ETV Bharat / state

110 কেজি রুপো দিয়ে তৈরি হচ্ছে শতবর্ষের দুর্গাপ্রতিমা

author img

By

Published : Sep 23, 2019, 8:58 PM IST

Updated : Sep 23, 2019, 9:04 PM IST

পুজোর থিম 'অপরূপা বাংলা' ৷ দুর্গা প্রতিমার পাশাপাশি মণ্ডপসজ্জায় থাকবে বিশেষ চমক ৷ প্রায় 60 লাখ টাকার 110 কেজি রুপোর তৈরি প্রতিমার সুরক্ষায় থাকছে সশস্ত্র পুলিশ , সিভিক ভলান্টিয়র ও 13 টি CCTV ।

১১০ কেজি রুপো দিয়ে তৈরি হচ্ছে শতবর্ষের দুর্গা প্রতিমা

কলকাতা, 23 সেপ্টেম্বর : পূর্ব কলকাতার কামারডাঙা সাধারণ দুর্গোৎসব সমিতি ৷ তৎকালীন পরাধীন ভারতের ট্যাংরার পটারি রোডের দুর্গা মাঠে শুরু হয়েছিল এই দুর্গাপুজো ৷ হাতেগোনা কয়েকজনকে নিয়ে শুরু হয়েছিল দেবী দুর্গার আরাধনা ৷ এই পুজোই এবার শতবর্ষে পা দিতে চলেছে ৷ তাই পুজোর উদ্যোক্তারা অভিনব দুর্গাপ্রতিমা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন ৷ 110 কেজি রুপো দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা ৷ শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার ৷

110 কেজি রুপো দিয়ে তৈরি মূর্তিটি প্রায় 15 ফুট উঁচু ৷ প্রতিমার আদল বাংলা ঘরানার হলেও আধুনিকতার ছোঁয়া থাকবে । যেমন মাথায় ঘোমটা থাকলেও দুর্গা পরে থাকবেন ঘাগড়া । রুপোর পাতের উপর তৈরি হয়েছে প্রতিমার অলঙ্কার । অসুরকে বিনাশ করে শান্তির বার্তা নিয়ে দুর্গা দাঁড়িয়ে থাকবেন অসুরের শরীরের উপর । দেবী দুর্গার হাতে অস্ত্রের বদলে থাকবে জ্বলন্ত প্রদীপ । অশুভ শক্তির বিনাশের পর মাতৃমূর্তির এমনই ভাবনার প্রকাশ পাবে শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দারের শিল্পকর্মে । হাবরার বানিপুরে 10 জন শিল্পী ছয় মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই প্রতিমা তৈরি করছেন । প্রায় 60 লাখ টাকার এই প্রতিমার সুরক্ষায় থাকছে সশস্ত্র পুলিশ , সিভিক ভলান্টিয়র ও 13 টি CCTV ।

পুজোর থিম 'অপরূপা বাংলা' ৷ পশ্চিমবঙ্গের 23 টি জেলার বিশেষ বিশেষ শিল্প-সংস্কৃতি, কৃষ্টি তুলে ধরা হবে পূজামণ্ডপে ৷ কৃষি, স্বাক্ষরতার হার, জনসংখ্যা ও জেলার বিশিষ্ট মনীষীদের পরিচয় থাকবে মণ্ডপে । আসামের বিশেষ ধরনের বাঁশ দিয়ে তৈরি শিল্প থাকবে মণ্ডপের প্রধান প্রবেশদ্বারে । প্রত্যেক জেলার একটি সম্যক ধারণা তুলে ধরা হবে পাটের নকশার মধ্যে দিয়ে । কারণ, একসময় পাট ছিল পশ্চিমবঙ্গের অত্যন্ত ঐতিহ্যপূর্ণ শিল্প । পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রধান পরিচয় তার হস্তশিল্পে । যেমন বাঁকুড়ার টেরাকোটা, পুরুলিয়ার ছৌ, বর্ধমানের কাঠের পেঁচা, মুর্শিদাবাদের শোলা শিল্প । এ রকম বিভিন্ন জেলার নানা শিল্প-সৃষ্টি দিয়ে তৈরি করা হবে মণ্ডপ । থাকবে কলকাতার ট্রাম ও রিকশার প্রতিকৃতি । পূজামণ্ডপে থাকবে আলো-আঁধারি আলোকসজ্জার ব্যবস্থা । যা আনা হবে চন্দননগর থেকে । এবারের পুজোর থিম সঙ হবে বাউল ও ঝুমুর শিল্পীদের নিয়ে । পুজোর উদ্বোধনের দিন থাকবে তাঁদেরই লাইভ শো । 10 জন HIV আক্রান্ত মহিলা এই মণ্ডপসজ্জার কাজে যোগ দিয়েছেন । পুজো উদ্যোক্তা সমীর সাহার দাবি, মণ্ডপ ঘুরতে ঘুরতে দর্শনার্থীরা রূপসী বাংলায় হারিয়ে যাবেন ৷

