ঝাড়গ্রাম, 31 মার্চ: আবগারি দফতরের এক আধিকারিকের বাড়িতে 15 লক্ষ টাকা চেয়ে মাওবাদী পোস্টার লাগানো হয়েছিল ৷ সেই ঘটনায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগে দুই ভাইকে গ্রেফতার করল ঝাড়গ্রাম জেলার রামগড় ফাঁড়ির পুলিশ ৷ ধৃতদের নাম বিকাশ রানা এবং দুলাল রানা ৷ তাদের বাড়ি লালগড় থানার বনপুকুরিয়া গ্রামে ৷ বৃহস্পতিবার বিকেলে লালগড় এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয় ৷ শুক্রবার তাঁদের ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে বিচারক 2 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আবগারি দফতরের দুর্গাপুর ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সনৎ হেমব্রমের আদি বাড়ি লালগড়ের বনপুকুরিয়া গ্রামে ৷ বর্তমানে তিনি কর্মসূত্রে বাঁকুড়ায় থাকেন ৷ গত 20 ফেব্রুয়ারি তাঁর বাড়িতে প্রথম চিঠি আসে ৷ ওই চিঠিতে মাওবাদীদের নাম নিয়ে হুমকি দিয়ে 15 লক্ষ টাকা চাওয়া হয় ৷ প্রথমে তাঁর বাড়ির সদস্যরা বিষয়টিতে আমল দেননি ৷ এরপর 23 মার্চ বনপুকুরিয়া গ্রামে সনৎ হেমব্রমের বাড়ির দরজার সামনে ফের একটি চিঠি পাওয়া যায় ৷
অভিযোগ পরের চিঠিতে হুমকি দিয়ে 10 লক্ষ টাকা চাওয়া হয় ৷ এমনকি টাকা না দিলে সনতের পুরো পরিবারকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয় ৷ এরপর 25 মার্চ অর্থাৎ শনিবার লালগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সনতের দিদি সদরী হেমব্রম ৷ অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমে বিকাশ ও দুলালকে গ্রেফতার করে রামগড় ফাঁড়ির পুলিশ ৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ 387, 506, 507, 120বি ধারায় মামলা রুজু করে ৷ শুক্রবার ঝাড়গ্রামের এসিজেএম আদালতে পেশ করা হয় তাদের ৷
আরও পড়ুন: উত্তরপত্রের পরিবর্তে প্রশ্নপত্র জমা দিয়ে বাড়ি ফিরল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী! তারপর...
এই বিষয়ে সরকারি আইনজীবী পবিত্র রানা বলেন, "মাওবাদীদের নাম করে হুমকি চিঠি দিয়ে 15 লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় ৷ আজ তাদের আদালতে পেশ করলে তদন্তের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে 5 দিনের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয় ৷ বিচারক 2 দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন ৷" জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, "ঝাড়গ্রাম জেলায় মাওবাদীদের কোনও অস্তিত্ব নেই ৷ মূলত তোলাবাজির জন্য মাওবাদীদের নাম ব্যবহার করা হয়েছিল ৷" অভিযুক্ত ধৃতরা ভয় দেখাতে চেয়েছিল বলে জানান তিনি ৷