ঝাড়গ্রাম, 19 জুলাই: অরণ্য সপ্তাহে রাজ্য জুড়ে প্রায় 25 লক্ষ বৃক্ষরোপণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে । এমনটাই জানালেন বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ৷ বুধবার ঝাড়গ্রাম শহরের কেকেআই স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হল জেলাস্তরীয় বনমহোৎসব । প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন বীরবাহা হাঁসদা । উপস্থিত ছিলেন মুখ্য বনপাল পশ্চিমাঞ্চল অশোক প্রতাপ সিং, ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল কুমার আগরওয়ালা, ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের ডিএফও পঙ্কজ সূর্যবংশী, খড়গপুর বন বিভাগের ডিএফও শিবানন্দ রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর বন বিভাগের ডিএফও । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঝাড়্গ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ, ঝাড়গ্রামের এসডিপিও অনিন্দ্য সুন্দর ভট্টাচার্য, ঝাড়গ্রাম থানার আইসি বিপ্লব কর্মকার এবং উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবং বনদফতরের আধিকারিকরা ।
উপস্থিত সকলের কাছে গাছের গুরুত্ব তুলে ধরা হয় এদিন । মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা মঞ্চে বক্তব্য রাখেন, এই বছর অরণ্য সপ্তাহে প্রায় 25 লক্ষ বৃক্ষরোপণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে রাজ্য জুড়ে । তার মধ্যে 10 লক্ষ রোপণ করা হয়েছে । বনদফতরের আধিকারিক এবং কর্মীদের কাজে তিনি যথেষ্ট খুশি । তিনি বলেন, "আমার বনদফতরের আধিকারিক এবং নীচুতলার কর্মীরা সর্বদা দিবারাত্রি কাজ করে চলেছে ৷ তাদের জন্যই এই অরণ্য আরও সবুজ হয়ে উঠেছে ।" এছাড়াও এ দিন একটি ট্যাবলোর উদ্বোধন করা হয় । যা পুরো জেলা পরিক্রমা করবে এবং মানুষকে বৃক্ষরোপণের জন্য আহ্বান জানাবে ।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য দূষণমুক্ত নগরী, পঞ্চায়েতমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুর্গাপুরে 3000 বৃক্ষরোপণ
কেকেআর স্কুল প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, মুখ্য বনপাল পশ্চিমাঞ্চল অশোক প্রতাপ সিং-সহ উপস্থিত সকলে । এ দিন সংবাদমাধ্যমের কাছে বীরবাহা বলেন, "পৃথিবীকে বাঁচাতে হবে মানুষকে বাঁচাতে হবে বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে । বনদফতর থেকে আমরা সব সময় পাশে রয়েছি। কেউ যদি গাছ লাগাতে চাই বনদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই তার হাতে চারা গাছ তুলে দেওয়া হবে ৷"