জলপাইগুড়ি,6 এপ্রিল:জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বর জীবাণুমুক্ত করা হল । এই বিষয়ে উদ্যোগ নেন জলপাইগুড়ির পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সৈকত চ্যাটার্জি। দমকল কর্মীদের দিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে। কিন্তু কোরোনা পজিটিভদের আইসোলেশন ওয়ার্ড জীবাণুমুক্ত না করেই তালা মেরে রাখার অভিযোগ উঠল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ।
কোরোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতার পরিবারকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল।জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলেও এখনও সেই ওয়ার্ড জীবাণুমুক্ত করা হয়নি,এমনটাই অভিযোগ। এদিকে হাসপাতালের বাইরের এলাকা জীবাণুমুক্ত করে দিয়েছে দমকল কর্মীরা।
কালিম্পঙের কোরোনায় মৃত মহিলার সংস্পর্শে থাকা আত্মীয়দের মধ্যে 4 জন কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত মহিলার আত্মীয়দের গত 29 তারিখ জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়ে আসার পরে তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কিন্তু দুদিন হয়ে গেলেও এখনও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের 7 তলার আইসোলেশন ওয়ার্ড, সহ ওই করিডোর জীবাণুমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সৈকত চ্যাটার্জি বলেন, দমকল কর্মীরা সদর হাসপাতালের গ্রাউন্ড ফ্লোর,লিফট সব জীবাণুমুক্ত করেছিলেন।যেখানে কোরোনা পজিটিভরা ছিলেন , সেখানে ছোট মেশিন এনে PPE পরে জীবাণুমুক্ত করা হবে।