জলপাইগুড়ি, 13 জুন : শিশু খুনে অভিযুক্ত এক বিচারাধীন মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু । অভিযোগ, জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে গামছায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন অভিযুক্ত মহিলা । ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে । আত্মঘাতী মহিলার নাম আফিজা খাতুন (48)।
6 জুন সকাল থেকে নিখোঁজ থাকে শিশুটি । এরপর তার দেহ মেলে নদীর পাড় থেকে । ঘটনার পরে অভিযুক্ত আফিজা খাতুনের বাড়িতে যায় স্থানীয়রা । ওই দিনই পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাকে । এরপর ৭ জুন অভিযুক্তকে আদালতে তুলে তিনদিনের জন্য পুলিশি রিমান্ডে নেওয়া হয় । অভিযুক্ত মহিলা জেরায় স্বীকার করে সে শিশুটিকে খুন করেছে । তবে খুনের কারণ সে জানায়নি ।এরপর 10 জুন মহিলাকে জেল হেপাজতের নির্দেশ দেয় জলপাইগুড়ি আদালত।
10 তারিখ থেকে ওই মহিলা জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বিচারাধীন বন্দী ছিল । জেল সূত্রের খবর সে বাইরের থেকে এসেছে বলে কোরোনার সংক্রমণ রুখতে আলাদা করে তৈরি করা বিশেষ সেলের মহিলা প্যার্ডে তাকে থাকতে দেওয়া হয়েছিল । অভিযোগ গতকাল রাতে সেখানেই গামছা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে । রাতে চিকিৎসক আসার পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে । আজ তার মৃতদেহ জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য ।