ETV Bharat / state

মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করলেও তৃণমূলে যোগ নিয়ে "মনস্থির" করেননি ছত্রধর - ছত্রধরকে বীরের মতো সম্বোর্ধনা

11 বছর পর লালগড়ে ফিরলেন "সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণ কমিটি"-র আহ্বায়ক ছত্রধর মাহাত । তাঁকে সেখানে সংবর্ধনা জানানো হয় ।

chatradhar
ছত্রধরকে বীরের মতো সম্বোর্ধনা
author img

By

Published : Feb 2, 2020, 8:46 PM IST

Updated : Feb 2, 2020, 9:29 PM IST

ঝাড়গ্রাম,2 ফেব্রুয়ারি : ১১ বছর পর লালগড়ে ফিরলেন । এলেন লোধাসুলি জঙ্গলে । তবে অভ্যর্থনা পেলেন সেই আগের মতোই। ছত্রধর মাহাতকে সংবর্ধনা জানালেন তৃণমূল নেতা বীরবাহা সোরেন, ুডুরা । সংবর্ধনায় আপ্লুত ছত্রধরও বললেন," আমি তোমাদেরই লোক ।" মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করলেও তৃণমূলে যোগদানের বিষয়ে মনস্থির করেননি বলে জানান তিনি ।

chatradhar
লালগড়ে ফিরলেন ছত্রধর

শনিবার জামিন পেয়েছেন । বিকেলে ক্লিন শেভড্ আর গোঁফে রঙ করা ছত্রধর SSKM থেকে বেরিয়ে আসেন । আর আজ সকাল সকাল রওনা দেন ঝাড়গ্রামের উদ্দ্যশে । দীর্ঘদিন প্রেসিডেন্সি জেলে কাটান । গত এক বছর ছত্রধরের ঠিকানা ছিল SSKM হাসপাতালের উডবার্ণ ওয়ার্ড । লোধাসুলি জঙ্গলে তৃণমূলের বীর বাহ সরেন ও রবিন টুডুরা সম্বোর্ধনা জানালেও তৃণমূল সম্পর্কে প্রশংসায় কিছুটা সংযত থাকলেন ছত্রধর । এখনই তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে মনস্থির করেননি জানালেও রাজনীতিতেই যে থাকবেন তা নিয়ে কোনও লুকোছাপা করেননি । জঙ্গলমহলে উন্নয়নের দাবি তুলেই বাম জমানায় মমতার হাত ধরেন ছত্রধর । জঙ্গলমহলে উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ছত্রধর বলেন,"উন্নয়নের কাজ 100 পারসেন্ট হয়েছে এটা বলব না ,তবে এখনো অনেক কাজ বাকি আছে l "

chatradhar
আমাকে সকলেই সম্বর্ধনা দিয়েছেন , আমি তাতে আপ্লুত

2008 সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয় বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত ছিলেন ছত্রধর মাহাতো । এই ছত্রধর মাহাতো কে সেই সময় পুলিশ গ্রেফতার করার জন্য বহু রকম চেষ্টা করেছিলেন । পরবর্তীকালে ছত্রধর "পুলিসী সন্ত্রাসবিরোধী জনসাধারণ কমিটি" গড়ে তুলে তাঁর নেতা হয়ে যান । 2009 সালে এক সাংবাদিক বৈঠকের সময় সাংবাদিক সেজে ছত্রধর কে গ্রেপ্তার করে CID । তাঁর বিরুদ্ধে মোট 27 টি কেস দেওয়া হয় । 2011 সালে বাম সরকারকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (UAPA) যাবজ্জীবন হয় ছত্রধরের । শেষমেশ 11 বছর পর ছাড়া পান তিনি ।

