ETV Bharat / state

Jalpaiguri Information and Culture: বিনা অনুষ্ঠানেই টাকা পাচ্ছেন শিল্পীরা, তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ - Jalpaiguri Information and Culture

জলপাইগুড়ি তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের নামে একাধিক অভিযোগ ৷ তার জেরেই আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের লোকশিল্পীরা(Jalpaiguri Information and Culture)৷

Jalpaiguri Information and Culture
তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ
author img

By

Published : Jul 28, 2022, 10:39 PM IST

জলপাইগুড়ি, 28 জুলাই: অনুষ্ঠান না-করেও শিল্পীদের অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে টাকা । আর পরের দিনই সেই টাকার ভাগ নিতে পৌঁছে যাচ্ছেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের কর্মীরা । শুধু তাই নয়, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের কর্মীদের টাকা দিতে হবে বলেই শিল্পীদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ । শিল্পীদের অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া হচ্ছে টাকা । এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়িতে । তদন্তে নামলেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক স্বয়ং ।

বৃহস্পতিবার জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের আধিকারিককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান রাজ্য সরকারের পরিচয় পত্রধারী জেলার বিভিন্ন এলাকার লোক সংগীত শিল্পীরা(Protests around Information Culture Department official in jalpaiguri) । জেলার লোকশিল্পী কমল হাজরা ও ভবেন হাজরা জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিককে লিখিতভাবে জানান তাঁদের অ্যাকাউন্টে 22 হাজার টাকা ঢোকে ৷ তার মধ্যে 10 হাজার টাকা তুলে দিতে বলা হয় অফিসের কর্মীদের দেওয়ার জন্য ।

এক একজন শিল্পী দেড় বছর ধরে সরকারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেও সরকার নির্ধারিত টাকা পাচ্ছেন না । আবার অনেকেই অনুষ্ঠান না-করেই টাকা পেয়ে যাচ্ছেন । শুধু তাই নয়, একটি অনুষ্ঠান করলে 1 হাজার টাকা দেওয়া হয় প্রত্যেককে ৷ গড়ে কেউ 7-8টা অনুষ্ঠান পেয়ে থাকেন ৷ অর্থাৎ, সেক্ষেত্রে 7-8 হাজার টাকা পাওয়ার কথা ৷ কিন্তু একজনের অ্যাকাউন্টেই 67 হাজার, 72 হাজার করে টাকা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর থেকে পাঠানো হচ্ছে । সেই শিল্পীর অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের কর্মীরা টাকা তুলে আনছেন বলে অভিযোগ ৷ তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের নাইট গার্ড, ডেটা অপারেটর-সহ তিনজনের নাম উঠে এসেছে ।

আরও পড়ুন : বেআইনিভাবে বাড়িতে মজুত প্রায় 73টি গ্যাস সিলিন্ডার, গ্রেফতার 1

জেলার প্রবীণ শিল্পী দুর্গা রায়, সুভাষ বিশ্বাসদের অভিযোগ, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের কিছু কর্মী এই অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত । অনুষ্ঠান না করেই অনেকে টাকা পাচ্ছেন । আবার অনুষ্ঠান করেও অনেকে টাকা পাচ্ছেন না । শিল্পীদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে দিয়ে সেই টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে । সরকারি দফতরের কর্মী ও একশ্রেণির লোকশিল্পীরা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ৷ এর একটা বিহিত হওয়া উচিত । জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিককে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে ৷ প্রয়োজনে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব ।

পশুনাথ রায় নামে এক শিল্পীর কথায়, "আমার অ্যাকাউন্টে 10 হাজার টাকা ঢোকানো হয়েছিল । তার মধ্যে 8 হাজার টাকা আমাকে দিয়ে দিতে হয়েছে ।"
এই বিষয়ে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক মিতেন ছেত্রী বলেন, "আমার কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে । অনেকেই অনুষ্ঠান করে টাকা পাচ্ছেন না । পাশাপাশি শিল্পীদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে তারপর তা তুলে নেওয়া হচ্ছে । তথ্য ও সংস্কৃতির বিভাগের কর্মীদের টাকা দিতে হবে বলে অন্য শিল্পীরা এই টাকা তুলছে বলেও অভিযোগ উঠেছে । কিন্তু আজ নতুন একটা অভিযোগ উঠেছে এই বিভাগের তিনজন কর্মী নাকি এই টাকা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত । আমি তাদের নাম জেনেছি । উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনেই তদন্ত শুরু করেছি । কারা কারা এই বেনিয়মের সঙ্গে জড়িত আছে আমরা খতিয়ে দেখছি । তবে উভয়পক্ষের কাছ থেকে আমরা রিপোর্ট নিয়ে তা অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ)কে দেব ।"

আরও পড়ুন : শব্দ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি, চড়া আওয়াজের সাইলেন্সর বন্ধে তৎপর জলপাইগুড়ি ট্রাফিক পুলিশ

জলপাইগুড়ি, 28 জুলাই: অনুষ্ঠান না-করেও শিল্পীদের অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে টাকা । আর পরের দিনই সেই টাকার ভাগ নিতে পৌঁছে যাচ্ছেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের কর্মীরা । শুধু তাই নয়, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের কর্মীদের টাকা দিতে হবে বলেই শিল্পীদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ । শিল্পীদের অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া হচ্ছে টাকা । এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়িতে । তদন্তে নামলেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক স্বয়ং ।

বৃহস্পতিবার জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের আধিকারিককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান রাজ্য সরকারের পরিচয় পত্রধারী জেলার বিভিন্ন এলাকার লোক সংগীত শিল্পীরা(Protests around Information Culture Department official in jalpaiguri) । জেলার লোকশিল্পী কমল হাজরা ও ভবেন হাজরা জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিককে লিখিতভাবে জানান তাঁদের অ্যাকাউন্টে 22 হাজার টাকা ঢোকে ৷ তার মধ্যে 10 হাজার টাকা তুলে দিতে বলা হয় অফিসের কর্মীদের দেওয়ার জন্য ।

এক একজন শিল্পী দেড় বছর ধরে সরকারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেও সরকার নির্ধারিত টাকা পাচ্ছেন না । আবার অনেকেই অনুষ্ঠান না-করেই টাকা পেয়ে যাচ্ছেন । শুধু তাই নয়, একটি অনুষ্ঠান করলে 1 হাজার টাকা দেওয়া হয় প্রত্যেককে ৷ গড়ে কেউ 7-8টা অনুষ্ঠান পেয়ে থাকেন ৷ অর্থাৎ, সেক্ষেত্রে 7-8 হাজার টাকা পাওয়ার কথা ৷ কিন্তু একজনের অ্যাকাউন্টেই 67 হাজার, 72 হাজার করে টাকা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর থেকে পাঠানো হচ্ছে । সেই শিল্পীর অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের কর্মীরা টাকা তুলে আনছেন বলে অভিযোগ ৷ তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের নাইট গার্ড, ডেটা অপারেটর-সহ তিনজনের নাম উঠে এসেছে ।

আরও পড়ুন : বেআইনিভাবে বাড়িতে মজুত প্রায় 73টি গ্যাস সিলিন্ডার, গ্রেফতার 1

জেলার প্রবীণ শিল্পী দুর্গা রায়, সুভাষ বিশ্বাসদের অভিযোগ, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের কিছু কর্মী এই অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত । অনুষ্ঠান না করেই অনেকে টাকা পাচ্ছেন । আবার অনুষ্ঠান করেও অনেকে টাকা পাচ্ছেন না । শিল্পীদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে দিয়ে সেই টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে । সরকারি দফতরের কর্মী ও একশ্রেণির লোকশিল্পীরা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ৷ এর একটা বিহিত হওয়া উচিত । জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিককে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে ৷ প্রয়োজনে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব ।

পশুনাথ রায় নামে এক শিল্পীর কথায়, "আমার অ্যাকাউন্টে 10 হাজার টাকা ঢোকানো হয়েছিল । তার মধ্যে 8 হাজার টাকা আমাকে দিয়ে দিতে হয়েছে ।"
এই বিষয়ে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক মিতেন ছেত্রী বলেন, "আমার কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে । অনেকেই অনুষ্ঠান করে টাকা পাচ্ছেন না । পাশাপাশি শিল্পীদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে তারপর তা তুলে নেওয়া হচ্ছে । তথ্য ও সংস্কৃতির বিভাগের কর্মীদের টাকা দিতে হবে বলে অন্য শিল্পীরা এই টাকা তুলছে বলেও অভিযোগ উঠেছে । কিন্তু আজ নতুন একটা অভিযোগ উঠেছে এই বিভাগের তিনজন কর্মী নাকি এই টাকা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত । আমি তাদের নাম জেনেছি । উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনেই তদন্ত শুরু করেছি । কারা কারা এই বেনিয়মের সঙ্গে জড়িত আছে আমরা খতিয়ে দেখছি । তবে উভয়পক্ষের কাছ থেকে আমরা রিপোর্ট নিয়ে তা অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ)কে দেব ।"

আরও পড়ুন : শব্দ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি, চড়া আওয়াজের সাইলেন্সর বন্ধে তৎপর জলপাইগুড়ি ট্রাফিক পুলিশ

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.