ঝাড়গ্রাম, 30 নভেম্বর: ভোর ভোর হাতির হানা ৷ সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে সাঁকরাইল ব্লকে ঢুকে পড়ল হাতির দল । ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভোরের দিকে ৷ এতে চাষিদের মাথায় হাত ৷ অঘ্রাণে সদ্য ধান পেকেছে (Elephants attack in Sankrail) ৷
হাতির দলটিতে বেশ কয়েকটি শাবকও রয়েছে । ক'দিন ধরে শালগ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের খড়্গপুর বন বিভাগের অন্তর্গত কলাইকুন্ডা রেঞ্জের বারডাঙা বিটে হাতির একটি দল এসে রয়েছে । তারপর এদিন অর্থাৎ বুধবার সকাল হতেই ঝাড়গ্রাম-ওড়িশা সীমানার নয়াগ্রামের দিক থেকে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে শালগ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের সাঁকরাইল বিটের হাড়িভাঙার জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় ঢুকে পড়েছে আরেকটি হাতির দল ।
বর্তমান সময়ে সাঁকরাইল ব্লকের কলাইকুন্ডা রেঞ্জের বারডাঙা বিট এবং সাঁকরাইল বিটে মোট 100টিরও বেশি হাতি আছে ৷ অগ্রহায়ণ মাসের পাকা ধান কাটা চলছে গ্রামে গ্রামে ৷ এই অবস্থায় এলাকায় হাতির দল ঢুকে পড়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে চাষিরা । চাষি সুশীলকুমার মাহাতো বলেন, "বেশ ক'দিন ধরেই প্রতি রাতে 25-30টি হাতি আমাদের জমির উপর এসে পাকা ধান নষ্ট করে দিয়ে যাচ্ছে ৷"
আরও পড়ুন: গ্রামে হাতির হানা রুখতে মৌমাছি চাষ, আর্থিক লাভও হচ্ছে গ্রামবাসীদের
তিনি আরও জানান, এখানে চাষ বৃষ্টি আর কংসাবতী ক্যানালের জলের উপর নির্ভরশীল ৷ সুশীলকুমার মহাতো বলেন, "বহু কষ্টে যদিও আমরা চাষ করেছি ৷ তার মধ্যে আবার শস্যে পোকার আক্রমণে অনেকটা নষ্ট হয়েছে ৷ যেটুুকু ধান বাকি ছিল তাতে আবার হাতির আক্রমণ ৷ আজ নয়াগ্রাম থেকে হাতির পাল এসেছে ৷ আমরা আশঙ্কা করছি ধান তুলতেই পারব না ৷"
সামনেই মকর পরব ৷ তাই সুশীল মাহাতোর দাবি, যে কোনও ভাবে সরকার যেন হাতিদের তাড়ানোর ব্যবস্থা করে ৷ এই ধান বিক্রি করেই পরব হবে ৷ সন্তানদের জামাকাপড় কিনে দেন তিনি ৷ হাতির হানায় দুশ্চিন্তায় গ্রামের চাষিরা ৷ সরকারের কাছে তাঁদের আবেদন, সরকার যেন তাঁদের ক্ষতিপূরণের ফর্ম দেয় ৷ আগে সে ফর্ম দেওয়া হলেও এখন আর তা পান না চাষিরা, অভিযোগ সুশীলকুমার মাহাতোর গলায় ৷