ETV Bharat / state

PTTI কলেজ হস্টেলে র‍্যাগিং, ছাত্রকে দিয়ে লেখানো হল সুইসাইড নোট!

আলিপুরদুয়ার জেলার শামুকতলা তালেশ্বরগুড়ির বাসিন্দা ছাত্রটি এই সরকারি PTTI কলেজের ফার্স্ট ইয়ারের ভরতি হয় ৷ তারপর থেকেই কলেজ সিনিয়ররা তার ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে ৷ তাকে দিয়ে মদ,সিগারেট আনানো শুরু হয়৷ সিনিয়রদের পা টেপা থেকে শুরু করে ঘর পরিস্কার করে দেওয়া সব কিছু তাকে দিয়ে করানো হত বলে অভিযোগ করে ছাত্রটি ৷ গন্ডি কেটে তার মধ্যে ঘন্টার ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হত তাকে ৷ গতকাল অত্যাচারের সীমা পার হয়ে যায় ৷ ছাত্রটিকে দিয়ে সুইসাইড নোট লেখায় তার সিনিয়ররা ৷

ragging
author img

By

Published : Sep 4, 2019, 8:44 PM IST

Updated : Sep 4, 2019, 9:32 PM IST

জলপাইগুড়ি , 4 সেপ্টেম্বর : PTTI কলেজে প্রশিক্ষণ নিতে আসেন এক ছাত্র ৷ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাঁর উপর চলত মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার ৷ অভিযোগ, কখনও কলেজ সিনিয়রদের পা টিপে দিতে হত তাঁকে ৷ কখনও এনে দিতে হত সিগারেট কিংবা মদের বোতলও ৷ কলেজ সিনিয়রদের হস্টেলের ঘরও পরিষ্কার করেছেন তিনি ৷ গতকাল অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে যায় ৷ সুইসাইড নোট লেখানো হয় তাকে দিয়ে ৷ রাতের বেলা হস্টেল থেকে পালিয়ে আসেন তিনি ৷ আজ ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানাতে আসলে কলেজের অন্যান্য ছাত্ররা তাঁর দাদা ও আইনজীবীদের আটক করে মারধর করে বলেও অভিযোগ ৷

আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা তালেশ্বরগুড়ির বাসিন্দা ছাত্রটি জলপাইগুড়ির ওই সরকারি PTTI কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হন ৷ তারপর থেকেই কলেজ সিনিয়ররা তার ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে ৷ গন্ডি কেটে তার মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হত তাঁকে ৷ ছাত্রের দাদা অসীম পন্ডিত বলেন , "গত কাল রাতে ভাইকে দিয়ে সুইসাইড নোট লেখানো হয়৷ " ছাত্রের বাবা জানান, তিনি তাঁর ছেলেকে নিয়ে ফিরে যেতে চান ৷ তাঁর ছেলের প্রাণ তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ ৷

কলেজের অধ্যক্ষ অসীম কুমার বৈরাগী অভিযোগ অস্বীকার করেন ৷ ঘটনাটি অস্বীকার করেছে কলেজের সিনিয়ররাও ৷

জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশন-র সম্পাদক অভিজিৎ সরকার বলেন, " কলেজে মদের বোতল পাওয়া যাচ্ছে । কলেজে র‍্যাগিং হচ্ছে অথচ অধ্যক্ষ কিছুই জানেন না । তিনি অভিযোগ স্বীকার করছেন না । আইনজীবীদের মারধর করা হয় । থানায় অভিযোগ জানাব । "

জলপাইগুড়ি , 4 সেপ্টেম্বর : PTTI কলেজে প্রশিক্ষণ নিতে আসেন এক ছাত্র ৷ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাঁর উপর চলত মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার ৷ অভিযোগ, কখনও কলেজ সিনিয়রদের পা টিপে দিতে হত তাঁকে ৷ কখনও এনে দিতে হত সিগারেট কিংবা মদের বোতলও ৷ কলেজ সিনিয়রদের হস্টেলের ঘরও পরিষ্কার করেছেন তিনি ৷ গতকাল অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে যায় ৷ সুইসাইড নোট লেখানো হয় তাকে দিয়ে ৷ রাতের বেলা হস্টেল থেকে পালিয়ে আসেন তিনি ৷ আজ ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানাতে আসলে কলেজের অন্যান্য ছাত্ররা তাঁর দাদা ও আইনজীবীদের আটক করে মারধর করে বলেও অভিযোগ ৷

আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা তালেশ্বরগুড়ির বাসিন্দা ছাত্রটি জলপাইগুড়ির ওই সরকারি PTTI কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হন ৷ তারপর থেকেই কলেজ সিনিয়ররা তার ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে ৷ গন্ডি কেটে তার মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হত তাঁকে ৷ ছাত্রের দাদা অসীম পন্ডিত বলেন , "গত কাল রাতে ভাইকে দিয়ে সুইসাইড নোট লেখানো হয়৷ " ছাত্রের বাবা জানান, তিনি তাঁর ছেলেকে নিয়ে ফিরে যেতে চান ৷ তাঁর ছেলের প্রাণ তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ ৷

