ETV Bharat / state

Fire in Sack Godown: বস্তার গোডাউনে আগুন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত 1

রবিবার ভোর রাতে আগুন লাগে ঝাড়গ্রামের একচি বস্তার গুদামে । পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে প্রায় 15 লাখ টাকার বস্তা । মৃত্যু হয়েছে এক কর্মচারীর ।

Etv Bharat
বস্তার গোডাউনে আগুন
author img

By

Published : Apr 2, 2023, 11:08 PM IST

ঝাড়গ্রাম, 2 এপ্রিল: বস্তার গোডাউনে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গেল 15 লক্ষ টাকার বস্তা। ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে গোডাউনের এক কর্মচারীর। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম শহরের 5 নম্বর ওয়ার্ডের জামদা এলাকায়। মৃত কর্মচারীর নাম অরবিন্দ সাউ (55)। বাড়ি বাঁকুড়া জেলার কেঠারডাঙ্গা গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে আনুমানিক দু'টোর সময় গোডাউনের মধ্য থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন গোডাউনের মালিক কর্মবীর সাউ। খবর দেওয়া হয় পুলিশ এবং দমকল বাহিনীকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছি়য়ে আগুন নেভান দমকল বাহিনীর কর্মীরা।

জানা গিয়েছে, গোডাউনের ভিতরে প্রায় 50 হাজারের উপর চটের বস্তা মজুত ছিল। যার জেলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোডাউনের মধ্যেই । গোডাউনের দোতলায় থাকতেন মালিকের পরিবার। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে দমকলের আরও দুটো ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সকালে জেসিপি দিয়ে গোডাউনের জানলা-দরজা ভেঙে জ্বলন্ত বস্তা বাইরে বার করে নেভানো হয়েছে। গোডাউনের মালিক কর্মবীর সাউ বলেন, " গোডাউনের মধ্যে প্রায় 15 লক্ষ টাকার চটের বস্তা মজুদ ছিল। আমি রাত্রে ঘুম থেকে উঠে দেখি গোডাউন থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে । তারপরেই আমার কর্মচারীকে ফোন করলে ফোনে পাইনি। তড়িঘড়ি বিষয়টি জানানো হয় সবাইকে। দমকল এবং পুলিশ পৌঁছে আগুন নিভিয়ে গোডাউনের ভিতরে থাকা কর্মচারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।" গোডাউনে আগুন লাগা প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ করে বলেন, "আমার কর্মচারী প্রচুর বিড়ি খেত। আমি বলেছিলাম গোডাউনের ভিতরে বিড়ি না খাওয়ার জন্য। হয়তো বিড়ি খাওয়ার জন্যই আগুন লেগেছে ।" এত বড় গোডাউনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন ।

আরও পড়ুন: বিয়ের দিন নিয়ে পরিবারের মতানৈক্য, গঙ্গায় ঝাঁপ যুগলের

শনিবার রাত দুটো থেকে শুরু করে রবিবার দুপুর দুটোয় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় দমকল বাহিনী। সকালে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ঝাড়গ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান সুখী সরেন এবং 5 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর পাল। ঝাড়গ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ বলেন, "আমি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পৌরসভা থেকে আমাদের জেসিবি পাঠিয়েছি । দমকল বাহিনীর সুবিধা করার জন্য বাড়িটির জানলা এবং দরজা ভেঙে দেওয়া হয়েছে । এখন আগুন নিভে গিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক।" ঝাড়গ্রাম দমকল বিভাগের ওসি পি কে মুখার্জি বলেন, "রাত্রি দুটো পনেরো নাগাদ আমরা এখানে আগুন লাগার খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গেই হাজির হয়েছে দমকলবাহিনী। গোডাউনের দরজা খুলে দেখা যায় ভিতরে এক কর্মচারী ছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় । আগুন দ্ড়রুত ছড়িয়ে পড়ায় আরও দু'টো ইঞ্জিন আনতে হয়েছে । এখন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।"

ঝাড়গ্রাম, 2 এপ্রিল: বস্তার গোডাউনে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গেল 15 লক্ষ টাকার বস্তা। ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে গোডাউনের এক কর্মচারীর। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম শহরের 5 নম্বর ওয়ার্ডের জামদা এলাকায়। মৃত কর্মচারীর নাম অরবিন্দ সাউ (55)। বাড়ি বাঁকুড়া জেলার কেঠারডাঙ্গা গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে আনুমানিক দু'টোর সময় গোডাউনের মধ্য থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন গোডাউনের মালিক কর্মবীর সাউ। খবর দেওয়া হয় পুলিশ এবং দমকল বাহিনীকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছি়য়ে আগুন নেভান দমকল বাহিনীর কর্মীরা।

জানা গিয়েছে, গোডাউনের ভিতরে প্রায় 50 হাজারের উপর চটের বস্তা মজুত ছিল। যার জেলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোডাউনের মধ্যেই । গোডাউনের দোতলায় থাকতেন মালিকের পরিবার। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে দমকলের আরও দুটো ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সকালে জেসিপি দিয়ে গোডাউনের জানলা-দরজা ভেঙে জ্বলন্ত বস্তা বাইরে বার করে নেভানো হয়েছে। গোডাউনের মালিক কর্মবীর সাউ বলেন, " গোডাউনের মধ্যে প্রায় 15 লক্ষ টাকার চটের বস্তা মজুদ ছিল। আমি রাত্রে ঘুম থেকে উঠে দেখি গোডাউন থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে । তারপরেই আমার কর্মচারীকে ফোন করলে ফোনে পাইনি। তড়িঘড়ি বিষয়টি জানানো হয় সবাইকে। দমকল এবং পুলিশ পৌঁছে আগুন নিভিয়ে গোডাউনের ভিতরে থাকা কর্মচারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।" গোডাউনে আগুন লাগা প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ করে বলেন, "আমার কর্মচারী প্রচুর বিড়ি খেত। আমি বলেছিলাম গোডাউনের ভিতরে বিড়ি না খাওয়ার জন্য। হয়তো বিড়ি খাওয়ার জন্যই আগুন লেগেছে ।" এত বড় গোডাউনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন ।

আরও পড়ুন: বিয়ের দিন নিয়ে পরিবারের মতানৈক্য, গঙ্গায় ঝাঁপ যুগলের

শনিবার রাত দুটো থেকে শুরু করে রবিবার দুপুর দুটোয় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় দমকল বাহিনী। সকালে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ঝাড়গ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান সুখী সরেন এবং 5 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর পাল। ঝাড়গ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ বলেন, "আমি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পৌরসভা থেকে আমাদের জেসিবি পাঠিয়েছি । দমকল বাহিনীর সুবিধা করার জন্য বাড়িটির জানলা এবং দরজা ভেঙে দেওয়া হয়েছে । এখন আগুন নিভে গিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক।" ঝাড়গ্রাম দমকল বিভাগের ওসি পি কে মুখার্জি বলেন, "রাত্রি দুটো পনেরো নাগাদ আমরা এখানে আগুন লাগার খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গেই হাজির হয়েছে দমকলবাহিনী। গোডাউনের দরজা খুলে দেখা যায় ভিতরে এক কর্মচারী ছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় । আগুন দ্ড়রুত ছড়িয়ে পড়ায় আরও দু'টো ইঞ্জিন আনতে হয়েছে । এখন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.