হাবরার চৈতন্য কলেজ থেকে স্নাতক ইন্দ্রজিৎ মূর্তি বানানোর প্রশিক্ষণ নেননি ৷ 2000 সালে দীঘায় বেড়াতে গিয়ে ঝিনুক কিনেছিলেন ইন্দ্রজিৎ । আর তা দিয়েই পাড়ার ক্লাবের কালী প্রতিমা তৈরি করেন । পরের বছরই জেলার দুটি সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপ তৈরির দায়িত্ব পান । 2016 সালে ত্রিপুরার একটি পুজোর জন্য 4 কোটি টাকার সোনার দুর্গা তৈরি করেন তিনি । 2018 সালে তৈরি করেন 10 কোটি টাকার হীরের প্রতিমা । এবার শতবর্ষে কামারডাঙা সাধারণ দুর্গোৎসব কমিটির পূজা মণ্ডপে ইন্দ্রজিৎ বানাচ্ছেন 110 কেজি রুপোর প্রতিমা ।

কলকাতা, 23 সেপ্টেম্বর : পূর্ব কলকাতার কামারডাঙা সাধারণ দুর্গোৎসব সমিতি ৷ তৎকালীন পরাধীন ভারতের ট্যাংরার পটারি রোডের দুর্গা মাঠে শুরু হয়েছিল এই দুর্গাপুজো ৷ হাতেগোনা কয়েকজনকে নিয়ে শুরু হয়েছিল দেবী দুর্গার আরাধনা ৷ এই পুজোই এবার শতবর্ষে পা দিতে চলেছে ৷ তাই পুজোর উদ্যোক্তারা অভিনব দুর্গাপ্রতিমা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন ৷ 110 কেজি রুপো দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা ৷ শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার ৷

110 কেজি রুপো দিয়ে তৈরি মূর্তিটি প্রায় 15 ফুট উঁচু ৷ প্রতিমার আদল বাংলা ঘরানার হলেও আধুনিকতার ছোঁয়া থাকবে । যেমন মাথায় ঘোমটা থাকলেও দুর্গা পরে থাকবেন ঘাগড়া । রুপোর পাতের উপর তৈরি হয়েছে প্রতিমার অলঙ্কার । অসুরকে বিনাশ করে শান্তির বার্তা নিয়ে দুর্গা দাঁড়িয়ে থাকবেন অসুরের শরীরের উপর । দেবী দুর্গার হাতে অস্ত্রের বদলে থাকবে জ্বলন্ত প্রদীপ । অশুভ শক্তির বিনাশের পর মাতৃমূর্তির এমনই ভাবনার প্রকাশ পাবে শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দারের শিল্পকর্মে । হাবরার বানিপুরে 10 জন শিল্পী ছয় মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই প্রতিমা তৈরি করছেন । প্রায় 60 লাখ টাকার এই প্রতিমার সুরক্ষায় থাকছে সশস্ত্র পুলিশ , সিভিক ভলান্টিয়র ও 13 টি CCTV ।

পুজোর থিম 'অপরূপা বাংলা' ৷ পশ্চিমবঙ্গের 23 টি জেলার বিশেষ বিশেষ শিল্প-সংস্কৃতি, কৃষ্টি তুলে ধরা হবে পূজামণ্ডপে ৷ কৃষি, স্বাক্ষরতার হার, জনসংখ্যা ও জেলার বিশিষ্ট মনীষীদের পরিচয় থাকবে মণ্ডপে । আসামের বিশেষ ধরনের বাঁশ দিয়ে তৈরি শিল্প থাকবে মণ্ডপের প্রধান প্রবেশদ্বারে । প্রত্যেক জেলার একটি সম্যক ধারণা তুলে ধরা হবে পাটের নকশার মধ্যে দিয়ে । কারণ, একসময় পাট ছিল পশ্চিমবঙ্গের অত্যন্ত ঐতিহ্যপূর্ণ শিল্প । পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রধান পরিচয় তার হস্তশিল্পে । যেমন বাঁকুড়ার টেরাকোটা, পুরুলিয়ার ছৌ, বর্ধমানের কাঠের পেঁচা, মুর্শিদাবাদের শোলা শিল্প । এ রকম বিভিন্ন জেলার নানা শিল্প-সৃষ্টি দিয়ে তৈরি করা হবে মণ্ডপ । থাকবে কলকাতার ট্রাম ও রিকশার প্রতিকৃতি । পূজামণ্ডপে থাকবে আলো-আঁধারি আলোকসজ্জার ব্যবস্থা । যা আনা হবে চন্দননগর থেকে । এবারের পুজোর থিম সঙ হবে বাউল ও ঝুমুর শিল্পীদের নিয়ে । পুজোর উদ্বোধনের দিন থাকবে তাঁদেরই লাইভ শো । 10 জন HIV আক্রান্ত মহিলা এই মণ্ডপসজ্জার কাজে যোগ দিয়েছেন । পুজো উদ্যোক্তা সমীর সাহার দাবি, মণ্ডপ ঘুরতে ঘুরতে দর্শনার্থীরা রূপসী বাংলায় হারিয়ে যাবেন ৷

হাবরার চৈতন্য কলেজ থেকে স্নাতক ইন্দ্রজিৎ মূর্তি বানানোর প্রশিক্ষণ নেননি ৷ 2000 সালে দীঘায় বেড়াতে গিয়ে ঝিনুক কিনেছিলেন ইন্দ্রজিৎ । আর তা দিয়েই পাড়ার ক্লাবের কালী প্রতিমা তৈরি করেন । পরের বছরই জেলার দুটি সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপ তৈরির দায়িত্ব পান । 2016 সালে ত্রিপুরার একটি পুজোর জন্য 4 কোটি টাকার সোনার দুর্গা তৈরি করেন তিনি । 2018 সালে তৈরি করেন 10 কোটি টাকার হীরের প্রতিমা । এবার শতবর্ষে কামারডাঙা সাধারণ দুর্গোৎসব কমিটির পূজা মণ্ডপে ইন্দ্রজিৎ বানাচ্ছেন 110 কেজি রুপোর প্রতিমা ।

Intro:অভিনব দুর্গা প্রতিমা। পূর্ব কলকাতার কামারডাঙ্গা সাধারণ দুর্গোৎসব সমিতি এবছর শতবর্ষে পদার্পণ করল। তৎকালীন পরাধীন ভারতের পূর্ব কলকাতার ট্যাংরা অঞ্চলের পটারি রোডের দুর্গা মাঠে জনাকয়েক হাতেগোনা পল্লীবাসীকে নিয়ে শুরু হয়েছিল দেবী দুর্গার আরাধনা।
১১০ কেজি রুপোর প্রতিমা তৈরি করছেন শিল্পী ইন্দ্রজিত পোদ্দার। হাবরা বানিপুর পূর্বপাড়ার মনসা বাড়ি এলাকার বাসিন্দা শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার।


