ETV Bharat / state

ব্যর্থতা মেনে চিকিৎসকের কাছে মহিলাকে পাঠাতে বলল ওঝা

author img

By

Published : Sep 11, 2019, 4:32 AM IST

Updated : Sep 11, 2019, 4:37 AM IST

ভুতে ধরেছে, এই গুজবে ডাকা হয়েছিল ওঝা ৷ কিন্তু, বেশ কিছুক্ষণ নিজের মতো চেষ্টা করার পর ওঝা স্বীকার করলেন তার দ্বারা কাজ সম্ভব নয়৷ যা করার চিকিৎসকই করবেন ৷ ঘটনাটি ময়নাগুড়ি ব্লকের কালার বাড়ির মণ্ডল বাড়ির ৷

ছবিটি প্রতীকী

জলপাইগুড়ি, 11 সেপ্টেম্বর : বিজ্ঞানের যুগেও কুসংস্কার পিছু ছাড়ছে না ৷ যদিও শেষ পর্যন্ত ভুল ভাঙল ৷ শেষ পর্যন্ত মহিলাকে সুস্থ করতে চিকিৎসকই ভরসা ৷

ভুতে ধরেছে, এই গুজবে ডাকা হয়েছিল ওঝা ৷ কিন্তু, বেশ কিছুক্ষণ নিজের মতো চেষ্টা করার পর ওঝা স্বীকার করলেন তার দ্বারা কাজ সম্ভব নয় ৷ যা করার চিকিৎসকই করবেন ৷ ঘটনাটি ময়নাগুড়ি ব্লকের কালার বাড়ির মণ্ডল বাড়ির ৷

মাধবডাঙার কালারবাড়ির বাসিন্দা ভজন মণ্ডলের ছেলে সুজিতর সঙ্গে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় ধুপগুড়ির সুমিত্রা মণ্ডলের । ভজন মণ্ডল জানান, সংসারে সব ঠিকঠাক ছিল । হঠাৎ করে সুমিত্রার ব্যবহারে অসঙ্গতি দেখা যায় । উলটোপালটা বলতে থাকেন । এর পরই ওঝা ডাকা হয়েছিল ৷ যদিও শেষ পর্যন্ত ওঝা বুঝতে পারে তাকে দিয়ে কোনও কাজ হবে না ৷ চিকিৎসকের কাছে পাঠানোর কথা বলে সে ৷

সুমিত্রার মা পুস্পবালা মণ্ডল বলেন, "আশা করি ডাক্তার দেখালেই আমার মেয়ে ভালো হয়ে যাবে ৷" বিজ্ঞানের শিক্ষক দীপক চক্রবর্তী বলেন, "এসব কুসংস্কার । ডাক্তার দেখালে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে । ওই এলাকায় গিয়ে সচেতেনতা শিবির করব, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে ।" জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেন, "ঘটনাটি শুনলাম । ময়নাগুড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে বলল ওই বাড়িতে যাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা যান এবং এলাকায় একটা সচেতেনতামূলক প্রচার করা যায় তাহলে এমন কুসংস্কার রোধ করা যাবে ৷"

জলপাইগুড়ি, 11 সেপ্টেম্বর : বিজ্ঞানের যুগেও কুসংস্কার পিছু ছাড়ছে না ৷ যদিও শেষ পর্যন্ত ভুল ভাঙল ৷ শেষ পর্যন্ত মহিলাকে সুস্থ করতে চিকিৎসকই ভরসা ৷

ভুতে ধরেছে, এই গুজবে ডাকা হয়েছিল ওঝা ৷ কিন্তু, বেশ কিছুক্ষণ নিজের মতো চেষ্টা করার পর ওঝা স্বীকার করলেন তার দ্বারা কাজ সম্ভব নয় ৷ যা করার চিকিৎসকই করবেন ৷ ঘটনাটি ময়নাগুড়ি ব্লকের কালার বাড়ির মণ্ডল বাড়ির ৷

মাধবডাঙার কালারবাড়ির বাসিন্দা ভজন মণ্ডলের ছেলে সুজিতর সঙ্গে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় ধুপগুড়ির সুমিত্রা মণ্ডলের । ভজন মণ্ডল জানান, সংসারে সব ঠিকঠাক ছিল । হঠাৎ করে সুমিত্রার ব্যবহারে অসঙ্গতি দেখা যায় । উলটোপালটা বলতে থাকেন । এর পরই ওঝা ডাকা হয়েছিল ৷ যদিও শেষ পর্যন্ত ওঝা বুঝতে পারে তাকে দিয়ে কোনও কাজ হবে না ৷ চিকিৎসকের কাছে পাঠানোর কথা বলে সে ৷

সুমিত্রার মা পুস্পবালা মণ্ডল বলেন, "আশা করি ডাক্তার দেখালেই আমার মেয়ে ভালো হয়ে যাবে ৷" বিজ্ঞানের শিক্ষক দীপক চক্রবর্তী বলেন, "এসব কুসংস্কার । ডাক্তার দেখালে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে । ওই এলাকায় গিয়ে সচেতেনতা শিবির করব, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে ।" জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেন, "ঘটনাটি শুনলাম । ময়নাগুড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে বলল ওই বাড়িতে যাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা যান এবং এলাকায় একটা সচেতেনতামূলক প্রচার করা যায় তাহলে এমন কুসংস্কার রোধ করা যাবে ৷"

Intro:জলপাইগুড়িঃঃ পায়রা,মুরগীর রক্ত, হাঁসের ডিম খাইয়েও ভুতপেত তাড়ানো গেল না। ওঝা সারারাত শ্মশানে বসে ঝাড়ফুঁক করেও পেত্নীকে তাড়াতে পারল না। তাই "ওঝা ভালো না" বলে ওঝাকেই তিরস্কার করল ভুতপেতে ধরা পেত্নী।ওঝাও শেষমেষ ভুত তাড়াতে না পেরে বলছে ডাক্তারই ভরষা।

ময়নাগুড়ি ব্লকের কালার বাড়ির মন্ডল বাড়ির গৃহবধূকে ভুতপেত ধরেছে তাই কদিন থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ওঝা এসেছেন মণ্ডল বাড়িতে।কিন্তু কেউ আর ভুতপেত তাড়াতে পারছেন না।গতকাল ফালাকাটা থেকে এক ওঝাকে ডেকে আনা হয়েছিল ভুত তাড়ানোর জন্য।ওঝার কথা মত সব নিয়ম কাননও করা হচ্ছিল।অবশেষে গভীর রাতে ওঝার কথা মত গৃহবধূকে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে শ্মশান ঘাটে। সেখানে গৃহবধুকে চলে ঝারফুকের পালা।একটা সময় গৃহবধুকে খেতে দেওয়া হয় পায়রা,হাঁসের ডিম,জ্যান্ত মুরগী।ওঝার কথামত জ্যান্ত মুরগী দাঁত দিয়ে কেটে রক্ত খাওয়ানো হয়।এত কিছুর পরেও খবর পেয়ে আমরা ঐ বাড়িতে পৌছাই। দেখা যায় ওঝার সামনেই বসে আছে গৃহবধু সুমিত্রা মন্ডল।তার শশুড় ভজন মন্ডল ও শাশুড়ি সরস্বতী মন্ডলও বসে আছেন। ওঝাকে দেখে পেত্নী বলছে ওঝা কিছুই পারেনা মন্ত্র বলতে পারে না ঝাড়ফুঁকও পারে না। এমন শুনে হতবাক সবাই।
Body:ময়নাগুড়ি মাধবডাঙ্গা গ্রামপঞ্চায়েতের কালারবাড়ি বাসিন্দা ভজন মন্ডলের ছেলে সুজিত মন্ডলের সাথে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় ধুপগুড়ির সুমিত্রা মন্ডলের। ভজন মন্ডল জানান আমাদের সংসারে সব ঠিকঠাক ছিল।আমার ছেলে এখন ভিনরাজ্যে গেছে কাজ করতে।হঠাৎ করে সুমিত্রার ব্যবহারে অসঙ্গতি দেখা যায়।উল্টোপাল্টা বলতে থাকে।নিজেকে পেত্নী বলতে থাকে।এরপরেই ভুত তাড়াতে আমরা কয়েকজন ওঝাকে ডাকি।পেত্নী রক্ত খেতে চায়। গতকালও কলিজা খেতে চেয়েছে আমাদের কাছে পায়িরা,হাঁসের ডিম,মুরগী চেয়েছে সব দিয়েছি।দাঁত দিয়ে কেটে খেয়েছে তাও ঠিক হয়নি।আজ যে কেউ সেই।যেভাবেই হোক আমরা আমার বৌমার সুস্থ্যতা কামনা করি। তিনি বলেন একটা বাচ্চা রয়েছে।

এদিকে সুমিত্রার সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান আমি এই ভালো এই খারাপ। আমি দুর্বল আমার শরীরে রক্ত নেই।গতকাল আমি রক্ত খেয়েছি।ওঝাকে দেখে সুমিত্র বলেন ওঝা কিছুই জানে না।জল ছেটায় না।মন্ত্র বলে না।সুমিত্র বলেন আমি ওঝাকে সব বলে দেব এরপর ওঝা চিকিৎসা করবে এটা কি করে হয়।

এদিকে ফালাকাটা থেকে আসা ওঝা পরমেশ্বর রায় বলেন আমি সারেন্ডার করেছি আমি পারলাম না ভুতপেত তাড়াতে।ভুতে ধরেছে না ঠাকুরে ধরেছে কিছুই বলে না। আমি কিসের জল ছেটাব বুঝতেই পারছি না।গতকাল পায়রা,হাঁসের ডিম, মুরগীর ছিড়ে কাঁচা কাঁচা খেল ভাবলাম এবার চলে যাবে পেত্নী কিন্তু গেল না।আগেও কয়েকটা ওঝা ডাকা হয়েছে কাজে আসেনি।তাই আমি বলেছি এবার ডাক্তার দেখাতে।আমাকে উল্টোপাল্টা বলল, বলল আমি নাকি মন্ত্র জানি না,ঠিকমত জল ছেটাই নি আমি মনে কিছু করিনি।তবে আমার মনে হয় ডাক্তার দেখালে ভালো হয়ে যাবে।

এদিকে সুমিত্রার মা পুস্পবালা মন্ডল বলেন আমি চাই এবার ডাক্তার দেখাতেই তাতেই আমার মেয়ে ভালো হয়ে যাবে।Conclusion:এদিকে বিজ্ঞানের শিক্ষক দিপক চক্রবর্তী বলেন এসব কুসংস্কার।ডাক্তার দেখালেন সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।আমরা ঐ এলাকায় গিয়ে সচেতেনতা শিবির করব যাতে এমন ঘটনা আর দ্বিতীয়বার না কেউ ঘটাতে পারে।

এদিকে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ জগন্নাথ সরকার বলেন, আমি আপনার কাছ থেকেই ঘটনাটি শুনলাম।আমি ময়নাগুড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে বলল ঐ বাড়িতে যাতে স্বাস্থ্য কর্মি যায় এবং ঐ এলাকায় যাতে একটা সচেতেনতা মুলক প্রচার করা যায় তাহলে এমন কুসংস্কার আর থাকবে না।
Last Updated : Sep 11, 2019, 4:37 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.