ETV Bharat / state

শহরের সুরক্ষায় লালবাজারের নতুন পদক্ষেপ, বসছে 10 হাজার CCTV

খুব শীঘ্রই কলকাতার প্রত্যেকটি থানা এলাকা, CCTV হীন গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং, রাস্তা, অপরাধপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হবে । তারপর সেই অঞ্চলগুলিতে বসানো হবে CCTV । শহরবাসীর সুরক্ষার জন্য প্রায় 10 হাজার CCTV বসানো হবে কলকাতায় ।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jul 4, 2019, 1:47 AM IST

কলকাতা, 4 জুলাই : শহরের রাস্তায় মহিলা বক্সার হেনস্থা হোক বা জোড়াবাগানের ডাকাতি । CCTV ফুটেজ়ই হয়েছিল কলকাতা পুলিশের তুরুপের তাস । যেকোনও অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধীকে চিহ্নিত করতে পুলিশ প্রাধান্য দিয়েছে ওই এলাকার CCTV ফুটেজ়কে । অপরাধী চিহ্নিত করতে এবং শহরবাসীকে সুরক্ষা দিতে এবার আরও 10 হাজার CCTV ক্যামেরা বসতে চলেছে কলকাতায় । লালবাজার সূত্রে এমন খবরই মিলেছে ।

নিউ আলিপুরের মলয় মুখোপাধ্যায় খুনের ঘটনা । তাঁর বাড়ির কাছে CCTV ক্যামেরা ছিল না । তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে কিছুটা সমস্যায় পড়ে পুলিশ । পরে অনেকটা দূরের একটি ক্যামেরা খতিয়ে দেখে পাওয়া গেছিল দুষ্কৃতীদের ছবি । তা দেখেই এই খুনের কিনারা করতে অনেকটাই সুবিধা পায় লালবাজারের হোমিসাইড শাখা । আবার বাঁশদ্রোণীতে একটি ফ্ল্যাটের চুরির ঘটনায় CCTV ফুটেজ়ে দেখা যায় এক ব্যক্তি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে বেরিয়ে যাচ্ছে । অ্যান্টি রবারি সেকশন বুঝে যায় এই কাজ 'ল্যাংড়া গৌতম'-এর করা ।

সম্প্রতি জোড়াবাগানে ডাকাতির ঘটানায় 'পূজারি'কেও চিহ্নিত করা হয়েছিল CCTV ফুটেজ় দেখে । অন্যদিকে, বেনিয়াপুকুরে যে ডাকাতির ঘটনার কিনারা হয়নি তাতে পাওয়া যায়নি CCTV ফুটেজ় । কারণ, ফুটেজ় সংরক্ষণের কম্পিউটারের হার্ডডিক্স দুষ্কৃতীরা ভেঙে দিয়েছিল । ওই ঘটনার তদন্তে এখনও পর্যন্ত ব্যর্থ পুলিশ । সুতরাং বোঝা যাচ্ছে এই মুহূর্তে পুলিশ CCTV-র ওপর কতখানি নির্ভরশীল । লালবাজারের এক সিনিয়র গোয়েন্দা বলছেন, "আজকাল 50 শতাংশ অপরাধের কিনারা করে দিচ্ছে CCTV । সেটা চুরি হোক কিংবা ডাকাতি, খুন ছিনতাই, গাড়িচুরি সবেতেই সহায় হয়ে উঠেছে এই যন্ত্রটি।"

তথ্য বলছে, কলকাতার মূল এলাকাগুলি যেভাবে CCTV দিয়ে মোড়া রয়েছে, অ্যাডেড এরিয়ায় ততটা নেই । অথচ এখন চুরি বা ওই ধরনের অপরাধ অ্যাডেড এরিয়াতে বেশি হচ্ছে । লালবাজার সূত্রের খবর, পুলিশ কমিশনার থাকাকালীন রাজীব কুমার ক্রাইম কনফারেন্সে CCTV লাগানোর ওপর জোর দিয়েছিলেন । বর্তমান পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাও জোর দিয়েছেন বিষয়টিতে । সেই সূত্রেই খুব শীঘ্রই প্রত্যেকটি থানা এলাকার CCTV বিহীন গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং, রাস্তা, অপরাধপ্রবণ এলাকার চিহ্নিত করার কাজ শুরু হবে । তারপর সেই অঞ্চলগুলিতে বসানো হবে CCTV । লালবাজারের এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে 10 হাজার CCTV বসানোর কাজ সম্পন্ন হবে ।

