ETV Bharat / state

Boy Injured by Iron Rod: বল্লম নিয়ে খেলতে গিয়ে বিপত্তি, অস্ত্রোপচারে প্রাণে বাঁচল কিশোর - Boy Injured by Iron

খেলতে গিয়ে পেটে ঢুকে গেল বল্লম ৷ দীর্ঘ জটিল অস্ত্রোপচার করে কিশোরের প্রাণ বাঁচালেন মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা ৷

Etv Bharat
বল্লম নিয়ে খেলতে গিয়ে বিপত্তি
author img

By

Published : Apr 14, 2023, 10:41 PM IST

ঝাড়গ্রাম, 14 এপ্রিল: সাড়ে চার ফুটের লোহার বল্লম নিয়ে কেরামতি দেখাতে গিয়ে পেটে ঢুকে গেল অস্ত্র। বল্লম পেটে ঢুকে থাকা অবস্থাতেই 15 বছরের ওই কিশোরকে তড়িঘড়ি নিয়ে আসা যাওয়া হয় হাসপাতালে। শুক্রবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি থানা এলাকায় সতীঘাটা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর কিশোরের পেট থেকে অবশ্য বল্লম বের করতে সফল হন চিকিৎসকরা।

জানা গিয়েছে, জামবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সতীঘাটা গ্রামে সনাতন মান্ডি (15) নামে ওই কিশোর লোহার বল্লম নিয়ে খেলা করছিল। স্থানীয়দের দাবি, খেলা দেখানোর সময় হঠাতই বল্লম ঢুকে যায় কিশোরের তলপেটের বাঁ-দিক ঘেষে। কিশোরের প্রবল চিৎকার শুনে ছুটে আসে পরিবারের লোকজন। তড়িঘড়ি ভাড়া গাড়ি করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়গ্রাম সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।

কিশোরকে ওই অবস্থায় দেখে চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন। হাসপাতালের দুই সার্জেন চিকিৎসক বিষ্ণুপদ দে এবং সুব্রত হাজরা ও একজন সহকারি চিকিৎসক-সহ মোট তিনজনের একটি মেডিকেল দলও গঠন করা হয়। শুরু হয় অস্ত্রোপচারের তোড়জোড়। জানা গিয়েছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে জটিল অস্ত্রোপচারের পর তলপেট থেকে ওই বল্লমের অংশ বার করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী বল্লমটি ওয়ার্ড মাস্টারের কাছে জমা রয়েছে।

এদিন চিকিৎসক সুব্রত হাজরা বলেন, "সনাতন মান্ডি নামে এক কিশোরের তলপেটের বাঁদিকে একটি সাড়ে চার ফুট লম্বা লোহার বল্লমের কিছু অংশ ঢুকে গিয়েছিল। মেডিকেল টিম গঠন করে দীর্ঘ অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচার সফলভাবে হয়েছে।" চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বল্লমটি তলপেটে ঢুকে পিঠ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। পাশাপাশি বল্লমের খোঁচায় খাদ্যনালির দু'জায়গায় ফুটো হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে ৷ যদিও তা ঠিক করেছেন চিকিৎসকরা।

বর্তমানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রয়েছে ওই কিশোর। যদিও তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সনাতন চিল্কিগড় বিদ্যাসাগর শিক্ষায়তন হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ওই কিশোর। সনাতনের বাবা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এনভিএফ কর্মী। সনাতনের বাবাও গতকাল রাত্রে বাড়ি ফিরেছেন। কীভাবে এই বল্লম কিশোরের পেটে ঢুকে গেল সেই প্রসঙ্গে কিশোরের জ্যাঠা শ্যাম মান্ডি বলেন, "সকালে বল্লম নিয়ে খেলা করছিল সেই সময় হঠাৎ কোনওভাবে ওর পেটে ঢুকে যায়। কীভাবে বল্লমটি পেটের ভিতরে ঢুকল, সেটা বলতে পারব না।"

আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কতা, তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধির পূর্বাভাস

