কলকাতা, 19 অক্টোবর: রাজ্যজুড়ে উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। কর্মব্যস্ত বাঙালিও এখন রাস্তায় হাতে গোনা ৷ কয়েকটা দিন দুর্গা পুজোকে সামনে রেখে যে আনন্দ উৎসব উদযাপনের সুযোগ থাকে তাকে লুটেপুটে নিতে চাইছে সকলেই। এই মুহূর্তে বাংলার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কোও। ফলে পুজোর লড়াই যেন আরও জমজমাট। বৃহস্পতিবার পঞ্চমীর দিন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। আর এই তালিকায় শহর এবং শহরতলী মিলে 104টি পুজোকে সেরা বলে ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। এই পুজোগুলিকে আগামী 27 অক্টোবর বিসর্জন কার্নিভালের দিন পুরস্কৃত করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই প্রায় 1 হাজার 200 পুজো ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে প্রায় 400-এর বেশি নির্বাচক, কলকাতা, শহরতলি ও জেলায় এই সেরার সেরা পুজো বেছে নিয়েছেন। অবশেষে সবকিছু বিচার করে পরিবেশবান্ধব মণ্ডপ, সেরা মণ্ডপ, সেরা প্রতিমা, সেরা থিম সঙ্গিত ইত্যাদি বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে একাধিক ক্ষেত্রে পুরস্কার দেওয়া হল। এদিন রাজ্য সরকারের ঘোষণামত 37টি দুর্গাপুজোকে সেরার সেরা পুজো হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী-বিধায়কের পুজো। অরূপ বিশ্বাসের সুরুচি সংঘ, ফিরহাদ হাকিমের চেতলা অগ্রণী, রয়েছে সুজিত বোসের শ্রীভূমি, মমতার পাড়ার পুজো কালীঘাট মিলন সংঘ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের হিন্দুস্থান ক্লাব। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে বালিগঞ্জ কালচারাল, আহিরীটোলা, দমদম পার্ক তরুণ সংঘ-সহ একাধিক নাম।
আরও পড়ুন: নতুন সাজে ফিরছে শহরের 'ঐতিহ্য', পুজো স্পেশাল ট্রামে চড়ে জানালেন মদন
এদিনের ঘোষণামতো সেরা মণ্ডপ হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে কলকাতা এবং শহরতলী মিলে পাঁচটি পুজোকে। এর মধ্যে রয়েছে নেতাজি কলোনি লো ল্যান্ড, দমদম পার্ক তরুণ সংঘ, চক্রবেড়িয়া। একইসঙ্গে সেরা প্রতিমার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে পাঁচটি পুজোকে। সেই তালিকায় আছে মহম্মদ আলি পার্ক, কালীঘাট মিলন সংঘ-সহ একাধিক পুজো। সেরা সাবেকি পুজোর পুরস্কার পেয়েছে বাগবাজার সর্বজনীন ও সিংহী পার্ককে। সেরা ভাবনার জন্য মোট 18টি ক্লাবকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জুড়িদের বিচারে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে 23টি ক্লাব। একবারের মতো এ বছরও সেরা থিম সং অবশ্যই সুরুচি সংঘের। গানটি লিখেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।