জলপাইগুড়ি , 4 সেপ্টেম্বর : PTTI কলেজে প্রশিক্ষণ নিতে আসেন এক ছাত্র ৷ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাঁর উপর চলত মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার ৷ অভিযোগ, কখনও কলেজ সিনিয়রদের পা টিপে দিতে হত তাঁকে ৷ কখনও এনে দিতে হত সিগারেট কিংবা মদের বোতলও ৷ কলেজ সিনিয়রদের হস্টেলের ঘরও পরিষ্কার করেছেন তিনি ৷ গতকাল অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে যায় ৷ সুইসাইড নোট লেখানো হয় তাকে দিয়ে ৷ রাতের বেলা হস্টেল থেকে পালিয়ে আসেন তিনি ৷ আজ ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানাতে আসলে কলেজের অন্যান্য ছাত্ররা তাঁর দাদা ও আইনজীবীদের আটক করে মারধর করে বলেও অভিযোগ ৷
আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা তালেশ্বরগুড়ির বাসিন্দা ছাত্রটি জলপাইগুড়ির ওই সরকারি PTTI কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হন ৷ তারপর থেকেই কলেজ সিনিয়ররা তার ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে ৷ গন্ডি কেটে তার মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হত তাঁকে ৷ ছাত্রের দাদা অসীম পন্ডিত বলেন , "গত কাল রাতে ভাইকে দিয়ে সুইসাইড নোট লেখানো হয়৷ " ছাত্রের বাবা জানান, তিনি তাঁর ছেলেকে নিয়ে ফিরে যেতে চান ৷ তাঁর ছেলের প্রাণ তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ ৷
কলেজের অধ্যক্ষ অসীম কুমার বৈরাগী অভিযোগ অস্বীকার করেন ৷ ঘটনাটি অস্বীকার করেছে কলেজের সিনিয়ররাও ৷
জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশন-র সম্পাদক অভিজিৎ সরকার বলেন, " কলেজে মদের বোতল পাওয়া যাচ্ছে । কলেজে র্যাগিং হচ্ছে অথচ অধ্যক্ষ কিছুই জানেন না । তিনি অভিযোগ স্বীকার করছেন না । আইনজীবীদের মারধর করা হয় । থানায় অভিযোগ জানাব । "