কলকাতা, 25 জানুয়ারি : সোনা পাচার চক্রের মূল পান্ডা রয়েছে বড়বাজারে ৷ নাম অনুরাগ জালান ৷ বড়বাজার এলাকার ধনী ব্যবসায়ী ৷ চেতন সেন স্ট্রিট, নলিনী শেঠ রোড ও মনোহর দাস স্ট্রিটে রয়েছে অফিস ৷ এই খবর কয়েকদিন ধরে গোপন সূত্রে পাচ্ছিল ডাইরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স (DRI) ৷ সেই খবরের উপর ভিত্তি করেই আজ তল্লাশি চালায় তারা ৷ বাজেয়াপ্ত হয় 10 কেজি পাচার হওয়া সোনা, 429 কেজি রুপো ও নগদ 20 লাখ 16 হাজার 100 টাকা ৷ এই অভিযানে অনুরাগ জালান ও তার কর্মী বৈকুন্ঠ প্রসাদকে গ্রেপ্তার করেছে DRI ৷ ডাইরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স তরফে জানানো হয়েছে বাজেয়াপ্ত জিনিসের মূল্য ছয় কোটি 42 লাখ টাকা ৷
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া সোনা চলে আসছে বড়বাজারে ৷ সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের সব জায়গায় ৷ এই পদ্ধতিতেই এখন সোনা পাচার চলছে ৷ উত্তর 24 পরগনা, নদিয়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পাচার হচ্ছে সোনা ৷ তেমনই এক চক্রের মূল পান্ডা হিসেবে কাজ করছিল অনুরাগ ৷ গত বছর 13 অক্টোবর 3 কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করে DRI ৷ পরে 10 জানুয়ারি বাজেয়াপ্ত হয় চার কেজি সোনা ৷ প্রতিবারই নাম উঠে আসে অনুরাগের ৷ তারপর আজ রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধে তিন জায়গায় অভিযান চালায় DRI ৷
অনুরাগের নলিনী শেঠ রোডের অফিস থেকে উদ্ধার হয় 23টি কাপড়ের ব্যাগ ৷ সেখানে 505টি রূপোর বার বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা ৷ পাশাপাশি, বাজেয়াপ্ত হয় 20টি সোনার বিস্কুট ৷ সঙ্গে নগদ 20 লাখ 16 হাজার 100 টাকা ৷ পরে, অন্য একটি অফিসে তল্লাশি চালাতে বাজেয়াপ্ত হয় চার কেজি সোনা ৷ চেতন সেন স্ট্রিটের অফিস থেকে উদ্ধার হয় ছ'কেজি 356 গ্রাম সোনা ৷
ঘটনায় অনুরাগের কেয়ারটেকার বৈকুণ্ঠ ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলে অভিযোগ ৷ তাকে ও অনুরাগকে অভিযানের পর গ্রেপ্তার করে DRI ৷
এই খবর সংগ্রহ করতে গেলে ETV ভারতের প্রতিনিধিকে ছবি তুলতে বারণ করে অনুরাগের কর্মীরা ৷