ETV Bharat / state

হচ্ছে মাছ-সবজি চাষ, সরকারি বাংলো রক্ষায় অভিনব পন্থা জলপাইগুড়ির DIG-র - The DIG is executing government projects to maintain government bungalow in Jalpaiguri

12 বিঘা জমির উপর সরকারি বাংলো । আর তার রক্ষণাবেক্ষণের খরচও কম নয় । এমন পরিস্থিতিতে মাঝে মধ্যেই সমস্যায় পড়তে হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিককে । তাই , বাংলোর 12 বিঘা জমিকেই ব্যবহার করে বাংলো রক্ষণাবেক্ষণের খরচ তুলতে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পকে কাজে লাগাচ্ছেন DIG ৷ মৎস্য দপ্তরের মাছ চাষের প্রকল্প করা হচ্ছে ।

The DIG is executing government projects to maintain government bungalow in Jalpaiguri
সরকারি বাংলো রক্ষার্থে সরকারি প্রকল্প কাজে লাগাচ্ছেন জলপাইগুড়ির DIG
author img

By

Published : Aug 31, 2020, 11:06 PM IST

জলপাইগুড়ি, 31 অগাস্ট : 12 বিঘা জমির উপর সরকারি বাংলো । আর তার রক্ষণাবেক্ষণের খরচও কম নয় । এমন পরিস্থিতিতে মাঝে মধ্যেই সমস্যায় পড়তে হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিককে । কিন্তু এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়েও সমস্যার মুশকিল আসান করতে উদ্যোগ নিয়েছেন জলপাইগুড়ি রেঞ্জের DIG কল্যাণ মুখোপাধ্যায় ।

বাংলোর 12 বিঘা জমিকেই ব্যবহার করে বাংলো রক্ষণাবেক্ষণের খরচ তুলতে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পকে কাজে লাগাচ্ছেন DIG ৷ মৎস্য দপ্তরের মাছ চাষের প্রকল্প করা হচ্ছে । তাতে 1,200 মাছ ছাড়া হচ্ছে । সেই মাছ বিক্রির যোগ্য হলে সেগুলো বিক্রি করে দিয়ে আবার মাছ ছাড়া হবে । এমনকি পুকুরেও মাছ ছাড়া হবে ৷ যাতে মাছ বিক্রি করে একটা অর্থ উঠে আসে । DIG বাংলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে 1 লাখ 20 হাজার থেকে 1 লাখ 30 হাজার টাকা খরচ হয় ।

সরকারি বাংলো রক্ষার্থে সরকারি প্রকল্প কাজে লাগাচ্ছেন জলপাইগুড়ির DIG

পুলিশের জলপাইগুড়ি রেঞ্জের DIG কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের সরকারি বাংলোর আয়তন 12 বিঘা । তার সাফ সাফাই থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অনেক লোক লাগে ৷ খরচও হয় প্রচুর । জলপাইগুড়ি ক্লাব রোডে অবস্থিত DIG বাংলোটিতে পুকুরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা খালি পড়ে রয়েছে । এবার DIG সেখানেই কালো নুনিয়া চালের চাষ করেছেন । এছাড়াও বেশ কয়েকটি হাঁস পুষছেন । এছাড়াও রয়েছে কয়েকটি প্রজাতির দেশি মুরগিও । সম্প্রতি, তুফানগঞ্জ থেকে একটি বিদেশি প্রজাতির গোরু নিয়ে এসেছেন তিনি । গোরুটি দিনে 20-30 লিটাত দুধ দেবে । পাখা ছাড়া গোরু থাকতে পারে না ৷ তাই পাখাও লাগানো হয়েছে । সিমেন্টের মেঝেতে রবারের ম্যাট পাতা হয়েছে । সর্বক্ষণ একজন রয়েছেন গোরু দেখভালের জন্য । এই গোরুর দুধ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন হবে । পাশাপাশি, প্রতি বছর লক্ষাধিক টাকার মাছ বিক্রি করেও অর্থ উপার্জন হবে । তা দিয়েই বাংলোর রক্ষণাবেক্ষণের খরচ উঠে যাবে ৷ জানান DIG কল্যাণ মুখোপাধ্যায় ৷ শুধু তাই নয়, মাছ চাষের দু'টো চৌবাচ্চায় শিঙি, মাগুর চাষ করা হবে । চৌবাচ্চার ধার দিয়ে গর্ত করে সেখানে অন্যান্য মাছের চাষ করা হবে । পাশাপাশি, পালং শাকের চাষ করা হবে । মাছ চাষের মাধ্যমে বহুমুখী চাষের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে ।

জলপাইগুড়ি রেঞ্জের DIG কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, " যে কোনও সরকারি জায়গা অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হতে হয় । 12 বিঘা জমি ৷ তার উপর বাংলো । এই বাংলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিরাট খরচ । তাই মৎস্যদপ্তর এই বাংলো চত্বরেই প্রজেক্ট করছে ৷ হাঁস, মুরগি পরিপালন করা হচ্ছে । ধান চাষ করা হচ্ছে । বাংলোর গাছগুলির জন্য যে সারের প্রয়োজন তা ওখান থেকেই এসে যাচ্ছে । মাছ চাষের জন্য জল পুকুর থেকে আসছে ৷ বাংলোতে দু'বিঘা জমির উপর যে পুকুর রয়েছে তা সংস্কারও করা হচ্ছে । সেখানেও মাছ ছাড়া হচ্ছে । বাংলোর স্বনির্ভরতার লক্ষ্যেই এই কাজগুলি করা হচ্ছে । যাতে আগামীদিনে কারও কাছে কিছু চাইতে না হয়, কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে না হয় । স্বাধীনভাবেই এই বাংলোর রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় । আমি কাজ করতে গিয়ে লক্ষ্য করেছি, যে সরকারি প্রজেক্ট নিজেই নিজেই খরচ তুলতে না পারে । তাহলে সেই প্রজেক্ট বেশিদিন থাকতে পারে না । তা পরবর্তীতে অর্থনৈতিক বোঝা হয়ে যায় । এত বড় বাংলো যদি তার নিজের সংস্থান নিজেই করে নিতে পারে তার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । এখানে মৎস্যদপ্তর প্রথমবারের চাষ করে দিয়ে যাবেন । দেশি শিঙ্গি , ট্যাংরা, মাগুর মাছ চাষ করা হবে ৷ "

জলপাইগুড়ি, 31 অগাস্ট : 12 বিঘা জমির উপর সরকারি বাংলো । আর তার রক্ষণাবেক্ষণের খরচও কম নয় । এমন পরিস্থিতিতে মাঝে মধ্যেই সমস্যায় পড়তে হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিককে । কিন্তু এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়েও সমস্যার মুশকিল আসান করতে উদ্যোগ নিয়েছেন জলপাইগুড়ি রেঞ্জের DIG কল্যাণ মুখোপাধ্যায় ।

বাংলোর 12 বিঘা জমিকেই ব্যবহার করে বাংলো রক্ষণাবেক্ষণের খরচ তুলতে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পকে কাজে লাগাচ্ছেন DIG ৷ মৎস্য দপ্তরের মাছ চাষের প্রকল্প করা হচ্ছে । তাতে 1,200 মাছ ছাড়া হচ্ছে । সেই মাছ বিক্রির যোগ্য হলে সেগুলো বিক্রি করে দিয়ে আবার মাছ ছাড়া হবে । এমনকি পুকুরেও মাছ ছাড়া হবে ৷ যাতে মাছ বিক্রি করে একটা অর্থ উঠে আসে । DIG বাংলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে 1 লাখ 20 হাজার থেকে 1 লাখ 30 হাজার টাকা খরচ হয় ।

