ETV Bharat / state

Tribal Strike in Jhargram: আদিবাসীদের ডাকা 12 ঘণ্টা বনধে ঝাড়গ্রামে রাস্তাঘাট ফাঁকা, উধাও বেসরকারি বাস - বনধে ঝাড়গ্রামে রাস্তাঘাট ফাঁকা

আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা 12 ঘণ্টা বাংলা বনধের প্রভাব পড়ল জঙ্গলমহলে ৷ সকাল থেকে বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ৷ রাস্তায় দেখা নেই বেসরকারি বাসেরও ৷

Tribal Strike in Jhargram
আদিবাসীদের ডাকা বনধ
author img

By

Published : May 22, 2023, 11:31 AM IST

আদিবাসীদের ডাকা 12 ঘণ্টা বাংলা বনধে রাস্তাঘাট ফাঁকা

ঝাড়গ্রাম, 22 মে: শান্তিপুর্ণ বনধে অশান্তি ঘটাতে এলে আগুন জ্বলবে ৷ এমনটাই হুঁশিয়ারি দিলেন আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের নেতারা । কুড়মি- মাহাতোদের তপসিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না ৷ এই দাবিকে সামনে রেখে সোমবার 12 ঘণ্টা বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল আদিবাসী সঙ্গেল অভিযান । সোমবার সকাল থেকে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়েই বনধের প্রভাব পড়েছে । সকাল থেকে রাস্তায় কোনও বেসরকারি বাসের দেখা নেই । কেবলমাত্র সরকারি বাস রয়েছে। তাও সংখ্যায় খুবই কম । পণ্যবাহী লরিও তেমন একটা চোখে পড়ছে না। ঝাড়গ্রাম শহরের বুকে সিংহভাগ দোকানই ছিল বন্ধ ।

ঝাড়গ্রাম শহরের প্রাচীন বাজার জুবলি মার্কেট এবং কোর্ট রোড চত্বরের বাজার বন্ধ রয়েছে । সবজি এবং মাছ বাজার বসলেও ব্যবসায়ীদের সংখ্যা কম । স্বাভাবিক দিনে সকালবেলায় ঝাড়গ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচ মাথার মোড়ে বাস যাত্রীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো থাকে । কিন্তু আজ ভিড় নেই বললেই চলে । ঝাড়গ্রামে ঢোকার মুখে সারদাপিঠ মোড়ে রাস্তায় বেরিগেট রেখে বনধের সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা যায় আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের সমর্থকদের । যদিও আদিবাসীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল এই বনধের বিরোধিতা করেছে । রবিবার রাতে তারা ঝাড়গ্রাম শহরে মাইকে প্রচার করে জানিয়েছেন, এই বনধ পালন করার দরকার নেই ৷ স্বাভাবিক দিনের মতোই জনজীবন থাকবে । বনধের বিরোধিতায় নেমেছিলেন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের জেলার নেতা ঢেঁঙ্গা হাসদাও ।

Tribal Strike in Jhargram
আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা 12 ঘণ্টা বাংলা বনধ

যদিও তারপরেও সোমবার সকাল থেকেই বনধের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে জেলা জুড়ে ৷ গোপীবল্লভপুরে দোকানপাট খোলা থাকলেও রাস্তায় যানবাহনের দেখা নেই ৷ বেলপাহাড়ি, শিলদা এলাকায় বনধের প্রভাব পড়েছে যথেষ্ট । আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের পশ্চিমবঙ্গ জোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হেড বুদ্ধেশ্বর মুর্মু বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে আমাদের এই বাংলা বনধ চলছে । আমরা আশা করছি তা সফল হবে । আজ সকাল থেকে রাস্তায় একটিও বাসের দেখা নেই । গতকাল আমরা জেলা জুড়ে জোরালো প্রচার করেছি । আমাদের মূল দাবি মাহাতো কুড়মি জাতিকে এসটি করার জন্য রাজ্য সরকার যে চক্রান্ত করছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে । তাদেরকে এসটি করা মানে মূল আদিবাসীদের জীবন হত্যা করার সমান ৷"

Tribal Strike in Jhargram
রাস্তাঘাট ফাঁকা ঝাড়গ্রামে

এই বনধের বিরোধিতা করেছে ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল। এই প্রসঙ্গে বুদ্ধেশ্বর মুর্মুর বক্তব্য, তাঁদের যেকোনও কার্যক্রমে ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল বিরোধিতা করে । সম্ভবত তারা চাইছে কুড়মি জাতিরা এসটি হোক । তাই কুড়মিদের সমর্থন দিয়ে তাঁদের বনধকে সফল করতে দিচ্ছে না ভারত জাগাত মাঝি পারগানা মহল । ভারত জাগাত মাঝি পারগানা মহল গুন্ডাগারদির মত কাজ করছে । ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলকে ঝাড়গ্রামের প্রশাসন সহযোগিতা করছে । তাই তার বনধের বিরোধিতায় প্রচার করতে পারছে বলে তিনি জানান । তাঁর দাবি, "আমরা শান্তিপূর্ণ বনধ পালন করছি । যদি এইভাবে আমাদের সঙ্গে হতে থাকে ৷ পুলিশ প্রশাসন যদি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ৷ তাহলে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে আগুন জ্বলবে ৷ আর তার জন্য দায়ী থাকবে প্রশাসন ।"

