জলপাইগুড়ি, 15 মার্চ: কুলার খারাপ জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গের ৷ তার জেরে লাশের গন্ধে (Stech of Dead Bodies) দুর্বিপাকে পড়েছেন মর্গের কর্মী থেকে শুরু করে টিবি হাসপাতালের কর্মী ও ডাক্তাররা। হাসপাতালের পাশাপাশি এলাকার মানুষজনদেরও মর্গের গন্ধে নাজেহাল অবস্থা। যদিও জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি (MSVP) ডা: কল্যাণ খাঁ দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধীন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গটি পুলিশের মর্গ হিসেবেই পরিচিত। এই মর্গেই পাশেই রানি অশ্রুমতী টিবি হাসপাতাল। এই হাসপাতালেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় টিবি রোগীরা চিকিৎসার জন্য আসেন। মর্গের পচা গন্ধে টিবি রোগীরা খেতে পর্যন্ত পারছেন না বলে তাঁরা জানিয়েছেন। টিবি হাসপাতালের কর্মীরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। অন্যদিকে টিবি হাসপাতালের রোগী ঈশ্বদেব রায়, শুক্রা ওরাওঁ অভিযোগ করেন, "মর্গের পচা গন্ধে আমরা থাকতে পারছি না। মর্গের দিকে জানালা সব সময় বন্ধ করে রাখতে হয়। খেতে পারি না। আমরা এমনিতেই টিবি রোগী। না-খেতে পারলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ব।"
জলপাইগুড়ি টিবি হাসপাতালের কর্মী সুচিশ্মিতা সিনহা বলেন, "বেশ কয়েকদিন ধরেই মর্গের পচা গন্ধে কাজ করতে পারছেন না তাঁরা। কীভাবে মৃতদেহ গুলো রাখা হচ্ছে তাও বোঝা যাচ্ছে না। আমরা দিন-রাত ডিউটি করি। খেতে পারছি না। এরপর আমরাই অসুস্থ হয়ে পড়ব।" যদিও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন জলপাইগুড়ি রানি অশ্রুমতি টিবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। টিবি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সব্যসাচী সেনগুপ্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
আরও পড়ুন: দেড় মাস ধরে বিকল হাসপাতালের ডিজিটাল এক্সরে মেশিন, সমস্যায় রোগীরা
অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি (MSVP) ডাঃ কল্যাণ খাঁ বলেন, "সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মর্গে বেওয়ারিশ লাশ রয়েছে। মর্গের মৃতদেহ রাখার কুলার গুলো সব খারাপ হয়ে গিয়েছে। ফলে গন্ধ বের হচ্ছে। পিডব্লিউ (PWD) ইলেকট্রিকালকে মেরামত করার জন্য বলা হয়েছে। যতক্ষণ না-পর্যন্ত মেরামত হচ্ছে ততক্ষণ এই গন্ধ থাকবেই। কিছুই করার নেই আমাদের। এছাড়া আমাদের অন্য যে একটি মর্গ সদর হাসপাতালের ছিল তা এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। ফলে অন্য জায়গায় মৃতদেহ সরিয়ে নেওয়ার মতো অবস্থা নেই।