কলকাতা, 31 মার্চ : NRS এ কুকুর ছানার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় 60 দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। 24 জানুয়ারি এই নির্দেশ জারি হয়েছিল। 24 মার্চ শেষ হয়েছে সেই সময়সীমা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বলে জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তী।
13 জানুয়ারি NRS মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতাল চত্বর থেকে ১৬টি কুকুর ছানার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। কুকুর ছানাগুলোকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল দুই নার্সিং পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু তারা জামিন পেয়ে আবার ক্লাস করতে শুরু করে। কিন্তু খবর পেয়ে পশুপ্রেমীরা ওই দু'জনের সাসপেন্ডের দাবিতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে রাতভর বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন।
এই বিক্ষোভের পরে 24 জানুয়ারি ঘটনার নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য ভবন। আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে, অভিযুক্তদের বক্তব্যও শোনা হবে বলে জানানো হয়েছিল। তদন্তের সময়সীমা ছিল 60দিন। এই 60 দিন, জামিনে মুক্ত অভিযুক্ত নার্সিংয়ের দুই পড়ুয়াকে সাসপেনশনে রাখার কথা বলা হয়েছিল। 60 দিনের এই সময়সীমা শেষ হয়েছে 24 মার্চ। কিন্তু এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে ?
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তীর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ETV ভারতকে তিনি বলেন, "যে তদন্ত হয়েছে, তার ভিত্তিতে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি। তদন্তে আরও একটু দেখা হবে। যারা তদন্ত করছেন, তাঁরা একটু সময় চেয়েছেন। এর জন্য আরও একটু সময় দেওয়া হচ্ছে।" কত দিন সময় চাওয়া হয়েছে? স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, "এক মাসের জন্য সময় চেয়েছে।" এই সময় বৃদ্ধির জন্য কোনও নির্দেশিকা ইশু করা হয়েছে কি না, এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "সময় চেয়েছে। সময় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।" তা হলে এক মাস সময় দেওয়া হচ্ছে? স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, "হ্যাঁ।"
প্রাথমিকভাবে এই দু'জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে আগে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। তিনি বলেছিলেন, "নতুন করে তদন্তের পরে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করা হবে। তখন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।" এই ঘটনার সঙ্গে অন্য তিন পড়ুয়া যুক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। হাসপাতালের তদন্ত কমিটির রিপোর্টেও তাঁদের নাম ছিল। এই তিনজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওই রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য ভবনের এই তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে, এই তিনজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।