আরও পড়ুন: রাস্তাঘাট ফাঁকা, 12 ঘণ্টার বনধ শুরু আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের

আদিবাসীদের ডাকা 12 ঘণ্টা বাংলা বনধে রাস্তাঘাট ফাঁকা

ঝাড়গ্রাম, 22 মে: শান্তিপুর্ণ বনধে অশান্তি ঘটাতে এলে আগুন জ্বলবে ৷ এমনটাই হুঁশিয়ারি দিলেন আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের নেতারা । কুড়মি- মাহাতোদের তপসিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না ৷ এই দাবিকে সামনে রেখে সোমবার 12 ঘণ্টা বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল আদিবাসী সঙ্গেল অভিযান । সোমবার সকাল থেকে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়েই বনধের প্রভাব পড়েছে । সকাল থেকে রাস্তায় কোনও বেসরকারি বাসের দেখা নেই । কেবলমাত্র সরকারি বাস রয়েছে। তাও সংখ্যায় খুবই কম । পণ্যবাহী লরিও তেমন একটা চোখে পড়ছে না। ঝাড়গ্রাম শহরের বুকে সিংহভাগ দোকানই ছিল বন্ধ ।

ঝাড়গ্রাম শহরের প্রাচীন বাজার জুবলি মার্কেট এবং কোর্ট রোড চত্বরের বাজার বন্ধ রয়েছে । সবজি এবং মাছ বাজার বসলেও ব্যবসায়ীদের সংখ্যা কম । স্বাভাবিক দিনে সকালবেলায় ঝাড়গ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচ মাথার মোড়ে বাস যাত্রীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো থাকে । কিন্তু আজ ভিড় নেই বললেই চলে । ঝাড়গ্রামে ঢোকার মুখে সারদাপিঠ মোড়ে রাস্তায় বেরিগেট রেখে বনধের সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা যায় আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের সমর্থকদের । যদিও আদিবাসীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল এই বনধের বিরোধিতা করেছে । রবিবার রাতে তারা ঝাড়গ্রাম শহরে মাইকে প্রচার করে জানিয়েছেন, এই বনধ পালন করার দরকার নেই ৷ স্বাভাবিক দিনের মতোই জনজীবন থাকবে । বনধের বিরোধিতায় নেমেছিলেন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের জেলার নেতা ঢেঁঙ্গা হাসদাও ।

Tribal Strike in Jhargram
আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা 12 ঘণ্টা বাংলা বনধ

যদিও তারপরেও সোমবার সকাল থেকেই বনধের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে জেলা জুড়ে ৷ গোপীবল্লভপুরে দোকানপাট খোলা থাকলেও রাস্তায় যানবাহনের দেখা নেই ৷ বেলপাহাড়ি, শিলদা এলাকায় বনধের প্রভাব পড়েছে যথেষ্ট । আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের পশ্চিমবঙ্গ জোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হেড বুদ্ধেশ্বর মুর্মু বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে আমাদের এই বাংলা বনধ চলছে । আমরা আশা করছি তা সফল হবে । আজ সকাল থেকে রাস্তায় একটিও বাসের দেখা নেই । গতকাল আমরা জেলা জুড়ে জোরালো প্রচার করেছি । আমাদের মূল দাবি মাহাতো কুড়মি জাতিকে এসটি করার জন্য রাজ্য সরকার যে চক্রান্ত করছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে । তাদেরকে এসটি করা মানে মূল আদিবাসীদের জীবন হত্যা করার সমান ৷"

Tribal Strike in Jhargram
রাস্তাঘাট ফাঁকা ঝাড়গ্রামে

এই বনধের বিরোধিতা করেছে ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল। এই প্রসঙ্গে বুদ্ধেশ্বর মুর্মুর বক্তব্য, তাঁদের যেকোনও কার্যক্রমে ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল বিরোধিতা করে । সম্ভবত তারা চাইছে কুড়মি জাতিরা এসটি হোক । তাই কুড়মিদের সমর্থন দিয়ে তাঁদের বনধকে সফল করতে দিচ্ছে না ভারত জাগাত মাঝি পারগানা মহল । ভারত জাগাত মাঝি পারগানা মহল গুন্ডাগারদির মত কাজ করছে । ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলকে ঝাড়গ্রামের প্রশাসন সহযোগিতা করছে । তাই তার বনধের বিরোধিতায় প্রচার করতে পারছে বলে তিনি জানান । তাঁর দাবি, "আমরা শান্তিপূর্ণ বনধ পালন করছি । যদি এইভাবে আমাদের সঙ্গে হতে থাকে ৷ পুলিশ প্রশাসন যদি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ৷ তাহলে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে আগুন জ্বলবে ৷ আর তার জন্য দায়ী থাকবে প্রশাসন ।"

আরও পড়ুন: রাস্তাঘাট ফাঁকা, 12 ঘণ্টার বনধ শুরু আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.