ETV Bharat / state

Youth Killed Father: পারিবারিক বিবাদে প্রৌঢ়কে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে - Beaten to Death

জলপাইগুড়িতে প্রৌঢ়কে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ অভিযোগ পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনাটি ঘটেছে ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷

Youth Killed Father in Jalpaiguri ETV BHARAT
Youth Killed Father in Jalpaiguri ETV BHARAT
author img

By

Published : Jun 13, 2023, 2:11 PM IST

জলপাইগুড়িতে প্রৌঢ়কে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে

জলপাইগুড়ি, 13 জুন: পারিবারিক অশান্তির জেরে প্রৌঢ়কে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে ৷ তাও আবার হাত-পা বেঁধে ৷ সোমবার নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির মণ্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠাকুর কামাত গ্রামে ৷ মৃতের নাম মানিক রায়, বয়স 50 বছর ৷ বাবাকে খুনের অভিযোগে ছেলে সঞ্জয় রায়কে (27 বছর) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ মানিক রায় প্রায় মদপ্য অবস্থায় স্ত্রী এবং ছেলের অশান্তি ও মারধর করতেন বলে অভিযোগ ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ মানিক রায়ের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকালে মানিক রায় এবং তাঁর ছেলে সঞ্জয়ের মধ্যে অশান্তি শুরু হয় ৷ বিষয়টি এতটাই চরমে পৌঁছায় যে, স্থানীয়রা বিষয়টি পঞ্চায়েতে জানায় ৷ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তাঁদের বাড়িতে গিয়ে বোঝানোর ও চেষ্টা করেন ৷ কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি ৷ তাঁরা ফিরে যেতেই ফের অশান্তি শুরু হয় ৷ অভিযোগ তখনই সঞ্জয় রায় তাঁর বাবার উপর চড়াও হন ৷ মানিক রায়কে ঘরের মধ্যেই হাত-পা বেঁধে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো অভিযোগ ওঠে ছেলের বিরুদ্ধে ৷

মানিকবাবু চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা সেখানে যান ৷ কিন্তু, অভিযোগ সঞ্জয় তাঁদের বাধা দেন ৷ সেই সময় গুরুতর জখম অবস্থায় ঘরের মধ্যে পড়েছিলেন মানিক রায় ৷ তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করতে গেলে সঞ্জয় বাধা দেন বলে অভিযোগ ৷ ফলে প্রতিবেশীরা ফের পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানান ৷ সেখান থেকে লোকজন মানিকবাবুকে হাসপাতালে ভরতি করতে গাড়ি নিয়ে যান ৷ কিন্তু, এবারেও সঞ্জয় রায় তাঁদের বাধা দেন ৷ ফলে দীর্ঘক্ষণ ঘরের মধ্যে পড়ে থেকে মৃত্যু হয় মানিক রায়ের ৷

আরও পড়ুন: মাকে কুপিয়ে খুন ! সুটকেসে দেহ ভরে বেঙ্গালুরুর থানায় কলকাতার মহিলা

তখন প্রতিবেশীরাই জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানায় খবর দেন ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মানিক রায়ের দেহ উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷ বাবাকে খুনের অভিযোগে ছেলে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ তবে, এত কিছুর মধ্যে সঞ্জয়ের মায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ পুলিশ তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে ৷ পঞ্চায়েত সদস্য সামসুল নেহার জানিয়েছে, এই পরিবারের অশান্তি দীর্ঘদিনের ৷ আগেও পঞ্চায়েতের তরফে তাঁদের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি ৷

আরও পড়ুন: সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় মাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ, পলাতক ছেলে ও বৌমা

কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে সঞ্জয় যখন তাঁর বাবাকে মারছিলেন ৷ তখন পুলিশে কেন খবর দিলেন না প্রতিবেশীরা ? পঞ্চায়েতের বদল পুলিশে বিষয়টি জানালে হয়তো প্রাণে বেঁচে যেতেন মানিক রায় ৷ এমনকী দীর্ঘদিনের এই অশান্তি মেটাতে প্রতিবেশীরা পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৷ সেখানে পুলিশে গেলে, আইনি পথে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হলেও হতে পারত ৷ আপাতত সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷

জলপাইগুড়িতে প্রৌঢ়কে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে

জলপাইগুড়ি, 13 জুন: পারিবারিক অশান্তির জেরে প্রৌঢ়কে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে ৷ তাও আবার হাত-পা বেঁধে ৷ সোমবার নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির মণ্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠাকুর কামাত গ্রামে ৷ মৃতের নাম মানিক রায়, বয়স 50 বছর ৷ বাবাকে খুনের অভিযোগে ছেলে সঞ্জয় রায়কে (27 বছর) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ মানিক রায় প্রায় মদপ্য অবস্থায় স্ত্রী এবং ছেলের অশান্তি ও মারধর করতেন বলে অভিযোগ ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ মানিক রায়ের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকালে মানিক রায় এবং তাঁর ছেলে সঞ্জয়ের মধ্যে অশান্তি শুরু হয় ৷ বিষয়টি এতটাই চরমে পৌঁছায় যে, স্থানীয়রা বিষয়টি পঞ্চায়েতে জানায় ৷ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তাঁদের বাড়িতে গিয়ে বোঝানোর ও চেষ্টা করেন ৷ কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি ৷ তাঁরা ফিরে যেতেই ফের অশান্তি শুরু হয় ৷ অভিযোগ তখনই সঞ্জয় রায় তাঁর বাবার উপর চড়াও হন ৷ মানিক রায়কে ঘরের মধ্যেই হাত-পা বেঁধে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো অভিযোগ ওঠে ছেলের বিরুদ্ধে ৷

মানিকবাবু চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা সেখানে যান ৷ কিন্তু, অভিযোগ সঞ্জয় তাঁদের বাধা দেন ৷ সেই সময় গুরুতর জখম অবস্থায় ঘরের মধ্যে পড়েছিলেন মানিক রায় ৷ তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করতে গেলে সঞ্জয় বাধা দেন বলে অভিযোগ ৷ ফলে প্রতিবেশীরা ফের পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানান ৷ সেখান থেকে লোকজন মানিকবাবুকে হাসপাতালে ভরতি করতে গাড়ি নিয়ে যান ৷ কিন্তু, এবারেও সঞ্জয় রায় তাঁদের বাধা দেন ৷ ফলে দীর্ঘক্ষণ ঘরের মধ্যে পড়ে থেকে মৃত্যু হয় মানিক রায়ের ৷

আরও পড়ুন: মাকে কুপিয়ে খুন ! সুটকেসে দেহ ভরে বেঙ্গালুরুর থানায় কলকাতার মহিলা

তখন প্রতিবেশীরাই জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানায় খবর দেন ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মানিক রায়ের দেহ উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷ বাবাকে খুনের অভিযোগে ছেলে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ তবে, এত কিছুর মধ্যে সঞ্জয়ের মায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ পুলিশ তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে ৷ পঞ্চায়েত সদস্য সামসুল নেহার জানিয়েছে, এই পরিবারের অশান্তি দীর্ঘদিনের ৷ আগেও পঞ্চায়েতের তরফে তাঁদের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি ৷

আরও পড়ুন: সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় মাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ, পলাতক ছেলে ও বৌমা

কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে সঞ্জয় যখন তাঁর বাবাকে মারছিলেন ৷ তখন পুলিশে কেন খবর দিলেন না প্রতিবেশীরা ? পঞ্চায়েতের বদল পুলিশে বিষয়টি জানালে হয়তো প্রাণে বেঁচে যেতেন মানিক রায় ৷ এমনকী দীর্ঘদিনের এই অশান্তি মেটাতে প্রতিবেশীরা পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৷ সেখানে পুলিশে গেলে, আইনি পথে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হলেও হতে পারত ৷ আপাতত সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.