পরিবারের দাবি, দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে বল্লমটি সনাতনের পেটের ভিতরে ঢুকে গিয়েছে। অন্যদিকে, এদিন জামবনির জঙ্গলে আদিবাসী সমাজের শিকার উৎসব ছিল ৷ সেই কারণেই বল্লম হাতে ছিল কিশোরের। সেই সময় কোনও কারণবশত তা ঢুকে গিয়েছে পেটে । যদিও কিশোরের জ্যাঠার দাবি, "আমাদের পরিবারের কেউ শিকার উৎসবে যায় না।"

ঝাড়গ্রাম, 14 এপ্রিল: সাড়ে চার ফুটের লোহার বল্লম নিয়ে কেরামতি দেখাতে গিয়ে পেটে ঢুকে গেল অস্ত্র। বল্লম পেটে ঢুকে থাকা অবস্থাতেই 15 বছরের ওই কিশোরকে তড়িঘড়ি নিয়ে আসা যাওয়া হয় হাসপাতালে। শুক্রবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি থানা এলাকায় সতীঘাটা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর কিশোরের পেট থেকে অবশ্য বল্লম বের করতে সফল হন চিকিৎসকরা।

জানা গিয়েছে, জামবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সতীঘাটা গ্রামে সনাতন মান্ডি (15) নামে ওই কিশোর লোহার বল্লম নিয়ে খেলা করছিল। স্থানীয়দের দাবি, খেলা দেখানোর সময় হঠাতই বল্লম ঢুকে যায় কিশোরের তলপেটের বাঁ-দিক ঘেষে। কিশোরের প্রবল চিৎকার শুনে ছুটে আসে পরিবারের লোকজন। তড়িঘড়ি ভাড়া গাড়ি করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়গ্রাম সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।

কিশোরকে ওই অবস্থায় দেখে চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন। হাসপাতালের দুই সার্জেন চিকিৎসক বিষ্ণুপদ দে এবং সুব্রত হাজরা ও একজন সহকারি চিকিৎসক-সহ মোট তিনজনের একটি মেডিকেল দলও গঠন করা হয়। শুরু হয় অস্ত্রোপচারের তোড়জোড়। জানা গিয়েছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে জটিল অস্ত্রোপচারের পর তলপেট থেকে ওই বল্লমের অংশ বার করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী বল্লমটি ওয়ার্ড মাস্টারের কাছে জমা রয়েছে।

এদিন চিকিৎসক সুব্রত হাজরা বলেন, "সনাতন মান্ডি নামে এক কিশোরের তলপেটের বাঁদিকে একটি সাড়ে চার ফুট লম্বা লোহার বল্লমের কিছু অংশ ঢুকে গিয়েছিল। মেডিকেল টিম গঠন করে দীর্ঘ অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচার সফলভাবে হয়েছে।" চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বল্লমটি তলপেটে ঢুকে পিঠ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। পাশাপাশি বল্লমের খোঁচায় খাদ্যনালির দু'জায়গায় ফুটো হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে ৷ যদিও তা ঠিক করেছেন চিকিৎসকরা।

বর্তমানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রয়েছে ওই কিশোর। যদিও তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সনাতন চিল্কিগড় বিদ্যাসাগর শিক্ষায়তন হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ওই কিশোর। সনাতনের বাবা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এনভিএফ কর্মী। সনাতনের বাবাও গতকাল রাত্রে বাড়ি ফিরেছেন। কীভাবে এই বল্লম কিশোরের পেটে ঢুকে গেল সেই প্রসঙ্গে কিশোরের জ্যাঠা শ্যাম মান্ডি বলেন, "সকালে বল্লম নিয়ে খেলা করছিল সেই সময় হঠাৎ কোনওভাবে ওর পেটে ঢুকে যায়। কীভাবে বল্লমটি পেটের ভিতরে ঢুকল, সেটা বলতে পারব না।"

আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কতা, তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধির পূর্বাভাস

পরিবারের দাবি, দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে বল্লমটি সনাতনের পেটের ভিতরে ঢুকে গিয়েছে। অন্যদিকে, এদিন জামবনির জঙ্গলে আদিবাসী সমাজের শিকার উৎসব ছিল ৷ সেই কারণেই বল্লম হাতে ছিল কিশোরের। সেই সময় কোনও কারণবশত তা ঢুকে গিয়েছে পেটে । যদিও কিশোরের জ্যাঠার দাবি, "আমাদের পরিবারের কেউ শিকার উৎসবে যায় না।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.