জলপাইগুড়ি, 21 ফেব্রুয়ারি: জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে দুই দামাল হাতির তাণ্ডব ৷ গত দু’দিন ধরে হাতি দু’টি প্রথমে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি পৌরসভা এলাকা এবং পরে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লক এলাকায় হামলা চালায় ৷ একাধিক চাষের ক্ষেত নষ্ট করেছে হাতি দু’টি ৷ বন দফতরের কর্মীরা তাদের জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন ৷ এই মুহূর্তে হাতি দু’টি ময়নাগুড়ি এলাকায় আখের ক্ষেতে ঘুরে বেড়াচ্ছে (Two Furious Elephants Attack in Jalpaiguri) ৷
সোমবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি পৌরসভা এলাকায় প্রথম হাতি দু’টিকে দেখা যায় ৷ জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে 2টি হাতি সোজা পৌরসভা এলাকায় ঢুকে পড়ে ৷ সেখান থেকে বনকর্মীরা তাদের জঙ্গলে ফেরানো চেষ্টা করলেও হাতি দু’টি রাতে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের উছলপুকরি এলাকায় ঢুকে পড়ে ৷ সেখান থেকে তাদের তাড়া করলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জামালদা এলাকায় চলে যায় ৷ ফলে ঝুঁকি নিয়ে হাতি দু’টিকে ফের লোকালয়ের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় ৷ তা না-হলে, কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে হাতি দু’টি বাংলাদেশে ঢুকে যেতে পারত ৷
সেখান থেকে ফের জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের পুঁটিমারি এলাকায় ঢুকে পড়ে দামাল হাতি দু’টি ৷ রাতে 31 নং জাতীয় সড়ক পেরিয়ে দোমহনী এলাকায় ঢোকে ৷ সেখানে একটি আলু ক্ষেতে তাণ্ডব চালিয়ে আঁখের ক্ষেতে আশ্রয় নিয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি বন দফতর ও গরুমারা বন্যপ্রাণ দফতরের কর্মীরা হাতি দু’টিকে জঙ্গলে ফেরাতে কাজ করছে ৷ বর্তমানে যেখানে হাতি দু’টি রয়েছে ৷ তার খুব কাছেই ময়নাগুড়ি শহর ৷ ফলে এখনই হাতি দু’টিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করছে না ৷
আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে লোকালয়ে গজরাজ, বৈকুণ্ঠপুরে জঙ্গলে হাতির পালের উপর নজর
বন দফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যে নামার আগে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না ৷ কারণ, ময়নাগুড়ির দোমহনী গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার একদিকে শহর ৷ অন্যদিকে, রেললাইন ও তিস্তা নদী রয়েছে ৷ ফলে এই মুহূর্তে তাদের তাড়া করলে কোনও একদিকে হাতি দু’টি চলে গেলে বড় বিপদ হতে পারে ৷ সেই কারণে এখনই কোনও পদক্ষেপ বন দফতরের কর্মীরা নিচ্ছেন না ৷ এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানি না-হলেও, প্রচুর ক্ষেত ও বাড়িঘর নষ্ট করেছে হাতি দু’টি ৷