কলকাতা, 4 জুলাই : শহরের রাস্তায় মহিলা বক্সার হেনস্থা হোক বা জোড়াবাগানের ডাকাতি । CCTV ফুটেজ়ই হয়েছিল কলকাতা পুলিশের তুরুপের তাস । যেকোনও অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধীকে চিহ্নিত করতে পুলিশ প্রাধান্য দিয়েছে ওই এলাকার CCTV ফুটেজ়কে । অপরাধী চিহ্নিত করতে এবং শহরবাসীকে সুরক্ষা দিতে এবার আরও 10 হাজার CCTV ক্যামেরা বসতে চলেছে কলকাতায় । লালবাজার সূত্রে এমন খবরই মিলেছে ।

নিউ আলিপুরের মলয় মুখোপাধ্যায় খুনের ঘটনা । তাঁর বাড়ির কাছে CCTV ক্যামেরা ছিল না । তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে কিছুটা সমস্যায় পড়ে পুলিশ । পরে অনেকটা দূরের একটি ক্যামেরা খতিয়ে দেখে পাওয়া গেছিল দুষ্কৃতীদের ছবি । তা দেখেই এই খুনের কিনারা করতে অনেকটাই সুবিধা পায় লালবাজারের হোমিসাইড শাখা । আবার বাঁশদ্রোণীতে একটি ফ্ল্যাটের চুরির ঘটনায় CCTV ফুটেজ়ে দেখা যায় এক ব্যক্তি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে বেরিয়ে যাচ্ছে । অ্যান্টি রবারি সেকশন বুঝে যায় এই কাজ 'ল্যাংড়া গৌতম'-এর করা ।

সম্প্রতি জোড়াবাগানে ডাকাতির ঘটানায় 'পূজারি'কেও চিহ্নিত করা হয়েছিল CCTV ফুটেজ় দেখে । অন্যদিকে, বেনিয়াপুকুরে যে ডাকাতির ঘটনার কিনারা হয়নি তাতে পাওয়া যায়নি CCTV ফুটেজ় । কারণ, ফুটেজ় সংরক্ষণের কম্পিউটারের হার্ডডিক্স দুষ্কৃতীরা ভেঙে দিয়েছিল । ওই ঘটনার তদন্তে এখনও পর্যন্ত ব্যর্থ পুলিশ । সুতরাং বোঝা যাচ্ছে এই মুহূর্তে পুলিশ CCTV-র ওপর কতখানি নির্ভরশীল । লালবাজারের এক সিনিয়র গোয়েন্দা বলছেন, "আজকাল 50 শতাংশ অপরাধের কিনারা করে দিচ্ছে CCTV । সেটা চুরি হোক কিংবা ডাকাতি, খুন ছিনতাই, গাড়িচুরি সবেতেই সহায় হয়ে উঠেছে এই যন্ত্রটি।"

তথ্য বলছে, কলকাতার মূল এলাকাগুলি যেভাবে CCTV দিয়ে মোড়া রয়েছে, অ্যাডেড এরিয়ায় ততটা নেই । অথচ এখন চুরি বা ওই ধরনের অপরাধ অ্যাডেড এরিয়াতে বেশি হচ্ছে । লালবাজার সূত্রের খবর, পুলিশ কমিশনার থাকাকালীন রাজীব কুমার ক্রাইম কনফারেন্সে CCTV লাগানোর ওপর জোর দিয়েছিলেন । বর্তমান পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাও জোর দিয়েছেন বিষয়টিতে । সেই সূত্রেই খুব শীঘ্রই প্রত্যেকটি থানা এলাকার CCTV বিহীন গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং, রাস্তা, অপরাধপ্রবণ এলাকার চিহ্নিত করার কাজ শুরু হবে । তারপর সেই অঞ্চলগুলিতে বসানো হবে CCTV । লালবাজারের এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে 10 হাজার CCTV বসানোর কাজ সম্পন্ন হবে ।

