কালিম্পং, 2 মে: পাহাড়ে খুন হলেন জিএনএলএফ নেতা রোশন লামা। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কালিম্পং-সহ পাহাড়ের রাজনীতিতে। সোমবার রাতে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই জিএনএলএফ নেতাকে প্রথমে ধারালো অস্ত্র ও পরে পাহাড় থেকে ধাক্কা মেরে খাদে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা এবং পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই জিএনএলএফ নেতা কালিম্পংয়ের পেডংয়ের আপার নিয়ংয়ের বাসিন্দা। তিনি কালিম্পং পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলরও বটে। শুধু তাই নয়, তিনি জিএনএলএফের কালিম্পং জেলার সভাপতি হতে চলেছিলেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। রোশন লামা খুনে অভিযুক্ত 16 মাইলের বাসিন্দা শেরিং শেরপাকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে কালিম্পং থানার পুলিশ ৷
এই বিষয়ে কালিম্পংয়ের পুলিশ সুপার অপরাজিতা রাই বলেন, "আমাদের কাছে পরিবারের লোক খুন ও অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে । সেইমতো অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে । আর কেউ ওই ঘটনায় জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । একটি খুনের মামলাও রুজু করা হয়েছে ৷ ধৃতকে মঙ্গলবার কালিম্পং আদালতে তুলে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে ।" রোশন লামার ভাই ভূষণ লামা বলেন, "কাল রাতে আমরা খবর পাই দাদাকে খাদে ফেলে দেওয়া হয়েছে । আমাদের হাসপাতালে ডাকা হয় । এসে দেখি দাদা মারা গিয়েছেন । একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে । ঘটনার পিছনে কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, জানা নেই ।"
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার সিকিমের রংপো থেকে পরিবারের সঙ্গে কালিম্পং ফিরছিলেন রোশন লামা ৷ ফেরার পথে বারমেক-দেওরালির কাছে একটি বাইকের সঙ্গে ছোট দুর্ঘটনা ঘটে তাঁর গাড়ির । সেই সময় বাইকের চালক ও যাত্রীর সঙ্গে প্রথমে বচসা ও পরে সংঘর্ষ হয় জিএনএলএফ নেতার। মারামারির সময় আচমকা শেরিং শেরপা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁকে হামলা করে। অস্ত্রের আঘাতে জখম হলে রোশন লামাকে খাদে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । পরিবারের সদস্যরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে কালিম্পং জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে ৷
আরও পড়ুন: মিটবে পাহাড়বাসীর পানীয় জলের সমস্যা ! ভোটের আগে আড়াই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের