জলপাইগুড়ি, 29 অগস্ট: ছেলেধরা গুজবে চাঞ্চল্য ময়নাগুড়িতে । ময়নাগুড়ি থানার দোমহনী এলাকায় মঙ্গলবার এক ব্যক্তিকে ছেলেধরা সন্দেহে স্থানীয় বাসিন্দারা মারধর করে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ । ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে গেলে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাদের। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। কোনওমতেই ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না বলে দাবি করা হয় তাদের পক্ষ থেকে । তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় স্থানীয়দের। ভাঙচুর করা হয় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশের গাড়ি ও মোটরসাইকেল । যদিও ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে পুলিশ ।
অভিযোগ, ময়নাগুড়ি দোমহনী বর্মণপাড়ায় এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপরেই যুবককে বেঁধে মারধর করে স্থানীয়রা। ঘটনার খবর পেয়ে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে যায় ৷ সেখানেই গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে । আহত ব্যক্তিকে পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে না যায়, সে জন্য পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে ৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন ৷
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত বলেন, "ওই ব্যক্তির চালচলন দেখে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে অনুমান ৷ ব্যক্তিকে স্থানীয়রা ধরে মারধর করছিল ৷ খবর পেয়েই ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে । পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় । আমরা কেস করেছি । তবে বার বার সচেতেনতা মূলক প্রচারের পরেও মানুষের এই কাজ করা খুব অন্যায় । এমন কোনও ব্যক্তি দেখলে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে । কিন্তু আইন নিজের হাতে নেওয়া ঠিক নয় ।"
আরও পড়ুন: ফের চোর সন্দেহে গণপিটুনির অভিযোগ, এবার মালদা ও জলপাইগুড়িতে
দু’দিন আগেও ধূপগুড়ির শালবাড়ি এলাকায় ঠিক একইভাবে এক মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে চোর সন্দেহে মারাধরের ঘটনা ঘটেছিল ৷ সেই ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই আবারও ময়নাগুড়িতে এই ঘটনা ।