Intro:কলকাতা, 3 জুলাই: শহরের রাস্তায় মহিলা বক্সার হেনস্থা হোক বা জোড়াবাগানের ডাকাতি। CCTV ফুটেজই হয়েছিল কলকাতা পুলিশের তুরুপের তাস। যেকোনো ক্রাইমের ক্ষেত্রে অপরাধীকে চিহ্নিত করতে পুলিশ এখন সবার আগে খতিয়ে দেখছে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। অপরাধী চিহ্নিত করতে এবং শহরবাসীকে সুরক্ষা দিতে কলকাতায় বসতে চলেছে আরও ১০ হাজার CCTV ক্যামেরা। লালবাজার সূত্রের এমন খবরই মিলেছে।Body:নিউ আলিপুরের মলয় মুখোপাধ্যায় খুনের ঘটনা। তাঁর বাড়ির কাছে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে কিছুটা সমস্যায় পড়ে পুলিশ। পরে অনেকটা দূরের একটি ক্যামেরা খতিয়ে দেখে পাওয়া গিয়েছিল দুষ্কৃতীদের ছবি। তা দেখেই এই খুনের কিনারা করতে অনেকটাই সুবিধা পায় লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। আবার বাঁশদ্রোনীতে একটি ফ্ল্যাটের চুরির ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ এ দেখা যায় এক ব্যক্তি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে বেরিয়ে যাচ্ছে। আন্টি রবারি সেকশন বুঝে যায় এই কাজ “ল্যাংড়া গৌতম"এর করা। একেবারে সম্প্রতি জোড়াবাগানে ডাকাতির যে কি দেখা হলো তাতে পূজারী কেউ চিহ্নিত করা হয়েছিল সিসিটিভি ফুটেজ দেখে। আবার বেনিয়াপুকুরে যে ডাকাতির ঘটনার কিনারা হয়নি তাতে পাওয়া যায়নি সিসিটিভি ফুটেজ। কারণ ফুটেজ সংরক্ষণের কম্পিউটারের হার্ডডিক্স দুষ্কৃতীরা ভেঙে দিয়ে গিয়েছিল। ওই ঘটনার তদন্তে এখনো পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এই মুহুর্তে পুলিশ সিসিটিভির ওপর কতখানি নির্ভরশীল। লালবাজারের এক সিনিয়র গোয়েন্দা বলছেন, “ আজকাল 50% অপরাধের কিনারা করে দিচ্ছে সিসিটিভি। সেটা চুরি হোক কিংবা ডাকাতি, খুন ছিনতাই, গাড়িচুরি সবেতেই সহায় হয়ে উঠেছে এই যন্ত্রটি।" Conclusion:তথ্য বলছে, কলকাতার মূল এলাকা যেভাবে সিসিটিভি দিয়ে মোড়া রয়েছে, অ্যাডেড এরিয়ায় ততটা নেই। অথচ এখন চুরি বা ওই ধরনের অপরাধ অ্যাডেড এরিয়াতে বেশি হচ্ছে। লালবাজার সূত্রের খবর, পুলিশ কমিশনার থাকাকালীন রাজীব কুমার ক্রাইম কনফারেন্সে সিসিটিভি লাগানোর ওপর জোর দিয়েছিলেন। বর্তমান পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাও জোর দিয়েছেন বিষয়টিতে। সেই সূত্রেই খুব শীঘ্রই প্রত্যেকটি থানা এলাকার সিসিটিভি বিহীন গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং, রাস্তা, অপরাধপ্রবণ এলাকার চিহ্নিত করার কাজ শুরু হবে। তারপর সেই অঞ্চলগুলোতে বসানো হবে সিসিটিভি। লালবাগের এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে ১০ হাজার সিসিটিভি বসানোর কাজ সম্পন্ন হবে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.