জলপাইগুড়ি, 21 মার্চ : কোরোনায় আতঙ্কিত রাজ্যবাসী ৷ সেই আতঙ্ককে পিছু ছাড়াতে চেষ্টার খামতি রাখছে না সাধারণ মানুষ ৷ জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার অফিসে শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য ভিড় করছে সাধারণ মানুষ ৷ পুলিশ সুপার অফিসের মতো জেলার সব জায়গায় থার্মাল স্ক্রিনিং টেস্ট মেশিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার অভিষেক মোদি ।
জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপারের অফিসের গেটে দু'জন পুলিশকর্মী হাতে হ্যান্ড গ্লাভস, মুখে মাস্ক লাগিয়ে থার্মাল স্ক্রিনিং টেস্ট মেশিন দিয়ে সবার তাপমাত্রা মাপছেন । শরীরের তাপমাত্রা মেপে ও স্যানিটাইজ়ার হাতে দিয়ে ঢুকতে হচ্ছে পুলিশ সুপারের অফিসে ।
জলপাইগুড়ি রেজিস্ট্রি অফিসে এসে বিকাশ চন্দ্র রায় নামে একজন বলেন, "পুলিশ ভালো উদ্যোগ নিয়েছে । আমরা তাপমাত্রা মাপলাম ।" জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ অফিসে সারাদিন প্রচুর মানুষ আসেন। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষ-সহ পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীদের লেগে থাকে আনাগোনা । পুলিশ সুপারের অফিসের সামনেই সদর মহকুমা শাসকের অফিস, রেজিস্ট্র অফিস । সেখানে বিভিন্ন কাজে আসেন অসংখ্য মানুষ ৷ যার জেরে শুধু পুলিশকর্মীরা না সুবিধা নিচ্ছেন সাধারণ মানুষও । জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক মোদি জানান আমরা আগাম সতর্কতা নিচ্ছি । জেলার সব থানায় থার্মাল স্ক্রিনিং টেস্ট মেশিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । এখন একটি মেশিন পাওয়া গেছে তাই জেলা পুলিশ অফিসে এই মেশিন রাখা হয়েছে । সেই সঙ্গে স্যানিটাইজার ও থার্মাল স্ক্রিনিং টেস্ট মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার ।