ETV Bharat / state

BJP-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ধুপগুড়ি স্টেশন চত্বর, জখম 12

তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC ও BJP-র মজদুর ট্রেড ইউনিয়নের মধ্যে এলাকা দখল ঘিরে চাপা উত্তেজনা চলছিল । আজ তা চরম আকার নেয় । দুপুর একটা নাগাদ হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা । দু'পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ । রেল লাইনের পাথর নিয়ে একে অপরকে লক্ষ্য করে ছুড়তে শুরু করে । পাথরের আঘাতে জখম হয় দু'পক্ষের আটজন ।

আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িতে
author img

By

Published : Jul 4, 2019, 4:39 PM IST

Updated : Jul 4, 2019, 4:49 PM IST

ধুপগুড়ি, 4 জুলাই : মালগাড়ির সামগ্রী লোডিং-আনলোডিং নিয়ে BJP-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ধুপগুড়ি স্টেশন চত্বর । দফায় দফায় দু'পক্ষের সংঘর্ষ হয় । যার জেরে জখম 12 জন । এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে । স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুই দলের শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে । পুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি বাড়ি । পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে RAF ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC ও BJP-র মজদুর ট্রেড ইউনিয়নের মধ্যে এলাকা দখল ঘিরে কয়েকদিন থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল । আজ তা চরম আকার নেয় । দুপুর একটা নাগাদ হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা । দু'পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ । রেল লাইনের পাথর নিয়ে একে অপরকে লক্ষ্য করে ছুড়তে শুরু করে । পাথরের আঘাতে জখম হয় দু'পক্ষের আটজন ।

jalpaiguri
পুড়েছে ঘর, পথে আশ্রয়

তৃণমূলের অভিযোগ, এরইমধ্যে দলীয় কর্মী মজিবর রহমানের বাড়িতে হামলা চালায় BJP-র লোকজন । বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ । খবর দেওয়া হয় দমকলেও । তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে । ওই এলাকায় আবারও BJP হামলা চালায় বলে অভিযোগ । পুলিশ সূত্রে খবর গুরুতর জখমদের নাম সাহাবুল আলম, আজিজুল হক, আমিরুল হক, জাইমুল হোসেন ও রবিউল আলম ।

jalpaiguri
এলাকায় উত্তেজনা

কেন অশান্তি ? স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন এর নেপথ্যে রয়েছে এলাকা দখলের রাজনীতি । CITU-র তত্ত্বাবধানে ওই স্টেশনে 70 জন শ্রমিক কাজ করত । যখন আলুর রেক লোডিং হত তখন ওই 70 জন শ্রমিক বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও 70 জন শ্রমিক নিয়ে আসত । অস্থায়ী ওই শ্রমিকরা কাজ করলেও তাদের পাওনা মেটানো হত না বলে অভিযোগ । INTTUC না কি ওই স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিকদের ইউনিয়ন দখল করে ও সমবেতনের ব্যবস্থা করে দেয় । সেই থেকে INTTUC-ই এলাকায় নিজেদের আধিপত্য কায়েম রেখেছে । কিন্তু, লোকসভা ভোটের পর BJP-র ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে । ফলে এখন BJP-র মজদুর ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে । তার জেরেই অশান্তি ।

রণক্ষেত্র ধুপগুড়ি

তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকা দখলের জন্য BJP-র শ্রমিকদের একাংশ অন্যায়ভাবে INTTUC-র কর্মীদের উপর হামলা চালায় । যদিও BJP প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের তরফে তা অস্বীকার করা হয়েছে । ধুপগুড়ি থানার তরফে জানানো হয়েছে, এলাকা আপাতত শান্ত । নতুন করে যাতে অশান্তি না ছড়ায় সেজন্য প্রচুর পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।

ধুপগুড়ি, 4 জুলাই : মালগাড়ির সামগ্রী লোডিং-আনলোডিং নিয়ে BJP-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ধুপগুড়ি স্টেশন চত্বর । দফায় দফায় দু'পক্ষের সংঘর্ষ হয় । যার জেরে জখম 12 জন । এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে । স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুই দলের শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে । পুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি বাড়ি । পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে RAF ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC ও BJP-র মজদুর ট্রেড ইউনিয়নের মধ্যে এলাকা দখল ঘিরে কয়েকদিন থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল । আজ তা চরম আকার নেয় । দুপুর একটা নাগাদ হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা । দু'পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ । রেল লাইনের পাথর নিয়ে একে অপরকে লক্ষ্য করে ছুড়তে শুরু করে । পাথরের আঘাতে জখম হয় দু'পক্ষের আটজন ।

jalpaiguri
পুড়েছে ঘর, পথে আশ্রয়

তৃণমূলের অভিযোগ, এরইমধ্যে দলীয় কর্মী মজিবর রহমানের বাড়িতে হামলা চালায় BJP-র লোকজন । বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ । খবর দেওয়া হয় দমকলেও । তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে । ওই এলাকায় আবারও BJP হামলা চালায় বলে অভিযোগ । পুলিশ সূত্রে খবর গুরুতর জখমদের নাম সাহাবুল আলম, আজিজুল হক, আমিরুল হক, জাইমুল হোসেন ও রবিউল আলম ।