chatradhar
"উন্নয়নের কাজ 100 পারসেন্ট হয়েছে এটা বলব না,জানালেন ছত্রধর

ছত্রধর এদিন মিলিত হলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে । সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, যেসব দাবি নিয়ে তিনি আন্দোলন করছিলেন তার মধ্যে জঙ্গলমহলের মানুষের জন্য খাদ্যের দাবি ছিল প্রধান । মমতা ব্যানার্জি সেই দাবি পুষিয়ে দিয়েছেন পাশাপাশি এই লালগড়ে চিত্র তিনি বদলে দিয়েছেন । তিনি বলেন," জন্মস্থান লালগড় আমি আর চিনতে পাচ্ছি না । তাই রাস্তায় আসার পথে বারবার জিজ্ঞেস করছিলাম এটা কোন রাস্তা , কারণ এই নদী, এই রাস্তা আগে কোনওদিন ছিল না । এখানকার আমূল পরিবর্তন করেছেন মমতা ব্যানার্জি ।" মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন ছত্রধর । BJP নেতা মুকুল রায়ের প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে ছত্রধর সাংবাদিকদের বলেন, " একসময় তৃণমূলে মুকুলবাবুও ছিলেন । তিনি ভালো করে বলতে পারবেন ছত্রধর মাহাতোকে কি কাজে ব্যবহার করা হতো । গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমার বাড়ি এসেছিলেন মুকুল বাবু সহানুভূতি পাওয়ার আশায় । সেখানে আমার মা-বাবা তাঁকে বলেছিলেন আপনিও তো তৃণমূলের ছিলেন কিভাবে ব্যবহার করত আমাকে সেটা আপনিও জানতেন । আপনি এখন তৃণমূল ছেড়ে এসে এসব কথা বলছেন ।" বাম জমানায় তাঁর সঙ্গীদের মধ্যে এখন কেউ তৃণমূল, কেউ BJP, কেউ আবার CPI(M) করেন । ছত্রধর বলেন,"রাজনৈতিকভাবে অনেকে অনেক কিছুই করেন । কিন্তু আমাকে সকলেই সম্বর্ধনা দিয়েছেন । আমি তাতে আপ্লুত l"

তৃণমূলে যোগ নিয়ে "মনস্থির" করেননি ছত্রধর

ঝাড়গ্রাম,2 ফেব্রুয়ারি : ১১ বছর পর লালগড়ে ফিরলেন । এলেন লোধাসুলি জঙ্গলে । তবে অভ্যর্থনা পেলেন সেই আগের মতোই। ছত্রধর মাহাতকে সংবর্ধনা জানালেন তৃণমূল নেতা বীরবাহা সোরেন, ুডুরা । সংবর্ধনায় আপ্লুত ছত্রধরও বললেন," আমি তোমাদেরই লোক ।" মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করলেও তৃণমূলে যোগদানের বিষয়ে মনস্থির করেননি বলে জানান তিনি ।

chatradhar
লালগড়ে ফিরলেন ছত্রধর

শনিবার জামিন পেয়েছেন । বিকেলে ক্লিন শেভড্ আর গোঁফে রঙ করা ছত্রধর SSKM থেকে বেরিয়ে আসেন । আর আজ সকাল সকাল রওনা দেন ঝাড়গ্রামের উদ্দ্যশে । দীর্ঘদিন প্রেসিডেন্সি জেলে কাটান । গত এক বছর ছত্রধরের ঠিকানা ছিল SSKM হাসপাতালের উডবার্ণ ওয়ার্ড । লোধাসুলি জঙ্গলে তৃণমূলের বীর বাহ সরেন ও রবিন টুডুরা সম্বোর্ধনা জানালেও তৃণমূল সম্পর্কে প্রশংসায় কিছুটা সংযত থাকলেন ছত্রধর । এখনই তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে মনস্থির করেননি জানালেও রাজনীতিতেই যে থাকবেন তা নিয়ে কোনও লুকোছাপা করেননি । জঙ্গলমহলে উন্নয়নের দাবি তুলেই বাম জমানায় মমতার হাত ধরেন ছত্রধর । জঙ্গলমহলে উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ছত্রধর বলেন,"উন্নয়নের কাজ 100 পারসেন্ট হয়েছে এটা বলব না ,তবে এখনো অনেক কাজ বাকি আছে l "

chatradhar
আমাকে সকলেই সম্বর্ধনা দিয়েছেন , আমি তাতে আপ্লুত

2008 সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয় বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত ছিলেন ছত্রধর মাহাতো । এই ছত্রধর মাহাতো কে সেই সময় পুলিশ গ্রেফতার করার জন্য বহু রকম চেষ্টা করেছিলেন । পরবর্তীকালে ছত্রধর "পুলিসী সন্ত্রাসবিরোধী জনসাধারণ কমিটি" গড়ে তুলে তাঁর নেতা হয়ে যান । 2009 সালে এক সাংবাদিক বৈঠকের সময় সাংবাদিক সেজে ছত্রধর কে গ্রেপ্তার করে CID । তাঁর বিরুদ্ধে মোট 27 টি কেস দেওয়া হয় । 2011 সালে বাম সরকারকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (UAPA) যাবজ্জীবন হয় ছত্রধরের । শেষমেশ 11 বছর পর ছাড়া পান তিনি ।

chatradhar
"উন্নয়নের কাজ 100 পারসেন্ট হয়েছে এটা বলব না,জানালেন ছত্রধর

ছত্রধর এদিন মিলিত হলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে । সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, যেসব দাবি নিয়ে তিনি আন্দোলন করছিলেন তার মধ্যে জঙ্গলমহলের মানুষের জন্য খাদ্যের দাবি ছিল প্রধান । মমতা ব্যানার্জি সেই দাবি পুষিয়ে দিয়েছেন পাশাপাশি এই লালগড়ে চিত্র তিনি বদলে দিয়েছেন । তিনি বলেন," জন্মস্থান লালগড় আমি আর চিনতে পাচ্ছি না । তাই রাস্তায় আসার পথে বারবার জিজ্ঞেস করছিলাম এটা কোন রাস্তা , কারণ এই নদী, এই রাস্তা আগে কোনওদিন ছিল না । এখানকার আমূল পরিবর্তন করেছেন মমতা ব্যানার্জি ।" মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন ছত্রধর । BJP নেতা মুকুল রায়ের প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে ছত্রধর সাংবাদিকদের বলেন, " একসময় তৃণমূলে মুকুলবাবুও ছিলেন । তিনি ভালো করে বলতে পারবেন ছত্রধর মাহাতোকে কি কাজে ব্যবহার করা হতো । গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমার বাড়ি এসেছিলেন মুকুল বাবু সহানুভূতি পাওয়ার আশায় । সেখানে আমার মা-বাবা তাঁকে বলেছিলেন আপনিও তো তৃণমূলের ছিলেন কিভাবে ব্যবহার করত আমাকে সেটা আপনিও জানতেন । আপনি এখন তৃণমূল ছেড়ে এসে এসব কথা বলছেন ।" বাম জমানায় তাঁর সঙ্গীদের মধ্যে এখন কেউ তৃণমূল, কেউ BJP, কেউ আবার CPI(M) করেন । ছত্রধর বলেন,"রাজনৈতিকভাবে অনেকে অনেক কিছুই করেন । কিন্তু আমাকে সকলেই সম্বর্ধনা দিয়েছেন । আমি তাতে আপ্লুত l"

তৃণমূলে যোগ নিয়ে "মনস্থির" করেননি ছত্রধর
Intro:জামিন পেয়ে ছত্রধর ঝাড়গ্রাম দিয়ে ঢুকলেন লালগড়ে, আর সেই লোধাসুলি জঙ্গল থেকে তাকে সম্বর্ধনা জানাল ঝাড় গ্রাম লালগড় বাসী ,সম্বর্ধনা জানালো তৃণমূলের বীর বাহ সরেন ও রবিন টুডুরা , ছত্রধর জানালো আমি তোমাদেরই নেতা তোমাদের পাশে আছি ,তৃণমূলে এখনই যোগদান করার মনস্থির কিছু করিনি ,উন্নয়নে কাজ 100 পারসেন্ট হয়েছে এটা বলব না ,তবে এখনো অনেক কাজ বাকি আছে l Body:জামিন পেয়ে ছত্রধর ঝাড়গ্রাম দিয়ে ঢুকলেন লালগড়ে, আর সেই লোধাসুলি জঙ্গল থেকে তাকে সম্বর্ধনা জানাল ঝাড় গ্রাম লালগড় বাসী ,সম্বর্ধনা জানালো তৃণমূলের বীর বাহ সরেন ও রবিন টুডুরা , ছত্রধর জানালো আমি তোমাদেরই নেতা তোমাদের পাশে আছি ,তৃণমূলে এখনই যোগদান করার মনস্থির কিছু করিনি ,উন্নয়নে কাজ 100 পারসেন্ট হয়েছে এটা বলব না ,তবে এখনো অনেক কাজ বাকি আছে l


দীর্ঘ 11 বছর পর অবশেষে ঘরে ফিরলে ঘরের ছেলে, ফিরে এল পুলিশি জনসাধারণ কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতো l শনিবার তিনি প্রেসিডেন্সি কারেকশনাল হোম থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই তিনি একটি রেকর্ডিং এর মাধ্যমে জানিয়েছিলেন রবিবার তিনি লালগড়ের উদ্দেশ্যে যাবেন ,মিলিত হবেন তার পুরানো মানুষদের সাথে l সেই কথা মোতাবেক রবিবার দুপুর নাগাদ লোধাসুলি জঙ্গল ওপর দিয়ে ঝাড়গ্রামে এলেন ছত্রধর মাহাতো l লোধাসুলি থেকেই তাঁকে সংবর্ধনা জানায় গ্রামবাসীরা ,তাকে বাইক বাহিনী করে নিয়ে এসে দহিজুড়ি তো সম্বর্ধনা জানানো হয় l ঝাড়গ্রামে সম্বর্ধনা জানান তৃণমূল বীর বাহা সরেন ও রবিন টুডুরা l এরপর সকলের আশীর্বাদ সম্বর্ধনা পেয়ে ছত্রধর এলেন লালগড়ে সেখানে ,তার নিজের গ্রামবাসীদের সঙ্গে পরিচিতি ও সম্বর্ধনা পেয়ে সাংবাদিকদের সাথে মিলিত হলেন l

উল্লেখ্য 2008 সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয় বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত ছিলেন ছত্রধর মাহাতো l এই ছত্রধর মাহাতো কে সেই সময় পুলিশ গ্রেফতার করার জন্য বহু রকম চেষ্টা করেছিলেন পরবর্তীকালে ছত্রধর পুলিসী সন্ত্রাসবিরোধী জনসাধারণ কমিটি গড়ে তুলে তাঁর নেতা হয়ে যান এবং রাতারাতি তিনি পশ্চিম মেদিনীপুর সহ ঝাড়গ্রামেরে বিস্তীর্ণ জঙ্গলমহল এলাকায় রাস্তায় নেমে পড়েন আন্দোলনে l এই আন্দোলনের দৌরাত্ম্যে ব্যবসা, স্কুল কলেজ হাট-বাজার সবকিছু প্রায় বন্ধের মুখে হয়ে পড়েছিল l অতঃপর যৌথবাহিনী অভিযানে নামে এবং 2009 সালে এক সাংবাদিক বৈঠকের সময় সাংবাদিক সেজে ছত্রধর কে গ্রেপ্তার করে সিআইডি l এরপর তাকে মোট 27 টি কেসে অভিযুক্ত করে জেলে পোরা হয় l 2011 সালে বাম সরকারকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন তৃণমূলের মমতা ব্যানার্জি l এই মমতা ব্যানার্জি একসময় ছত্রধরের উপর ভর করে জঙ্গলমহলে নিজেদের রাজত্ব বিস্তার করেছিল কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ছত্রধরের উপর বিশেষ নজর না দিয়ে এগিয়ে যান এবং জঙ্গলমহলের দায়িত্ব তুলে দেন যুবনেতা শুভেন্দু অধিকারী আর তৎকালীন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষের উপর l পরবর্তীকালে ভারতী ঘোষ ও মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে মতবিরোধের জেরে ভারতী ঘোষ আইপিএস অফিসার পদ থেকে পদত্যাগ করলে জঙ্গলমহল তৃণমূলের হাতছাড়া হওয়া দেখা দেয় l এরপর সেই জঙ্গলমহলের দায়িত্ব আবার তুলে দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর হাতে l কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে জঙ্গলমহল পশ্চিম এবং ঝাড়গ্রামের দুটো সিট দখল করে বিজেপি l এই ঘটনায় দিদিমনির রাগ আরো বেড়ে যায় এবং শুভেন্দু কে জঙ্গলমহলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে চান কিন্তু তিনি নতুন মুখ কিছুতে খুঁজে পাচ্ছিলে না l এরপর আবার পুনরায় 11 বছর পর ছত্রধর নামানো হলো জঙ্গলমহলে l কারণ সামনে বিধানসভার নির্বাচন সেই নিরিখে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের রাজত্ব কায়েম করার জন্য সেই পুরনো ভরসা ছত্রধর কে বেছে নিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর সেই কারণেই এই দিন মুকুল রায় সাংবাদিক বৈঠকে মমতা ব্যানার্জির কে ছত্রধর গ্রেপ্তার বিষয়ে দোষারোপ করেন এবং বলেন পুরোটাই মমতা ব্যানার্জীর সাজানো l

এইদিকে ছত্রধর এদিন মিলিত হলেন গ্রামবাসীদের পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বললেন যেসব দাবি নিয়ে তিনি আন্দোলন করছিলেন বিশেষ করে খাদ্যের দাবি দাবি ,মমতা ব্যানার্জি সেই দাবি পুষিয়ে দিয়েছেন পাশাপাশি এই লালগড়ে চিত্র তিনি বদলে দিয়েছেন l জেলে বসে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে খবর নিচ্ছিলেন আজ স্বচক্ষে দেখলেই জন্মস্থান লালগড় আমি আর চিনতে পারছি না l তাই তিনি রাস্তায় আসার পথে বারবার জিজ্ঞেস করেছিলেন এটা কোন রাস্তা , কারণ এই নদী, এই রাস্তা আগে কোনদিন ছিল না l এর আমূল পরিবর্তন করেছেন মমতা ব্যানার্জি l এ দিন মমতার ভূয়সী প্রশংসা করলেন ছত্রধর মাহাতো l এরপর সাংবাদিকরা ছত্রধর মাহাতোকে মুকুলবাবুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন একসময় তৃণমূলে মুকুল বাবু ও ছিলেন তিনি ভালো করে বলতে পারবেন ছত্রধর মাহাতোকে কি কাজে ব্যবহার করা হতো l গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমার বাড়ি এসেছিলেন মুকুল বাবু সহানুভূতি পাওয়ার আশায়, সেখানে আমার মা-বাবা তাকে বলেছিলেন আপনিও তো তৃণমূলের ছিলেন কিভাবে ব্যবহার করত আমাকে সেটা আপনিও জানতেন l আপনি এখন তৃণমূল ছেড়ে এসে এসব কথা বলছেন l এরপর ছত্রধর মাহাতোকে জঙ্গলমহল উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমি বলব না যে হান্ড্রেড পার্সেন্ট জঙ্গলমহলের উন্নয়ন সম্পূর্ণ হয়েছে ,আরো কিছু বাকি আছে l সেগুলো আমি সাধারণ মানুষের সঙ্গে পাশে নিয়ে সে কাজগুলো করব l তবে তৃণমূলের বাইক বাহিনীর সম্বর্ধনা নিয়ে রাস্তায় আসা ছত্রধর মাহাতোকে তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে বললেন, এখনই মনস্থির করিনি তবে আরও সময় লাগবে l আমি আগে আমার পরিবার এবং গ্রামের মানুষের সঙ্গে মিলিত হই, তারপর জানাবো l তৎকালীন সময়ে যারা আমার সঙ্গে ছিলেন তারা আজকে তৃণমূল কেউ কেউ বিজেপি কেউ কেউ সিপিএম করেন ,রাজনৈতিকভাবে অনেকে অনেক কিছুই করেন কিন্তু আমাকে সকলেই সম্বর্ধনা দিয়েছে এটাই আমি আপ্লুত l Conclusion:জামিন পেয়ে ছত্রধর ঝাড়গ্রাম দিয়ে ঢুকলেন লালগড়ে, আর সেই লোধাসুলি জঙ্গল থেকে তাকে সম্বর্ধনা জানাল ঝাড় গ্রাম লালগড় বাসী ,সম্বর্ধনা জানালো তৃণমূলের বীর বাহ সরেন ও রবিন টুডুরা , ছত্রধর জানালো আমি তোমাদেরই নেতা তোমাদের পাশে আছি ,তৃণমূলে এখনই যোগদান করার মনস্থির কিছু করিনি ,উন্নয়নে কাজ 100 পারসেন্ট হয়েছে এটা বলব না ,তবে এখনো অনেক কাজ বাকি আছে l
Last Updated : Feb 2, 2020, 9:29 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.