জলপাইগুড়ি, 16 মার্চ : বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে রাজগঞ্জের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বদলকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ৷ আর এই পরিবর্তনের পিছনে জেলা সভাপতির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলীয় কর্মীরা। বিবাগী নেতা কৃষ্ণ দাসকে খুশি করতেই তাঁর ঘনিষ্ঠ বিধান রায়কে ব্লক সভাপতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ।
গতকাল জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কিষান কল্যানী রাজগঞ্জ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বদল করেন। আর তাতেই বিতর্ক দাঁনা বেঁধেছে। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে রাজগঞ্জের তিনবারের বিধায়ক খগেশ্বর রায়কে ৷ এরপরেই রাজগঞ্জের প্রার্থী না হতে পেরে জলপাইগুড়ি তৃণমূল এসটি, এসসি শাখার দায়িত্বে থাকা কৃষ্ণ দাস বিদ্রোহ শুরু করেন। তাঁর অনুগামীরা পথ অবরোধও করে ৷ নির্দল হয়ে ভোটে লড়াই করার হুশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি । বিষয়টি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে কলকাতায় ডেকে নিয়ে আলোচনা করেন । বৈঠক থেকে ফিরেই সাংবাদিক সম্মেলন করে কৃষ্ণ দাস জানান তিনি ভোটে লড়াই করছেন না । জেলা জুড়ে দলের হয়ে প্রচার করবেন । এবার তাঁর মান ভাঙাতে কৃষ্ণ দাসের অনুগামীকে গুরুত্ব দিল জেলা তৃণমূল । জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পেলেন কৃষ্ণের অনুগামী বিধান রায়।
বিধায়ক ঘনিষ্ঠ ব্লক সভাপতি লক্ষ্যমোহন রায়কে এতদিন রাজগঞ্জের ব্লক সভাপতি ছিলেন ৷ এদিন রাজগঞ্জের প্রার্থী তথা 2011 সাল থেকে জয়ী হয়ে আসা বিধায়ক খগেশ্বর রায় জানান, ‘‘জেলা সভাপতি ভোটের আগে ব্লক সভাপতি না বদলালেও পারতেন । তবে আমার কোন সমস্যা নেই । সবাইকে নিয়েই কাজ করব । আমাদের প্রধান শত্রু বিজেপি । ব্লক সভাপতি বদলে আমার কোনও সমস্যা হবে না । ইতিমধ্যেই আমরা ভোট পরচালনা করার জন্য 21 জনের একটি নির্বাচনী কমিটি গঠন করেছি ।’’
আরও পড়ুন : নতুন কার্যালয় উদ্বোধনকে ঘিরে পুরুলিয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
এদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যানী জানান, ‘‘কৃষ্ণ দাসের সাথে কলকাতায় একটা ফয়সলা হয়েছিল । রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মতোই আমি রাজগঞ্জের ব্লক সভাপতি বদল করেছি । কৃষ্ণ দাসের সাথে লোক রয়েছে । আমাদের লক্ষ্য রাজগঞ্জের আসন জেতা । তবে, প্রার্থী কাকে নিয়ে কীসের কমিটি করেছে, আমি সেটা জানি না।’’