জলপাইগুড়ি, 10 জুন: সাতসকালে রাস্তার পাশে বসে নিজের গলা কাটছেন যুবক! গলগল করে রক্ত বেরিয়ে ভিজে যাচ্ছে শরীরের বিভিন্ন অংশ ৷ হাড়হিম করা এমন দৃশ্য দেখে স্বভাবতই হতবাক স্থানীয়রা। যুবককে বাঁচানোর চেষ্টা করতে গেলে তিনি চাকু নিয়ে স্থানীয়দের দিকেই তেড়ে আসেন বলে অভিযোগ। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ময়নাগুড়ি রোড এলাকায়।
ছুরি দিয়ে গলা কাটার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে নিস্তেজ হয়ে পড়ে ওই যুবক। যুবককে সাহায্য করার ইচ্ছে থাকলেও পুলিশি আইনের কথা ভেবে পিছপা হন স্থানীয়রা। একাংশের মানুষের ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ। সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ভিতি কাজ করে যে ছুরি দিয়ে গলা কাটা ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁরা আইনের জাঁতাকলে ফেঁসে যাবেন। ফলে দু-একজন এগিয়ে এলেও তাঁরাও সেভাবে সাহস পাননি।
এরপর ময়নাগুড়ি থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে গুরুতর জখম অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। জখম অবস্থায় পড়ে থাকা যুবকের পাশ থেকেই রক্তাক্ত ছুরি উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। যদিও ওই জখম যুবকের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে স্থানীয়রা বলছেন তিনি স্থানীয় বাসিন্দা নন ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবকের বাড়ি ফালাকাটায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ি রোড রেলগেটের কাছে সকালে স্থানীয়রা দেখেন যুবকটি ছুরি দিয়ে গলা কাটছেন। তাঁকে মানা করা সত্ত্বেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: ছাত্রের গলা কাটা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য, অপহরণের পর 'খুন'
তাঁকে আটকাতে গেলে ছুরি দিয়ে ভয় দেখান তিনি। ফলে কেউ এগিয়ে আসতে সাহস পাননি। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ গুরুতর জখম থাকায় তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। তবে কী কারণে তরতাজা ওই যুবক এমন কাণ্ড ঘটাল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জলপাইগুড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়ান্দেন ভুটিয়া বলেন, "আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি ঘটনাটি কী হয়েছে। আত্মহত্যার চেষ্টা নাকি অন্যকিছু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । কী কারণে এমন ঘটনা তা তদন্তের পর জানা যাবে।"