Body:শতবর্ষে এবারের দুর্গা 'একশোতে একশো দশ' রুপোর প্রতিমা। অর্থাৎ একশো দশ কেজি রুপা দিয়ে তৈরি হয়েছে শতবর্ষের মাতৃ প্রতিমা। প্রতিমার আদল বাংলা ঘরানার হলেও একটু আধুনিকতার ছোঁয়াও থাকবে তাতে। যেমন মাথায় ঘোমটা থাকলেও দুর্গার পড়ে থাকবে ঘাগড়া। সবই রুপোর পাতের উপর শিল্পীদের নিপুন কাজে তৈরি হয়েছে। যেখানে অসুরকে বিনাশ করে শান্তির বার্তা নিয়ে দুর্গা নিজেই দাঁড়িয়ে থাকবেন অসুরের শরীরের ওপর।
দেবী দুর্গার কয়েকটি হাতে থাকবে জ্বলন্ত প্রদীপ। কোন অস্ত্র নয় দেবীর হাতে। অন্য হাতে তিনি অভয় দান করবেন। প্রায় ১৫ ফুট উচ্চতার রুপোর তৈরি এই দেবী দুর্গার মূর্তিতে বিভিন্ন অলংকারও থাকবে সব নিখুঁত খোদাই করা রুপোর। অশুভ শক্তির বিনাশের পর মাতৃমূর্তির এমনই ভাবনার প্রকাশ পাবে হাবড়ার শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দারের শিল্পকর্মে। রুপোর এই প্রতিমা তৈরীর কাজ হয়েছে শিল্পীর নিজের জায়গা হাবরার বানিপুরে। ১০ জন শিল্পী ছয় মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই প্রতিমা তৈরি করছেন।
অন্যদিকে মন্ডপসজ্জায় শিল্পী তুলে ধরবেন অপরূপা বাংলা মাকে। পুজোর ভাবনায় পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলার বিশেষ বিশেষ শিল্প-সংস্কৃতি, কৃষ্টি যেমন তুলে ধরা হবে, তেমনি থাকবে কৃষি, সাক্ষরতার হার, জনসংখ্যা এবং জেলার বিশিষ্ট মনীষীদের পরিচয়। আসামের বিশেষ ধরনের বাঁশ দিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের তৈরি শিল্প থাকবে মন্ডপের প্রধান প্রবেশ দ্বারে। প্রত্যেক জেলার একটি সম্যক ধারণা তুলে ধরা হবে পাটের নকশার মধ্যে দিয়ে। কারণ, একসময় পাটছিল পশ্চিমবঙ্গের অত্যন্ত ঐতিহ্যপূর্ণ শিল্প। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রধান পরিচয় তার হস্তশিল্প। যেমন বাঁকুড়ার টেরাকোটা, পুরুলিয়ার ছৌ, বর্ধমানের কাঠের পেঁচা, মুর্শিদাবাদের শোলা শিল্প। এইরকম বিভিন্ন জেলার নানান উন্নতমানের শিল্প সৃষ্টি দিয়ে করা হবে মণ্ডপসজ্জা। থাকবে কলকাতার ঐতিহ্যমন্ডিত ট্রাম ও রিকশার প্রতিকৃতি। দশজন এইচআইভি আক্রান্ত মেয়েও এই মন্ডপ সজ্জায় হস্তশিল্পের কাজে যোগ দিয়েছেন।
প্রতিমাসহ এমনই সৃজনশীল সৃষ্টি দিয়ে সেজে উঠবে এবারের শতবর্ষের দুর্গোৎসব। শতবর্ষে ১১০ কেজি রুপোর সাজে অপরূপা দেবী দুর্গাকে দেখতে দেখতে আর মন্ডল ঘুরতে ঘুরতে কখন যেন দর্শনার্থীরা হারিয়ে যাবেন রূপসী বাংলায়, হারিয়ে যাবেন সম্প্রীতির বাংলায়, দাবি সম্পাদক সমীর সাহার।
এসব কিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমগ্র পূজামণ্ডপে থাকবে আলো-আঁধারি আলোকসজ্জার ব্যবস্থা। যা আনা হবে চন্দননগর থেকে। এবারের থিম সঙ্গীত হবে বাউল আর ঝুমুর শিল্পীদের নিয়ে। পুজোর উদ্বোধনের দিন থাকবে তাদেরই লাইভ শো। এবারের পুজোর থিম 'অপরূপা বাংলা'।


Conclusion:হাবরার চৈতন্য কলেজ থেকে স্নাতক ইন্দ্রজিতের মূর্তি বানানোর প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা সেই অর্থে নেই। ২০০০ সালে দীঘায় বেড়াতে গিয়ে ঝিনুক কিনে নিয়েছিলেন ইন্দ্রজিৎ। আর তা দিয়েই পাড়ার ক্লাবের কালী প্রতিমা তৈরি করেন। পরের বছরই জেলার দুটি সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্ডপ তৈরির দায়িত্ব পান।
২০১৬ সালে ত্রিপুরার একটি পুজোর জন্য ৪ কোটি টাকার সোনার দুর্গা তৈরি করেন শিল্পী।২০১৮ সালে তৈরি করেন ১০ কোটি টাকার হীরের প্রতিমা। আর এবার শতবর্ষে কামারডাঙ্গা সাধারণ দুর্গোৎসব কমিটির পূজা মন্ডপে ইন্দ্রজিৎ বানাচ্ছেন ১১০ কেজি রুপোর প্রতিমা। প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার এই প্রতিমার জন্য রয়েছে সর্বক্ষণের সশস্ত্র পুলিশ। সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং ১৩ টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।
Last Updated : Sep 23, 2019, 9:04 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.