কলেজের অধ্যক্ষ অসীম কুমার বৈরাগী অভিযোগ অস্বীকার করেন ৷ ঘটনাটি অস্বীকার করেছে কলেজের সিনিয়ররাও ৷

জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশন-র সম্পাদক অভিজিৎ সরকার বলেন, " কলেজে মদের বোতল পাওয়া যাচ্ছে । কলেজে র‍্যাগিং হচ্ছে অথচ অধ্যক্ষ কিছুই জানেন না । তিনি অভিযোগ স্বীকার করছেন না । আইনজীবীদের মারধর করা হয় । থানায় অভিযোগ জানাব । "

Intro:জলপাইগুড়িঃঃ জলপাইগুড়ি সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সংস্থায় র‍্যাগীং এর অভিযোগ।র‍্যাগীং সহ্য করতে না পেরে হোস্টেল ছেড়ে বাড়ি পালিয়ে গেল এক প্রথমবর্ষের ছাত্র। সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সংস্থায় অভিযোগ করতে গিয়ে কলেজের ছাত্রদের হাত মার খেলেন ছাত্রের দাদা সহ আইনজীবীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়িতে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে ছুটে আসে কোতয়ালির পুলিশ।

অভিযোগ আলিপুরদুয়ার জেলার শামুকতলা তালেশ্বরগুড়ির এক ছাত্র প্রথমবর্ষে এই সরকারি PTTI কলেজে ভর্তি হয়।ভর্তি পর থেকে সিনিয়র দাদারা তার ওপর শারীরিক ও মানষিক অত্যাচার শুরু করে।মদ,সিগারেট আনানো থেকে শুরু করে সিনিয়র দাদাদের পা টেপা ঘর পরিস্কার করে দেওয়া সব কিছুই তাকে দিয়ে করানো হত বলে অভিযোগ। ছাত্রের অভিযোগ তাকে উলঙ্গ করে র‍্যাগীং ক্ক্রা হত।গন্ডি কেটে দিয়ে তার মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে রিপোর্ট করতে হত।গতকাল সেই র‍্যাগীং চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছায়। ছাত্রটিকে দিয়ে সুইসাইডাল নোট লেখায় সিনিয়র দাদারা বলে অভিযোগ ছাত্রের।Body:ছাত্রের দাদা তথা আইনজীবী অসীম পন্ডিত অভিযোগ করে বলেন গতকাল ভাইকে দিয়ে সুইসাইডাল নোটে লেখানো হয়।লেখানো হয় আমার বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তার বাড়ি থেকে টাকা পয়সা পাঠাতে পারছে না তাই সে সুইসাইড করছে।আমার মৃত্যুর জন্য ক্রু দায়ী নয়।এমন লিখতে লিখতে প্যান্টে প্রসাব পায়খানা করে দেয় ভাই।তারপর সে বাথরুমে যাবার নাম করে পালিয়ে যায়।মোবাইলে কভারের ভেতরে রাখা ২০০ টাকা নিয়ে জলপাইগুড়ি রোড ষ্টেশন থেকে ট্রেন ধরে আলিপুরদুয়ারে পৌছায়।বাবাকে ফোন করে সব জানায় বাবা তালেশ্বর গুড়ি থেকে বাইক নিয়ে এসে রাত ১২ টায় ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যায়।আজ ছাত্রের দাদা পেশায় আইনজীবী অসীম পন্ডিত ওতার কিছু আইনজীবী বন্ধু মিলে কলেজে অভিযোগ জানালে এলে অধ্যক্ষ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন।এরপর কলেজের ছাত্ররা আইনজীবীদের ঘিরে ধরে পেটাতে থাকেন বলে অভিযোগ। গেট বন্ধ করে দিয়ে আটকে রাখা হয় ছাত্রের দাদা ও আইনজীবীদের।এপর জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনএর সম্পাদক অভিজিৎ সরকার এসে প্রতিবাদ করেন।কলেজের অধ্যক্ষ কোনমতেই র‍্যাগীং এর অভিযোগ পত্র নেননি।তিনি র‍্যাগিং এর অভিযোগ বার বার অস্বীকার করেছেন।

এদিন ছাত্রের বাবা জানান আমার ছেলের জীবন আগে।আমি আমার ছেলেকে এখান থেকে নিয়ে যাচ্ছি।আমার ছেলেক্র এখানে রাখলে ওরা মেরে ফেলবে। Conclusion:এদিকে জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদক অভিজিৎ সরকার বলেন কলেজে মদের বোতল পাওয়া যাচ্ছে।কলেজে র‍্যাগিং হচ্ছে অধ্যক্ষ কিছুই জানেন না।তিনি অভিযোগ পত্র নিচ্ছেন না।কলেজে কোন ছাত্র ভর্তি হলে তার কাছ থেকে অ্যান্টি র‍্যাগিং এর জন্য এভিডেভিড নেওয়া হয় এখানে কিছুই নেওয়া হয় না।আমাদের আইনজীবীরা এসে অভিযোগ করতে এলে তাদেরকে পেটানো হয়। আমরা থানায় অভিযোগ করব।
Last Updated : Sep 4, 2019, 9:32 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.