আলিপুরদুয়ার, 20 এপ্রিল : আলিপুরদুয়ারের তপসিখাতার কোরোনা হাসপাতালে মৃত ব্যক্তির শেষকৃত্য নিয়ে অশান্তি ৷ তাদের এলাকায় শেষকৃত্য করতে দেওয়া হবে না ৷ এই দাবিতে প্রথমে বিক্ষোভ ও পরে পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরায় উত্তেজিত জনতা ৷ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতেও ৷ অভিযোগ, স্থানীয়দের হাতে মার খেয়ে জখম হয়েছেন একাধিক পুলিশকর্মী ৷ তাঁদের চিকিৎসা চলছে ৷
গতকাল বিকেলে জ্বর, গলায় ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি । শারীরিক অবস্থা তখনই বেশ খারাপ ছিল তাঁর । প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর তাঁকে কোয়ারানটাইনে রাখা হয় । সন্ধে নাগাদ অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে তপসিখাতার কোরোনা আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয় । সেখানেই রাতে তাঁর মৃত্যু হয় ।
সেই মৃতদেহ শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় শালকুমার হাটের তোর্সা নদীর চরে ৷ সঙ্গে ছিল JCB ৷ অশান্তির আঁচ পেয়ে এলাকায় আগে থেকেই উপস্থিত ছিল পুলিশকর্মীরা ৷ এলাকায় খবর চাউর হতে সময় লাগেনি ৷ স্থানীয়রা সেখানে জমায়েত করে মৃতদেহ সেখানে শেষকৃত্য করতে বাধা দেয় ৷ পুলিশ স্থানীয়দের বোঝানোর চেষ্টা করেও সক্ষম হয়নি ৷ উভয় পক্ষের বাক-বিতণ্ডা শুরু হয় ৷ তা সংঘর্ষের আকার নেয় ৷ উত্তেজিত লোকজন পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ৷ ছোড়ে ইট-পাটকেল ৷ তাতে জখম হয় একাধিক পুলিশকর্মী ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে জলদাপাড়া জঙ্গল দিয়ে পালিয়ে যায় পুলিশকর্মীরা ৷
এদিকে গুলি লেগে জখম হন শাহরুক আলম নামে এক যুবক ৷ তাঁর পায়ে গুলি লাগে ৷ রাতেই তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি ৷ তাঁর অভিযোগ, অশান্তির সময় ঘটনাস্থানে আসার সময় পুলিশ রাস্তায় গুলি চালাতে চালাতে আসে ৷ সেই গুলি লেগেই জখম হন তিনি ৷
যদিও পুলিশের তরফে গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে ৷ আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানান, পুলিশ গুলি চালায়নি । এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হচ্ছে ।