাধিক শিশুর । পাশাপাশি অ্যাডিনো ভাইরাসেও আক্রান্ত ছিল বহু । বেসরকারি মতে, জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট শিশু মৃত্যুর সংখ্যা 112 । চিকিৎসক মহলের পক্ষ থেকে বারবার সচেতনতার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে । তবে পরিস্থিতি এবার নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের ।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা 17, আরজিকর হাসপাতালে 25, বিসি রায় হাসপাতালে 45, পিয়ারলেস হাসপাতালে 2, পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো হাসপাতালে 1, চিত্তরঞ্জন শিশু সদনে 1, ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে 6, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে 1, বাঁকুড়া জেলা হাসপাতালে 1 এবং বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে 2 । এছাড়াও আরও বেশ কিছু শিশুমৃত্যুর খবর মিলেছে । সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত 112 জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে । এর মধ্যে কিছু সংখ্যক শিশুর মৃত্যু হয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাসের কারণে আর কিছু মৃত্যু হয়েছে একিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন বা এআরআই (ARI)।

পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক বৈঠক হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে । বিসি রায় হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে । অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে । তবে রোগীর পরিবারের থেকে বারবার উঠে আসছে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ । বেডের অভাবে যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন শিশুর পরিবাররা । অন্যদিকে শহর কলকাতার পাশাপাশি জেলা থেকেও বহু কেস রেফার হয়ে আসছে । ফলে ক্রমেই ভিড় জমছে শহর কলকাতার হাসপাতালগুলিতে । বিসি রায় ও কলকাতা মেডিক‌্যাল কলেজের উপর চাপ কমাতে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালেও নতুন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে ।

এই বিষয়ে ভাইরোলজিস্ট চিকিৎসক সুমন পোদ্দারের কথায়,"এটা সত্যি এ বছর একটা আউটব্রেক হয়েছে । তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলা যায় না । অ্যাডিনো ভাইরাস যেমন রয়েছে তেমনই আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গেও বেশ কিছু ফ্লু আছে । পাশাপাশি রয়েছে সোয়াইন ফ্লু । তাতেও বহু শিশু আক্রান্ত হচ্ছে । আরেকটা বিষয়, বাচ্চারা বহুদিন বাইরে বেরোতে পারেনি করোনার কারণে । ফলে তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম । কিন্তু এবার স্কুলগুলো বন্ধ হচ্ছে, গরম পড়ছে । তাই মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আশা করছি অনেকটা অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ কমবে ।"

আরও পড়ুন : অ্যাডিনো ভাইরাসে শিশু মৃত্যুতে বিধানসভায় উদ্বেগ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.