ETV Bharat / state

Crackers Shops Closed: মালদার অগ্নিকাণ্ডের রেশ, বাজির দোকান বন্ধ করল জলপাইগুড়ির ব্যবসায়ীরা - বাজির গুদামে অগ্নিকাণ্ড

মালদায় বাজির গুদামে আগুন লাগার খবর চাউর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জলপাইগুড়ির বাজি ব্যবসায়ী বন্ধ করে দিল তাঁদের দোকান । প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ব্যবসা ৷ তবে কেনও দোকান বন্ধ করা হল তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ৷

Crackers Shops Closed in Jalpaiguri
বাজির দোকান বন্ধ জলপাইগুড়িতে
author img

By

Published : May 23, 2023, 2:25 PM IST

জলপাইগুড়ি, 23 মে: মালদায় বাজির গুদামে অগ্নিকাণ্ডের পরেই নড়েচড়ে বসল জলপাইগুড়ির বাজি ব্যবসায়ীরা । তড়িঘড়ি দোকান বন্ধ করে দিতে দেখা গেল তাঁদের । জলপাইগুড়ি জেলা শহরে বেশ কয়েকজন বাজি ব্যবসায়ী রয়েছেন । তাঁরা প্রশাসনিক তৎপরতার আতঙ্কে দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানান । প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেই দোকান খোলার পক্ষে ব্যবসায়ীরা ।

জলপাইগুড়ি শহরের মূলত দিনবাজারেই এলাকাতেই একাধিক বাজির দোকান রয়েছে । দমকল বিভাগ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র নিয়ে তবেই প্রথমে কয়েকটি দোকানে বাজি রাখা হয়েছিল ৷ কিন্তু বর্তমানে পাড়ায় পাড়ায় বিভিন্ন দোকানে বাজি রাখার প্রচলন শুরু হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ । জলপাইগুড়িতে বিশেষ করে মহালয়ার দিন ভোরে বাজি ফাটানোর একটা রীতি চালু রয়েছে । পাশাপাশি বাড়ির পুজো, দুর্গাপুজো, কালীপুজো, বিয়েবাড়ি-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাজি ফাটানোর এখন রেওয়াজ শুরু হয়েছে ।

অভিযোগ, এই সময়ে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো হয় । এমনকী অসাধু কিছু ব্যবসায়ী ওই নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি করেন । পুলিশের তরফে অভিযানও চালানো হয় নিষিদ্ধ শব্দবাজির বিরুদ্ধে । এগরা ও বজবজ এলাকায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে । বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনাগুলিতে । মঙ্গলবার মালদার নেতাজি পৌরবাজারে বাবু সাহার বাজির গুদামে আগুন লাগে । তাতে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে । সেই ঘটনার পরেই আজ সকালে জলপাইগুড়ির বাজি ব্যবসায়ীরা তাঁদের সব দোকান বন্ধ করে দেন ।

জলপাইগুড়ির বাজি ব্যবসায়ী আনন্দ কানোডিয়া বলেন, "মালদার বাজির গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে । তাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে । আমরা অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সিদ্ধান্ত নিয়েছি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ব্যবসা করব । কারণ আমরা কোনওভাবেই প্রশাসনের হয়রানির শিকার হতে চাই না । আমরা আইন মেনেই ব্যবসা করি ৷ ফলে আমরা জলপাইগুড়ির কয়েকটি দোকানদার আছি যারা অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করেই দোকান খুলব ৷ তার আগে নয় । আমাদের পুজোর সময় ও বিয়ের মরসুমেই বাজির ব্যবসা ভালো হয়ে থাকে । আর বাকি সময়টাতে আমাদের ব্যবসা নেই বললেই চলে । আমরা সরকারি নির্দেশ অনুসারে দোকানে 50 কেজি বাজি রাখার অনুমতি পাই । কিন্তু আমরা বাইরে কোনও জায়গায় বাজি মজুত রাখি না । যখন বাজির প্রয়োজন পড়ে তখন আমরা বাজি এনে বিক্রি করি । ফলে আমরা কোনও গুদামে মজুত করি না ।"

