জলপাইগুড়ি, 13 মার্চ: চাকরিহারা স্কুলকর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ময়নাগুড়িতে (Unnatural Death of Unemployed School Worker)। মৃত ব্যক্তির নাম দিলীপ বিশ্বাস (46)। চাকরিহারা মৃত ব্যক্তির বাড়ি ময়নাগুড়ি দোমহনী মোড় এলাকায়। জানা গিয়েছে 2019 সালে তিনি গ্রুপ-ডি (Group-D) পদে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি।
তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 15 বছর ধরে শিলিগুড়িতেই থাকতেন দিলীপ বিশ্বাস। শিলিগুড়ির গেট বাজার এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। গতকাল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ দিলীপ বিশ্বাসের পরিবারকে ফোন করে জানায় দিলীপকে মৃত অবস্থায় বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। আজ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দিলীপ বিশ্বাসের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
দিলীপ বিশ্বাসের দাদা সঞ্জীব বিশ্বাস জানান, 15-20 বছর ধরে ভাই শিলিগুড়িতেই থাকত। পাশাপাশি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করত।কীভাবে মারা গেল বুঝতে পারছি না। গতকাল পুলিশ আমাদের খবর দেয় দিলীপ আর নেই। আমরা যাই হাসপাতালে ৷ সেখানের ডাক্তার দিলীপকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কীভাবে মারা গেল বুঝতে পারছি না। 2019 সালে কোচবিহার জেলার একটি আপার প্রাইমারি স্কুলে গ্রুপ-ডি'র চাকরি পেয়েছিল। এই বছরে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয় দিলীপের।
আরও পড়ুন: স্বামীর চাকরি বাতিলের পর সংসারে অশান্তি, আত্মঘাতী স্ত্রী
তাঁর কথায়, শিলিগুড়ির বাড়ি থেকেই স্কুলে যাতায়াত করতেন। আত্মহত্যা, নাকি খুন করা হয়েছে দীলিপকে, তা কেউই বুঝতে পারছেন না ৷ দিলীপরা পাঁচ ভাই ও এক দিদি। আজ দিলীপের মৃতদেহ দোমহনী মরিচবাড়ি এলাকায় পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমে আসে। দিলীপের বন্ধু সহদেব কবিরাজ বলেন, "একসঙ্গেই আমরা পড়াশোনা করতাম। দীর্ঘদিন থেকেই শিলিগুড়িতে থাকত ৷ কোনও অনুষ্ঠান হলে আসত। কিন্তু কীভাবে মারা গেল তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ গ্রুপ ডি'র চাকরি তাঁর বাতিল হয়েছে ঠিকই কিন্তু এর পাশাপাশি তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন।"