ঝাড়গ্রাম, 12 জুলাই: শাসকদলকে ভোট না-দেওয়ার অপরাধে মার খেয়ে হাতপাতালে ভর্তি হতে হল 9 নির্দল সমর্থককে ৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর 2 নম্বর ব্লকের পেটবিন্ধী অঞ্চলের রামগড় গ্রামে ৷
গুরুতরভাবে জখম নির্দলের সমর্থক চন্দ্রকান্ত দে বলেন, "সকালে ছেলেকে বাসস্ট্যান্ডে ছাড়ার জন্য গিয়েছিলাম ৷ সেই সময় হঠাৎ তৃণমূলের লোকজন আমার উপর চড়া হয় এবং বেধড়ক মারধর করে ৷ মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয় । খবর পেয়ে আমাদের গ্রামের লোক ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয় ৷ পুরুষ ও মহিলা সকলকেই মারধর করে তৃণমূলের লোকেরা ।" তাঁর অভিযোগ, ভোটের ফল বেরোনোর পর গতকাল রাত থেকে গ্রামে তাণ্ডব চালায় তৃণমূলের গুন্ডারা । তৃণমূলকে ভোট না-দেওয়ায় তাঁদেরকে মারধর করা হয়েছে বলে দাবি চন্দ্রকান্তের ৷
যদিও এই মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেছে তৃণমূল । গোপীবল্লভপুর দু'নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি টিঙ্কু পাল ফোনে বলেন, "এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনভাবে যুক্ত নয়, তারা এলাকায় হেরে গিয়েছে তাই শাসকদলের নাম বদনাম করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে । নির্দলের লোকরাই ওই এলাকায় আমাদের তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের উপর হঠাৎ করে চড়াও হয় ৷ পরে গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ করে । আমরা এই এলাকায় ব্যাপকভাবে জয়লাভ করেছি, ফলে আমাদের গণ্ডগোল করার কোন প্রশ্নই উঠে না ৷"
ঘটনায় গুরুতরভাবে জখম হয়েছে পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে মোট 9 নির্দল সমর্থক ৷ তাঁরা সকলেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে । ঘটনার পরেই এলাকায় টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী । ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন চন্দ্রকান্ত দে ছাড়াও প্রদীপ পট্টনায়েক, বাদল দে, স্বর্ণলতা দে, অভিজিৎ দেহুরী, জোৎস্না দন্ডপাট, রঞ্জু দন্ডপাট, উমা গুই ৷ তাঁরা সকলেই ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিদ্যুৎ দে তপসিয়া হাসপাতালে ভরতি রয়েছে । প্রদীপ, চন্দ্রকান্ত, স্বর্ণলতা ও বিদ্যুৎদের মাথা ফেটেছে । বাদল দের মাথা, পা ও হাত এবং বুকের পাঁজর ভেঙ্গেছে । প্রদীপ ও অভিজিতের হাত ভেঙেছে । ঘটনার পর এলাকা থমথমে ৷ মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী । গ্রামে টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও বেলিয়াবেড়া থানার পুলিশ ।
আরও পড়ুন: মেয়ের হয়ে গণনাকেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা তৃণমূল বিধায়কের, 'লাঠিচার্জ' কেন্দ্রীয় বাহিনীর