আরও পড়ুন: বজবজের পর মালদা, বাজি গুদামে ভয়াবহ আগুনে মৃত বেড়ে 2

জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার বলেন, "আমরা অবৈধভাবে মজুত রাখার বাজির গুদামের সন্ধান এখনও পাইনি । পেলেই অভিযান চালাব ।" তবে রাজ্যে একের পর এক বাজি কারখানায় অগ্নিকাণ্ড থেকে বিস্ফোরণের পর জলপাইগুড়ির ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে ৷

জলপাইগুড়ি, 23 মে: মালদায় বাজির গুদামে অগ্নিকাণ্ডের পরেই নড়েচড়ে বসল জলপাইগুড়ির বাজি ব্যবসায়ীরা । তড়িঘড়ি দোকান বন্ধ করে দিতে দেখা গেল তাঁদের । জলপাইগুড়ি জেলা শহরে বেশ কয়েকজন বাজি ব্যবসায়ী রয়েছেন । তাঁরা প্রশাসনিক তৎপরতার আতঙ্কে দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানান । প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেই দোকান খোলার পক্ষে ব্যবসায়ীরা ।

জলপাইগুড়ি শহরের মূলত দিনবাজারেই এলাকাতেই একাধিক বাজির দোকান রয়েছে । দমকল বিভাগ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র নিয়ে তবেই প্রথমে কয়েকটি দোকানে বাজি রাখা হয়েছিল ৷ কিন্তু বর্তমানে পাড়ায় পাড়ায় বিভিন্ন দোকানে বাজি রাখার প্রচলন শুরু হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ । জলপাইগুড়িতে বিশেষ করে মহালয়ার দিন ভোরে বাজি ফাটানোর একটা রীতি চালু রয়েছে । পাশাপাশি বাড়ির পুজো, দুর্গাপুজো, কালীপুজো, বিয়েবাড়ি-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাজি ফাটানোর এখন রেওয়াজ শুরু হয়েছে ।

অভিযোগ, এই সময়ে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো হয় । এমনকী অসাধু কিছু ব্যবসায়ী ওই নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি করেন । পুলিশের তরফে অভিযানও চালানো হয় নিষিদ্ধ শব্দবাজির বিরুদ্ধে । এগরা ও বজবজ এলাকায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে । বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনাগুলিতে । মঙ্গলবার মালদার নেতাজি পৌরবাজারে বাবু সাহার বাজির গুদামে আগুন লাগে । তাতে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে । সেই ঘটনার পরেই আজ সকালে জলপাইগুড়ির বাজি ব্যবসায়ীরা তাঁদের সব দোকান বন্ধ করে দেন ।

জলপাইগুড়ির বাজি ব্যবসায়ী আনন্দ কানোডিয়া বলেন, "মালদার বাজির গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে । তাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে । আমরা অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সিদ্ধান্ত নিয়েছি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ব্যবসা করব । কারণ আমরা কোনওভাবেই প্রশাসনের হয়রানির শিকার হতে চাই না । আমরা আইন মেনেই ব্যবসা করি ৷ ফলে আমরা জলপাইগুড়ির কয়েকটি দোকানদার আছি যারা অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করেই দোকান খুলব ৷ তার আগে নয় । আমাদের পুজোর সময় ও বিয়ের মরসুমেই বাজির ব্যবসা ভালো হয়ে থাকে । আর বাকি সময়টাতে আমাদের ব্যবসা নেই বললেই চলে । আমরা সরকারি নির্দেশ অনুসারে দোকানে 50 কেজি বাজি রাখার অনুমতি পাই । কিন্তু আমরা বাইরে কোনও জায়গায় বাজি মজুত রাখি না । যখন বাজির প্রয়োজন পড়ে তখন আমরা বাজি এনে বিক্রি করি । ফলে আমরা কোনও গুদামে মজুত করি না ।"

আরও পড়ুন: বজবজের পর মালদা, বাজি গুদামে ভয়াবহ আগুনে মৃত বেড়ে 2

জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার বলেন, "আমরা অবৈধভাবে মজুত রাখার বাজির গুদামের সন্ধান এখনও পাইনি । পেলেই অভিযান চালাব ।" তবে রাজ্যে একের পর এক বাজি কারখানায় অগ্নিকাণ্ড থেকে বিস্ফোরণের পর জলপাইগুড়ির ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.