জলপাইগুড়ি, 17 এপ্রিল: জলপাইগুড়িতে হিমঘরের ছাদ ধসে পড়ার ঘটনায় হিমঘর কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন স্থানীয়রা ৷ রক্ষণাবেক্ষনে কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই ছাদ বসে গিয়ে দেওয়াল ধসে পড়েছে ৷ আর সেই কারণেই অ্যামোনিয়া গ্যাস বের হতে থাকে। সেই গ্যাস লিকিজের কারণেই স্থানীয় 9 জন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। রবিবার ময়নাগুড়ি থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জল্পেশ হিমঘর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোল্ড স্টোরেজের একাংশে ফাটল দেখে অবগত করা সত্ত্বেও তারা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা রত্ন অধিকারী, বিবেকানন্দ রায়, রাজকুমার বিশ্বাসরা ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ করে জানিয়েছেন, গত 13 তারিখে হিমঘর ভেঙে পড়ে অ্যামোনিয়া গ্যাস প্ল্যান্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। নিজেদের বাঁচার তাগিদে গ্রাম ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন গ্রামবাসীরা। কিন্তু তাতেও রক্ষা পাননি এলাকার ন'জন বাসিন্দা ৷ তাঁদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভরতি করা হয় ৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হয় বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হিমঘরে প্রায় আড়াই লাখ আলুর বস্তা মজুত রাখা ছিল।
আরও পড়ুন: উত্তর দিনাজপুরে আলু মজুতের পর্যাপ্ত হিমঘর না থাকায় চরম সমস্যায় চাষিরা
গ্রামবাসীরা ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে আরও জানিয়েছেন, হিমঘর কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে ও রক্ষণাবেক্ষনের অভাবের কারণেই আজ হিমঘরের পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজন আজ বিপদের মুখে পড়ছেন। তাই তাঁরা হিমঘর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে হিমঘর কর্তৃপক্ষের তরফে স্বপন সূত্রধর বলেন, "কীভাবে ঘটনাটি ঘটল আমরা নিজেরাই বুঝতে পারলাম না।" ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস এবিষয়ে বলেন, "জল্পেশ হিমঘরের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁদের দাবি হিমঘর কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভাবেই এই ছাদ ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আর যার জেরেই অ্যামোনিয়া গ্যাস বের হয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।"