জলপাইগুড়ি, 7 ডিসেম্বর: খাবারের দোকানের ফ্রিজে রাখা কয়েকদিনের পুরনো ও পচা খাবার । যার থেকে বেরচ্ছে দুর্গন্ধ ৷ উড়ছে মশা মাছি ৷ অভিযানে মিষ্টি ও ফাস্ট ফুডের দোকানে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের । দীর্ঘদিন থেকে মিষ্টির দোকানের ফ্রিজে রাখা সেই নষ্ট হয়ে যাওয়া দই দোকানিকেই খাওয়ালেন বিডিও । বৃহস্পতিবার আচমকা তিনি জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের বেলাকোবা বাজারের অভিযানে যান ৷ প্রত্যেকটা দোকান ঘুরে ঘুরে দেখেন ৷ তখনই কিছু দোকানে খাবারের এরকম অবস্থা দেখে তিনি রেগে আগুন হয়ে যান ৷
রাজগঞ্জ ব্লকের দায়িত্ব পাওয়ার পরেই প্রশান্ত বর্মন বিভিন্ন সরকারি দফতরে অভিযান চালাচ্ছেন । সাধারণ জনগণ সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কি না তা জানতে আচমকাই ছুটে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে । আজ সকালে বিডিও নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে বেলাকোবা বাজারে অভিযানে নামেন৷ বিভিন্ন হোটেল, মিষ্টির ও ফাস্ট ফুডের দোকানে হানা দিয়ে খাওয়ারের গুনগত মান খতিয়ে দেখেন । মিষ্টির দোকানের ফ্রিজ খুলে দেখেন তাতে রাখা রয়েছে দীর্ঘদিনের দই । দইয়ের উপর রীতিমতো ফাঙ্গাস পরে গিয়েছে । দোকান মালিককে ধমক দেওয়ার পাশাপাশি সেই ফাঙ্গাস পরা দই তাঁকেই খাওয়ালেন তিনি ৷
এছাড়াও তিনি দেখেন, হোটেলে রাখা খাবার দিয়ে ব্যাপক দুর্গন্ধ বেরচ্ছে ৷ সেই সমস্ত খাবার ফ্রিজ থেকে বের করে বাইরে ফেলে দেন বিডিও ৷ বিদ্যালয়ের মিড-ডে মিলের খাবারের গুনগত মান ক্ষতিয়ে দেখেন প্রশান্ত বর্মন । আজ সমস্ত দোকান মালিকদের সতর্ক করে তিনি বলেন, "আমি আবার আসব ৷ সেই সময় যদি দেখা যায় এই ধরনের খাবার দোকানে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"
রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের কথায়, "আমি যতদিন রাজগঞ্জে আছি ততদিন কোন নাগরিককে দোকানের পচা, বাসি খাবার আমি খাওয়াতে দেব না । সেই কারণেই আমি আজ বেলাকোবা এলাকায় এসেছিলাম । বিভিন্ন মিষ্টির দোকান ও ফাস্ট ফুডের দোকানে অভিযান চালাই । দেখা যায় কয়েকদিনের বাসি পচা খাবার রাখা রয়েছে । দোকানিদের আমি খাবার গুলো ফেলে দিতে বলার পর তারা ফেলে দিয়েছেন । আমিও খারাপ খাবার ফেলেছি । এমন অভিযান লাগাতার চলবে । সতর্ক করার পরেই কেউ সচেতন না হলে খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের যা নিয়ম আছে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"
আরও পড়ুন: