জলপাইগুড়ি, 31 মে : হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় বিক্ষোভ দেখালেন রোগীর আত্মীয়রা ৷ হাসপাতালে চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে সবর হলেন তাঁরা ৷ রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, চূড়ান্ত অব্যবস্থা চলছে হাসপাতালে ৷ তাঁদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে যাতে এই অব্যবস্থার চিত্র যাতে বাইরে বেরিয়ে না আসে ৷ রোগী কল্যাণ সমিতির কার্যকলাপ নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা ৷ এদিকে হাসপাতাল থেকে বারবার রোগী পালানোয় কড়াকড়ি করেছে কর্তৃপক্ষ বলে জানানো হয়েছে ৷ জলপাইগুড়ির বিশ্ববাংলা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে ঢুকতে না দেওয়া হয় না বলে হাসপাতালের গেটে প্রায়দিনই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন রোগীর পরিজনরা ৷
রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, প্রতিদিন সকাল থেকে তাঁরা কেউ খাবার, কেউ ওষুধ নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও তাঁদের হাসপাতালের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ৷
এদিকে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশানুসারেই গেটে থাকা পুলিশকর্মীরা হাসপাতালে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন না ৷ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ গতকাল রাতেই একজন রোগী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ৷ তারপর থেকেই আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে ৷
এক করোনা রোগীর আত্মীয় তথা জেলা ছাত্র নেতা দেবজিৎ সরকারের অভিযোগ, "জলপাইগুড়ি ছাড়া জেলার অন্যান্য কোভিড হাসপাতাল থেকে তো রোগী পালিয়ে যাচ্ছেন না ৷ শুধু এখান থেকেই কেন রোগী পালাচ্ছেন ? তার মানে এখানকার হাসপাতালের ভিতরে পরিষেবা ঠিক নেই তাই তাঁরা পালিয়ে যাচ্ছেন । এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা । বলা হচ্ছে, বাইরের খাবার রোগীদের দেওয়া যাবে না । কিন্তু হাসপাতাল থেকে ফলমূল তো কিছু দিচ্ছে না, এসব আমরা কেন আমাদের রোগীকে দিতে পারব না ?"
জলপাইগুড়ির উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (3) ডা. শঙ্করলাল ঘোষ বলেন, "আমি ঘটনাটি জানি না কী হয়েছে । কোভিড হাসপাতালের দায়িত্ব যাঁরা রয়েছেন তাঁরাই বলতে পারবেন । তবে বারবার রোগী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে । যদি রোগী পালিয়েই যাবেন তাহলে তাঁরা হাসপাতাকে এলেন কেন ? হোম আইসোলেশনেই থাকতে পারতেন ।"
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, "অভিযোগটি শুনেছি ৷ কিন্তু হাসপাতালে বাইরে থেকে খাবার দেবার অনুমতি নেই । হাসপাতালের খাবারই দেওয়া হবে ।"
আরও পড়ুন : চলতি বছরের মধ্যেই সমস্ত দেশবাসীকে ভ্যাকসিন, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র