জলপাইগুড়ি, 26 নভেম্বর : ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ডাকা বনধে ছোট চা বাগানে তেমন প্রভাব না পরলেও বড় চা বাগানগুলোতে প্রভাব পড়ল। খোদ তৃণমূল জেলা সভাপতির চা বাগানেই কাজ করল না শ্রমিকরা। বনধ হলে শ্রমিকরা ছুটি কাটায় বলে দাবি জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষাণ কল্যানীর। বনধের বিরোধিতায় মিছিল করার কথা থাকলেও রাস্তায় নামল না তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি তৃণমূল পার্টি অফিসের নিচের দোকান গুলোর আজ বন্ধ ছিল।
তৃণমূল প্রভাবিত তরাই ডুয়ার্স প্ল্যান্টেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক জানান ছোট চা বাগানে তেমন কোন প্রভাব পরেনি । চা শ্রমিকরা কাজ করেছেন । জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন চা বাগানের বনধের মিশ্র প্রভাব পড়লেও তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কিষাণ কল্যানীর চা বাগানে কোনও শ্রমিকই কাজ করলেন না। যদিই কিষাণ কল্যানীর দাবি অন্যান্য বনধগুলোতে তার চা বাগানের শ্রমিকরা কাজ করেন না। শ্রমিকরা বনধ হলেও ছুটি কাটান। এছাড়া জয়পুর সহ অন্যান্য ৫টি চা বাগানে কাজ হয়নি বলে জানান কিষাণ কল্যানী। তিনি বলেন অন্যান্য বাগানে কাজ হয়েছে ।
এদিন জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বনধের বিরোধিতায় মিছিল করার কথা থাকলেও তৃণমূল কংগ্রেস রাস্তায় নামেনি। শুধুমাত্র জেলা সভাপতি কয়েকজনকে নিয়ে বনধ কেমন হয়েছে তা দেখতে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। যদিও জেলা সভাপতি জানান রাস্তায় হাটলাম মাত্র। আজ বনধের বিরোধিতায় কোন মিছিল ছিল না। কিন্তু জেলা তৃণমূলের মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়েছিল বনধের বিরোধিতায় তৃণমূল কংগ্রেস মিছিল করবে। কিন্তু মিছিলের জন্য জেলা পার্টি অফিসে লোকজনই আসেনি। এরপর সভাপতি নিজেই কয়েকজনকে নিয়ে রাস্তায় হাটতে চলে যান।কিষাণ কল্যানী বলেন, বনধ সমর্থকদের দাবির সঙ্গে আমরা সহমত । কিন্তু আমরা এই বনধের বিরোধিতা করছি। কর্মনাশা বনধের বিরোধিতা আমরা সব সময় করি।