জলপাইগুড়ি, 20 জুন: শুরু থেকেই উত্তরবঙ্গে মারকাটারি মেজাজে বর্ষারানি ৷ প্রবল বৃষ্টির জেরে তিস্তা ও জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা ৷ ভূটান পাহাড় ও সিকিমে টানা বৃষ্টির জেরে জলপাইগুড়ি-সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদীতে জল বেড়েছে । সিকিমে বৃষ্টিপাতের ফলে জলস্ফীতির কারণে তিস্তা নদীর দোমহনী থেকে মেখলিগঞ্জ এলাকার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে । পাশাপাশি জলঢাকা নদীতে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকাতেও জারি করা হয়েছে এই হলুদ সংকেত ৷ এছাড়াও হড়পা বান আসার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছে না আবহাওয়া দফতর ।
পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে তার মোকাবিলায় সিভিল ডিফেন্স ও এনডিআরএফ কর্মীদের অ্যালার্ট রাখা হয়েছে । গত কয়েক দিন ধরেই সিকিম-সহ উত্তরবঙ্গে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বর্ষা । আবহাওয়া অফিস থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল 8টা পর্যন্ত জলপাইগুড়িতে বৃষ্টিপাত হয়েছে 62.6 মিলিমিটার, ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কম নয় । নাগরাকাটা 206.0 মিমি, ডায়না 199.0 মিমি, সেবক 181.8 মিমি, আলিপুরদুয়ার 140.2, কোচবিহার 55.4, ধূপগুড়ি 64.8, বাগরাকোট 145.8, বক্সা 96.2, কুমারগ্রাম 158.2, বারোবিষা 174.0, হাসিমারা 112.0 মিমি ও ফালাকাটায় 98.2 মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে । এই মুহূর্তে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য চারটি স্পিড বোট ও 20 জন ডুবুরি-সহ বিভিন্ন স্থানে দেশি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ।
এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি সেচ বিভাগের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র জানান, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের মধ্যে নাগরাকাটায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে । আগামী 24 ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে । এ বছরে 704.70 মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে । গত বছর যা 1109.10 মিলিমিটার ছিল । এ বছর অনেক বৃষ্টির ঘাটতি ছিল ।আশাকরি এই ঘাটতি পূরণ হবে ।
আরও পড়ুন : নর্থ সিকিমে ধসে আটক 400 পর্যটকে উদ্ধার করল সেনা