jalpaiguri
এলাকায় উত্তেজনা

কেন অশান্তি ? স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন এর নেপথ্যে রয়েছে এলাকা দখলের রাজনীতি । CITU-র তত্ত্বাবধানে ওই স্টেশনে 70 জন শ্রমিক কাজ করত । যখন আলুর রেক লোডিং হত তখন ওই 70 জন শ্রমিক বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও 70 জন শ্রমিক নিয়ে আসত । অস্থায়ী ওই শ্রমিকরা কাজ করলেও তাদের পাওনা মেটানো হত না বলে অভিযোগ । INTTUC না কি ওই স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিকদের ইউনিয়ন দখল করে ও সমবেতনের ব্যবস্থা করে দেয় । সেই থেকে INTTUC-ই এলাকায় নিজেদের আধিপত্য কায়েম রেখেছে । কিন্তু, লোকসভা ভোটের পর BJP-র ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে । ফলে এখন BJP-র মজদুর ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে । তার জেরেই অশান্তি ।

রণক্ষেত্র ধুপগুড়ি

তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকা দখলের জন্য BJP-র শ্রমিকদের একাংশ অন্যায়ভাবে INTTUC-র কর্মীদের উপর হামলা চালায় । যদিও BJP প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের তরফে তা অস্বীকার করা হয়েছে । ধুপগুড়ি থানার তরফে জানানো হয়েছে, এলাকা আপাতত শান্ত । নতুন করে যাতে অশান্তি না ছড়ায় সেজন্য প্রচুর পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।

Intro:Body:রেলের রেক লোডিং আনলোডিং নিয়ে বিজেপি তৃনমুল সংঘর্ষ।রনক্ষেত্রের চেহারা ধুপগুড়ি রেলওয়ে স্টেশন। আহত ১২,৫ জনকে জলপাইগুড়ি স্থানান্তরের নির্দেশ। তৃণমূল কর্মী বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ।ঘটনাস্থলে ধুপগুড়ি দমকল বাহিনী।পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‍্যাফ সহ রাজ্য পুলিশের বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা,আর পি এফ এবং জি আর পি।
আইএনটিটিইউসি ও বিজেপির মজদুর ট্রেড ইউনিয়নের মধ্যে বিবাদ শুরু হয় বৃহস্পতিবার সকালে। দুপুর পর্যন্ত উত্তেজনা থাকলেও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।বেলা ১ টা নাগাদ হঠাৎই উত্তপ্ত হয় এলাকা। দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় রেল লাইনের পাথর ছোড়াছুড়ি।পাথরের আঘাতে আহত হয় দুই পক্ষের মোট আটজন।এরপর এলাকার এক তৃণমূল কর্মী মজিবর রহমানের বাড়িতে হামলা চালায় বিজেপি বলে অভিযোগ।তার বাড়ি ভেঙ্গে দিয়ে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় পুলিশ।খবর দেওয়া হয় দমকলে। তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।আগুনে মজিবর রহমানের বাড়ির পাশেই থাকা অপর বাসিন্দা মনোজ রায়ের বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।সেখানে বাড়িতে থাকা লোকজনের উপর হামলা চালায় বিজেপি বলে অভিযোগ।ঘটনায় আহত হয় আরো চারজন।আহতদের উদ্ধার করে ধুপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ১২ জনের মধ্যে পাঁচজনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। গুরুতর আহতদের নাম সাহাবুল আলম,আজিজিল হক,আমিরুল হক,জাইমুল হোসেন, রবিউল আলম।
বিজেপি শ্রমিকদের দাবী, গত ৮ বছর আগে যেভাবে সিটুর থেকে আইএনটিটিইউসি ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল সেই একই কায়দায় বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর আমরাও ময়দানে নেমেছি। তাই এখন সম্পূর্ন কাজের দায়িত্ব বিজেপির মজদুর ট্রেড ইউনিয়ন নিতে প্রস্তুত।সেই দাবীতেই আন্দোলন।
তৃনমূল সূত্রে জানা গেছে, সিটুর তত্ত্বাবধানে স্থায়ী ৭০ জন শ্রমিক কাজ করত। যখন আলুর রেক লোডিং হতো তখন ওই স্থায়ী ৭০ জন শ্রমিক বিভিন্ন জায়গা থেকে আরো ৭০ জন শ্রমিক নিয়ে আসতো। অস্থায়ী ওই শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করিয়ে ন্যায্যা পাওনা দিতো না বলে অভিযোগ। আইএনটিটিইউসি ওই স্থায়ী ও অস্থায়ীদের নিয়ে ইউনিয়ন দখল করে এবং সমবেতনের ব্যবস্থা করে দেয়। বর্তমানে ধূপগুড়ি স্টেশন তথা রেক লোডিং পয়েন্টে শুধু আলু নয়, সিমেন্ট সহ একাধিক সামগ্রী আমদানি ও রপ্তানি হয়। স্বভাবতই ওই শ্রমিক ইউনিয়ন হাতছাড়া না করা বা দখল করা সব রাজনৈতিক দলের কাছেই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ন।

Conclusion:
Last Updated : Jul 4, 2019, 4:49 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.