সরকারি বাংলো রক্ষার্থে সরকারি প্রকল্প কাজে লাগাচ্ছেন জলপাইগুড়ির DIG

পুলিশের জলপাইগুড়ি রেঞ্জের DIG কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের সরকারি বাংলোর আয়তন 12 বিঘা । তার সাফ সাফাই থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অনেক লোক লাগে ৷ খরচও হয় প্রচুর । জলপাইগুড়ি ক্লাব রোডে অবস্থিত DIG বাংলোটিতে পুকুরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা খালি পড়ে রয়েছে । এবার DIG সেখানেই কালো নুনিয়া চালের চাষ করেছেন । এছাড়াও বেশ কয়েকটি হাঁস পুষছেন । এছাড়াও রয়েছে কয়েকটি প্রজাতির দেশি মুরগিও । সম্প্রতি, তুফানগঞ্জ থেকে একটি বিদেশি প্রজাতির গোরু নিয়ে এসেছেন তিনি । গোরুটি দিনে 20-30 লিটাত দুধ দেবে । পাখা ছাড়া গোরু থাকতে পারে না ৷ তাই পাখাও লাগানো হয়েছে । সিমেন্টের মেঝেতে রবারের ম্যাট পাতা হয়েছে । সর্বক্ষণ একজন রয়েছেন গোরু দেখভালের জন্য । এই গোরুর দুধ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন হবে । পাশাপাশি, প্রতি বছর লক্ষাধিক টাকার মাছ বিক্রি করেও অর্থ উপার্জন হবে । তা দিয়েই বাংলোর রক্ষণাবেক্ষণের খরচ উঠে যাবে ৷ জানান DIG কল্যাণ মুখোপাধ্যায় ৷ শুধু তাই নয়, মাছ চাষের দু'টো চৌবাচ্চায় শিঙি, মাগুর চাষ করা হবে । চৌবাচ্চার ধার দিয়ে গর্ত করে সেখানে অন্যান্য মাছের চাষ করা হবে । পাশাপাশি, পালং শাকের চাষ করা হবে । মাছ চাষের মাধ্যমে বহুমুখী চাষের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে ।

জলপাইগুড়ি রেঞ্জের DIG কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, " যে কোনও সরকারি জায়গা অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হতে হয় । 12 বিঘা জমি ৷ তার উপর বাংলো । এই বাংলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিরাট খরচ । তাই মৎস্যদপ্তর এই বাংলো চত্বরেই প্রজেক্ট করছে ৷ হাঁস, মুরগি পরিপালন করা হচ্ছে । ধান চাষ করা হচ্ছে । বাংলোর গাছগুলির জন্য যে সারের প্রয়োজন তা ওখান থেকেই এসে যাচ্ছে । মাছ চাষের জন্য জল পুকুর থেকে আসছে ৷ বাংলোতে দু'বিঘা জমির উপর যে পুকুর রয়েছে তা সংস্কারও করা হচ্ছে । সেখানেও মাছ ছাড়া হচ্ছে । বাংলোর স্বনির্ভরতার লক্ষ্যেই এই কাজগুলি করা হচ্ছে । যাতে আগামীদিনে কারও কাছে কিছু চাইতে না হয়, কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে না হয় । স্বাধীনভাবেই এই বাংলোর রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় । আমি কাজ করতে গিয়ে লক্ষ্য করেছি, যে সরকারি প্রজেক্ট নিজেই নিজেই খরচ তুলতে না পারে । তাহলে সেই প্রজেক্ট বেশিদিন থাকতে পারে না । তা পরবর্তীতে অর্থনৈতিক বোঝা হয়ে যায় । এত বড় বাংলো যদি তার নিজের সংস্থান নিজেই করে নিতে পারে তার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । এখানে মৎস্যদপ্তর প্রথমবারের চাষ করে দিয়ে যাবেন । দেশি শিঙ্গি , ট্যাংরা, মাগুর মাছ চাষ করা হবে ৷ "

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.