ঝাড়গ্রাম,30 জানুয়ারি : দিল্লি সীমানায় কৃষক আন্দোলনের আঁচ পৌঁছল এ রাজ্যেও৷ ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতায় এবং আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থনে ১০৪টি বুথের তরফে ১০৪টি ট্রাক্টর নিয়ে করা হল প্রতিবাদ মিছিল৷ মিছিল চলল ৫০ কিলোমিটার৷ উদ্যোক্তা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস৷
গত শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর-1 ব্লকের ছাচিনাশোল থেকে শুরু হয় এই ট্রাক্টর মিছিল৷ গোপীবল্লভপুর বাজার হয়ে মিছিল পৌঁছয় ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড সীমানার হাতিবাড়িতে৷ সেখান থেকে ফের ফিরে আসে গোপীবল্লভপুরে৷ পরে সেখানে একটি সভাও করে তৃণমূল কংগ্রেস৷ এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দুলাল মুর্মু ,ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর উজ্জ্বল দত্ত, গৌতম বারিক, তৃণমূল কিষাণ ও খেতমজুর সংগঠনের ব্লক সভাপতি-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা ৷
এদিনের মিছিলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গোপীবল্লভপুরের কৃষকরা নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতায় স্বতঃস্ফূর্তভাবেই মিছিলে যোগ দিয়েছেন ৷ প্রায় সাত হাজার মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেন ৷ সাতমা গ্রাম পঞ্চায়েত, আমারদহ গ্রাম পঞ্চায়েত, সাশরা গ্রাম পঞ্চায়েত, সারিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত, গোপীবল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০৪টি বুথ থেকে ১০৪টি ট্রাক্টর নিয়ে মিছিলে যোগ দেন কৃষকরা। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে ‘বিজেপি হাটাও, দেশ বাঁচাও’ এবং ‘কৃষি আইন বাতিল কর’।
মিছিলে যোগ দেওয়া গোপীবল্লভপুেরর কৃষক নভেন্দু পৈড়া, সুজিত দণ্টপাটদের দাবি, নয়া কৃষি আইনে সমস্য়া বাড়বে তাঁদের ৷ তাই অবিলম্বে এই আইন বাতিলের পক্ষে সওয়াল করেন তাঁরা ৷ ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, ‘এই আইন কৃষক বিরোধী। তাই নয়া আইন বাতিলের দাবিতে এখানকার কৃষকরা একত্রিত হয়ে লড়াই করছেন৷’
আরও পড়ুন: ধান বিক্রি করতে না পেরে কৃষকদের বিক্ষোভ বামনগোলায়
বিধানসভা ভোটের আগে কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন এবং তার বিরোধিতায় কৃষকদের আন্দোলন বড় হাতিয়ার রাজ্য়ের শাসক দলের ৷ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই মুহূর্তে এই ইস্যুকে যতটা বেশি সম্ভব কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল ৷ বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলতে কৃষকদের সঙ্গবদ্ধ করতে চাইছে তারা ৷ গোপীবল্লভপুরের এই ট্রাক্টর মিছিলও সেই পরিকল্পনারই অন্তর্ভুক্ত ৷