ঝাড়গ্রাম, 30 নভেম্বর: সকালের ব্যস্ত সময়ে রেল অবরোধ ৷ কয়েকঘণ্টা পর উঠল অবরোধ তুললেন ঝাড়গ্রামের নিত্যযাত্রীরা ৷ রেলপুলিশের হস্তক্ষেপে ওঠে অবরোধ ৷ ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা ৷ তাদের দাবি, প্রায় দিনই দেরিতে চলে লোকাল ট্রেন ৷ যার জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের । এদিন সকালে খড়গপুরগামী ডাউন টাটানগর-খড়গপুর লোকাল ট্রেন ঝাড়গ্রাম রেলস্টেশনে সঠিক সময়ের অনেকটা দেরিতে পৌঁছয় । তারপরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামে রেল অবরোধে সামিল হলেন রেল যাত্রীরা
নিত্যযাত্রীদের দাবি, প্রায়দিনই ঝাড়গ্রাম স্টেশনে দেরি আসে একাধিক ট্রেন ৷ অভিযোগ, 1 নম্বার প্লাটফর্মে ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে একের পর এক এক্সপ্রেস ও মালগাড়িকে পাশ দেওয়া হয় । তার জেরেই ব্যাঘাত ঘটে ট্রেন চলাচলে ৷ প্রায় দিনই নির্দিষ্ট সময়ের পর দেরিতে পৌঁছয় ট্রেন ৷ বিষয়টি ঝাড়গ্রাম রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও তিন কোন কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ । এরপরই অভিযোগে সামিল হন নিত্যযাত্রীরা ৷ আনুমানিক সকাল 7টা থেকে 1 নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা খড়গপুরগামী টাটানগর-খড়গপুর লোকালও অবরোধ করেন ট্রেনের যাত্রীরা । পুরুষ-মহিলারা একত্রিত হয়ে লাইনের উপর বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান ।
এদিনই সকাল 8টা 20 মিনিট নাগাদ ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশনে হাওড়া গামী টাটানগর-হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশনে পৌছালে স্টিল এক্সপ্রেস কেও অবরোধ করেন নিত্যযাত্রীরা । রেলযাত্রী তাপস কুমার দাস বলেন,"প্রতিনিয়ত খড়গপুর-টাটানগর শাখায় ট্রেন দেরিতে চালানো হচ্ছে, যার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের । সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছতে পারছি না । আজও নির্দিষ্ট সময়ের এনেক পরে ট্রেন এসেছে ৷ তই ট্রেনকে দীর্ঘক্ষণ এক নম্বর প্লাটফর্মে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তাই সঠিক সময়ে ট্রেন চালানোর দাবিতে আমরা একজোট হয়ে অবরোধ শুরু করেছি । ঝাড়গ্রামের ষ্টেশন ম্যানেজার হীরালাল মুর্মু বলেন,"আমরা সঠিক সময়ে ট্রেন চালানোর চেষ্টা করি । আজ ট্রেনটি টাটানগর থেকেই দেরিতে এসেছে । তাই দেরি হয়েছে । অবরোধ নিয়ে ট্রেন যাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে ।"
আরও পড়ুন:
মদনপুর স্টেশনে নতুন ট্রেনের দাবিতে রেল অবরোধ, চরম ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের